ETV Bharat / state

"জল নেই কেন ?" গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে বিব্রত ডালু

নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থী, এলাকার ১৩ বছরের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ গতকাল দুপুরে জালালপুর গ্রামে তিনি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ৷

আবু হাসেম খান চৌধুরি
author img

By

Published : Apr 20, 2019, 10:07 AM IST

মালদা, ২০ এপ্রিল : ইংরেজবাজারের অমৃতির পর কালিয়াচকের জালালপুর ৷ নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থী, এলাকার ১৩ বছরের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ গতকাল দুপুরে জালালপুর গ্রামে তিনি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ৷ অবশ্য এই ঘটনায় এখনও ডালুমিঞার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের অভিযোগ, এই ঘটনা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র ৷

কয়েকদিন আগে ইংরেজবাজারের অমৃতি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ডালুমিঞা ৷ গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে৷ কোনও রকমে সেখান থেকে তাঁকে বের করে আনেন তাঁর প্রচারসঙ্গীরা ৷ গতকাল একই ঘটনা ঘটে জালালপুরে ৷

অন্যান্য জায়গার মত এই গ্রামেও টোটোতে চেপে প্রচার করতে বেরিয়েছিলেন ডালুমিঞা ৷ গ্রামে ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা ৷ এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সরব হয় তারা ৷ সাংসদ থাকাকালীন এতদিনেও তিনি এসব সমস্যা মেটাতে কেন কোনও উদ্যোগ নেননি, তার জন্য সাংসদের কৈফিয়ৎ দাবি করে সবাই ৷ গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে দৃশ্যতই বিব্রত দেখায় ডালুমিঞাকে ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ৷

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ডালুমিঞার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, "গোটা বিষয়টাই তৃণমূলের চক্রান্ত ৷ সাংসদকে হেয় করতে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী জালালপুর গ্রামে আজ এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না ৷ ডালুমিঞা ওই এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করেছেন ৷ আর কালিয়াচকের মানুষ আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ৷"

মালদা, ২০ এপ্রিল : ইংরেজবাজারের অমৃতির পর কালিয়াচকের জালালপুর ৷ নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থী, এলাকার ১৩ বছরের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ গতকাল দুপুরে জালালপুর গ্রামে তিনি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ৷ অবশ্য এই ঘটনায় এখনও ডালুমিঞার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের অভিযোগ, এই ঘটনা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র ৷

কয়েকদিন আগে ইংরেজবাজারের অমৃতি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ডালুমিঞা ৷ গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে৷ কোনও রকমে সেখান থেকে তাঁকে বের করে আনেন তাঁর প্রচারসঙ্গীরা ৷ গতকাল একই ঘটনা ঘটে জালালপুরে ৷

অন্যান্য জায়গার মত এই গ্রামেও টোটোতে চেপে প্রচার করতে বেরিয়েছিলেন ডালুমিঞা ৷ গ্রামে ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা ৷ এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সরব হয় তারা ৷ সাংসদ থাকাকালীন এতদিনেও তিনি এসব সমস্যা মেটাতে কেন কোনও উদ্যোগ নেননি, তার জন্য সাংসদের কৈফিয়ৎ দাবি করে সবাই ৷ গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে দৃশ্যতই বিব্রত দেখায় ডালুমিঞাকে ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ৷

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ডালুমিঞার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, "গোটা বিষয়টাই তৃণমূলের চক্রান্ত ৷ সাংসদকে হেয় করতে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী জালালপুর গ্রামে আজ এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না ৷ ডালুমিঞা ওই এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করেছেন ৷ আর কালিয়াচকের মানুষ আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ৷"

Intro:মালদা, ১৯ এপ্রিলঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়৷Body:নির্যাতিতা নাবালিকার নাম সুপ্রিয়া প্রামাণিক (নাম পরিবর্তিত)৷ বয়স ১৭ বছর৷ সুপ্রিয়া স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী৷ ৯ মাস আগে স্থানীয় এক যুবক পিন্টু মণ্ডলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়৷ পিন্টুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুপ্রিয়া৷ অভিযোগ, গত ৮ এপ্রিল রাতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিন্টু সুপ্রিয়াকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়৷ তার সঙ্গে সহবাস করে৷ পরদিন সুপ্রিয়া দাদাকে ফোন করে জানায়, পিন্টুর পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে৷
সমস্ত ঘটনা জানিয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের দ্বারস্থ হন সুপ্রিয়ার বাবা৷ ওই পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় সালিশি সভা ডাকেন৷ কিন্তু সেই সালিশি সভায় পিন্টুর পরিবারের লোকজন আসেনি৷ এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশি অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিয়ার বাবা৷ ১০ এপ্রিল তিনি বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ জানাতে যান৷ কিন্তু পুলিশ তাদের অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সুপ্রিয়ার বাবা৷
সুপ্রিয়া জানায়, "৯ মাস ধরে আমাদের সম্পর্ক ছিল৷ ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগও হত৷ গত ৮ এপ্রিল আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পিন্টু৷ পরদিন বিকেলে পিন্টুর পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ তারপর থেকে আমি আর তাদের বাড়ি ফিরে যেতে পারিনি৷ আইনের মাধ্যমে আমি পিন্টুর সঙ্গে বিয়ে করতে চাই৷"
Conclusion:সুপ্রিয়ার বাবা জানান, "৯ মাস ধরে পিন্টু সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক ছিল৷ গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিয়া ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়৷ পরদিন সুপ্রিয়া ছেলেকে ফোন করে জানায়, পিন্টুর পরিবারের লোকজন সুপ্রিয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ এলাকায় সালিশি সভা ডাকা হয়৷ কিন্তু সালিশি সভাতে পিন্টুর পরিবারের কোনও সদস্য আসেনি৷ বাধ্য হয়েই আমরা পুলিশে অভিযোগার জানানোর সিদ্ধান্ত নিই৷ কিন্তু থানার দারোগাবাবু জানান, ভোটের সময় অভিযোগ নেওয়া যাবে না৷ মেয়ের ১৬৪ করাতে হবে৷ ছেলে ধরা পড়লে মেয়ের মেডিকেল করাতে হবে৷ কেস আমরা করব৷ আপনাদের কেসের নম্বর নিয়ে কোনও কাজ নেই৷"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.