ETV Bharat / state

খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ শিশুর বাড়িতে প্রশাসনের কর্তারা

ইটিভি ভারতের খবরের জের ৷ খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ শিশুর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন প্রশাসনের কর্তারা ৷ দিলেন চিকিৎসা সংক্রান্ত সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ৷ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রক গ্রামের ঘটনা ৷

administration officials reach to sick child home at Malda
খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ শিশুর বাড়িতে প্রশাসনের কর্তারা
author img

By

Published : Jun 7, 2021, 7:38 PM IST

মালদা, 7 জুন : শিশুর চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ৷ ইটিভি ভারতে সেই খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি আধিকারিকরা এসে পৌঁছলেন ওই অভিভাবকদের কাছে ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ অবিলম্বে সমস্তরকম চিকিৎসা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রক গ্রামের বাসিন্দা নুর সালাম ৷ তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ করোনা আবহে কাজ হারিয়ে কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরে এসেছেন সালাম। বর্তমানে তিনি জমিতে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন ৷ নুরের স্ত্রী অঞ্জলি খাতুন গৃহবধূ ৷ তাঁদের চার সন্তান ৷

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বড় মেয়ে নুর ফতেমা (9) ছ’বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল ৷ তারপর থেকেই তার শরীরে জটিল রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে ৷ বছর খানেক আগে ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায় তার হাত-পা৷ পরে বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলে ফতেমা ৷ ফতেমাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে চাঁচলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷

পরিবারের দাবি, স্থানীয় চিকিৎসকরা ফতেমার রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না ৷ কিছু ওষুধ লিখে দিয়েই তাঁকা মেয়েকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় ৷ অন্যদিকে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আবেদন করেও মেলেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

রবিবার সালাম ও তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে নিজেদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইটিভি ভারতে সেই খবর প্রকাশিত হয় ৷ সেই ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই ওই বাড়ির আঙিনায় এসে পৌঁছলেন প্রশাসনিক কর্তারা। সোমবার দুপুরে চাঁচলের মহকুমাশাসক, হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের বিডিও এবং চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ফতেমাকে দেখতে যান ৷

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘আজ আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের ছত্রক এলাকায় ফতেমা নামে একটি শিশুকে দেখতে এসেছিলাম ৷ সঙ্গে ছিলেন বিডিও পার্থ দাস ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস ৷ জয়ন্তবাবু নিজে ওই শিশুকে দেখেছেন ৷ ওই শিশুর প্রয়োজনীয় সমস্তরকম চিকিৎসা পরিষেবা প্রশাসনিকভাবে দেওয়া হবে ৷ আজই ওই পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যেত ৷ কিন্তু কোনও কারণে ওঁরা যেতে পারেননি ৷ আগামিকালই ওঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যাবে ৷’’

আরও পড়ুন : মালদায় যৌনকর্মীদের টিকারকরণ স্বাস্থ্য দফতরের

চাঁচল মহকুমার সহকারী মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই শিশুর সমস্ত রিপোর্ট দেখলাম ৷ যে সিটিস্ক্যান করা হয়েছিল, তাতে সব ঠিক রয়েছে। তবে প্রয়োজনে আবারও সিটি স্ক্যান করাতে হবে ৷ পাশাপাশি আরও কিছু পরীক্ষা করাতে হবে ৷ ওই শিশুর নিউরোলজিক্যাল সমস্যা রয়েছে ৷ আগামিকাল ওই শিশুটিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়েছে ৷ সেখানেই ওই শিশুটির চিকিৎসা শুরু হবে ৷’’

মালদা, 7 জুন : শিশুর চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ৷ ইটিভি ভারতে সেই খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি আধিকারিকরা এসে পৌঁছলেন ওই অভিভাবকদের কাছে ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ অবিলম্বে সমস্তরকম চিকিৎসা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রক গ্রামের বাসিন্দা নুর সালাম ৷ তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ করোনা আবহে কাজ হারিয়ে কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরে এসেছেন সালাম। বর্তমানে তিনি জমিতে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন ৷ নুরের স্ত্রী অঞ্জলি খাতুন গৃহবধূ ৷ তাঁদের চার সন্তান ৷

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বড় মেয়ে নুর ফতেমা (9) ছ’বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল ৷ তারপর থেকেই তার শরীরে জটিল রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে ৷ বছর খানেক আগে ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায় তার হাত-পা৷ পরে বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলে ফতেমা ৷ ফতেমাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে চাঁচলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷

পরিবারের দাবি, স্থানীয় চিকিৎসকরা ফতেমার রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না ৷ কিছু ওষুধ লিখে দিয়েই তাঁকা মেয়েকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় ৷ অন্যদিকে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আবেদন করেও মেলেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

রবিবার সালাম ও তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে নিজেদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইটিভি ভারতে সেই খবর প্রকাশিত হয় ৷ সেই ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই ওই বাড়ির আঙিনায় এসে পৌঁছলেন প্রশাসনিক কর্তারা। সোমবার দুপুরে চাঁচলের মহকুমাশাসক, হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের বিডিও এবং চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ফতেমাকে দেখতে যান ৷

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘আজ আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর-2 ব্লকের ছত্রক এলাকায় ফতেমা নামে একটি শিশুকে দেখতে এসেছিলাম ৷ সঙ্গে ছিলেন বিডিও পার্থ দাস ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস ৷ জয়ন্তবাবু নিজে ওই শিশুকে দেখেছেন ৷ ওই শিশুর প্রয়োজনীয় সমস্তরকম চিকিৎসা পরিষেবা প্রশাসনিকভাবে দেওয়া হবে ৷ আজই ওই পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যেত ৷ কিন্তু কোনও কারণে ওঁরা যেতে পারেননি ৷ আগামিকালই ওঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যাবে ৷’’

আরও পড়ুন : মালদায় যৌনকর্মীদের টিকারকরণ স্বাস্থ্য দফতরের

চাঁচল মহকুমার সহকারী মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই শিশুর সমস্ত রিপোর্ট দেখলাম ৷ যে সিটিস্ক্যান করা হয়েছিল, তাতে সব ঠিক রয়েছে। তবে প্রয়োজনে আবারও সিটি স্ক্যান করাতে হবে ৷ পাশাপাশি আরও কিছু পরীক্ষা করাতে হবে ৷ ওই শিশুর নিউরোলজিক্যাল সমস্যা রয়েছে ৷ আগামিকাল ওই শিশুটিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়েছে ৷ সেখানেই ওই শিশুটির চিকিৎসা শুরু হবে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.