ETV Bharat / state

ইদে বাবা পোশাক কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী বালিকা - বাবা পোশাক কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী মেয়ে

করোনা কেড়েছে কাজ ৷ ভয়ংকর ভাইরাসের ধাক্কায় গত বছরই ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি আলিম মোমিন ৷ এখন এলাকাতেই কাজ করেন ৷ তবে পর্যাপ্ত কাজ পাননি ৷ ঘরে স্ত্রী সহ তিনটি ছেলেমেয়ে ৷ সবার পেটে দানা জোগাড় করাই তাঁর বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷

আত্মঘাতী 10 বছরের মেয়ে
আত্মঘাতী 10 বছরের মেয়ে
author img

By

Published : May 14, 2021, 7:00 PM IST

মালদা, 14 মে : ইদের দিন নতুন পোশাক পরে নামাজ আদায় করতে হয় ৷ ছোটো থেকে এটাই শিখেছিল বছর দশেকের ইসমাতুন খাতুন ৷ বাবার কাছে একটা নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল সে ৷ তবে অভাবের তাড়নায় মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারেননি বাবা আলিম মোমিন ৷ আর সেই ক্ষোভেই চরম রাস্তা বেছে নিল মেয়ে ৷ ছাদের চালার বাঁশে ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ল ইসমাতুন ৷

করোনা কেড়েছে কাজ ৷ ভয়ংকর ভাইরাসের ধাক্কায় গত বছরই ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি আলিম মোমিন ৷ এখন এলাকাতেই কাজ করেন ৷ তবে পর্যাপ্ত কাজ পাননি ৷ ঘরে স্ত্রী সহ তিনটি ছেলেমেয়ে ৷ সবার পেটে দানা জোগাড় করাই তাঁর বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷

ইদে বাবা পোশাক কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী 10 বছরের মেয়ে

তবে এসেছে খুশির ইদ ৷ 10 বছরের মেয়ে বায়না ধরেছিল একটি সুন্দর পোশাক কিনে দেওয়ার ৷ গতবার হয়নি, তাই এবারের ইদে নতুন জামা লাগবেই বলে বাবাকে জানিয়েছিল সে ৷ বাবাও আশা দিয়েছিলেন মেয়েকে ৷ ইদের দিন তাকে নতুন জামা কিনে দেবেন ৷ তবে সকালে না হলেও বিকালে কিনে দেবেন ৷ সকালে পোশাক কিনতে পারেননি বাবা আলিম ৷ তাই বাবার দেওয়া আশ্বাসে আর বিশ্বাস রাখতে পারেনি মেয়ে ৷ দুপুরে সবার অলক্ষ্যে ছাদের চালার বাঁশে ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে ৷ মুহূর্তের মধ্যে ইদের আনন্দ বিষাদের ছায়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকায় ৷

ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাগ গ্রামে ৷ আলিম সাহেব ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ৷ করোনার প্রথম ধাক্কায় তিনি ঘরে ফিরে আসেন ৷ প্রাণভয়ে আর ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে পারেননি ৷ এলাকাতেই কাজ করেন ৷ প্রতিদিন কাজ জোটে না ৷ যেদিন জোটে, পাঁচ সদস্যের সংসারে সেদিন সবার পেট ভরে ৷ নয়তো আধপেটা খেয়েই থাকতে হয় ৷ করোনা ও লকডাউনে গতবারও তিনি স্ত্রী কিংবা ছেলেমেয়ের জন্য ইদের বাজার করতে পারেননি ৷ ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে এবার ছেলেমেয়েকে দু’টো করে পোশাক কিনে দেবেন ৷ কিন্তু বিধি বাম ৷ মারণ ভাইরাস ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় হানা দিয়েছে দেশে ৷ ফের কাজ হারিয়েছেন আলিমবাবু ৷ তাই অভাবের সংসারে এবারও ইদের বাজার করা হয়নি আলিম সাহেবের ৷ কিন্তু ঘরের খুদেরা তো অত কিছু বোঝে না ৷ ইদে সবার নতুন পোশাক হলেও, তাদের কেন হচ্ছে না ? বাবাকে এই প্রশ্নটাই করেছিল আলিম সাহেবের 10 বছরের মেয়ে ইসমাতুন ৷

আরও পড়ুন : করোনা কাড়ল প্রখ্যাত প্যাথলোজিস্ট সুবীর দত্তকে

আলিম সাহেব বলেন, “গতকাল সকালে মেয়েকে নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা দিয়ে আমি কাজে চলে যাই ৷ স্ত্রীর হাতে টাকাও দিয়ে গিয়েছিলাম ৷ স্ত্রী জানিয়েছিল, বিকেলে মেয়ের জামা কিনে আনবে ৷ কিন্তু জামা কেনায় দেরি সহ্য করতে পারেনি মেয়ে ৷ দুপুরে সবার অলক্ষ্যে ঘরে গিয়ে ছাদের বাঁশে ওড়না লাগিয়ে সে ঝুলে পড়ে ৷ ইদে নতুন জামা না পেয়েই মেয়েটা আত্মঘাতী হল ৷”

মালদা, 14 মে : ইদের দিন নতুন পোশাক পরে নামাজ আদায় করতে হয় ৷ ছোটো থেকে এটাই শিখেছিল বছর দশেকের ইসমাতুন খাতুন ৷ বাবার কাছে একটা নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল সে ৷ তবে অভাবের তাড়নায় মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারেননি বাবা আলিম মোমিন ৷ আর সেই ক্ষোভেই চরম রাস্তা বেছে নিল মেয়ে ৷ ছাদের চালার বাঁশে ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ল ইসমাতুন ৷

করোনা কেড়েছে কাজ ৷ ভয়ংকর ভাইরাসের ধাক্কায় গত বছরই ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি আলিম মোমিন ৷ এখন এলাকাতেই কাজ করেন ৷ তবে পর্যাপ্ত কাজ পাননি ৷ ঘরে স্ত্রী সহ তিনটি ছেলেমেয়ে ৷ সবার পেটে দানা জোগাড় করাই তাঁর বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷

ইদে বাবা পোশাক কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী 10 বছরের মেয়ে

তবে এসেছে খুশির ইদ ৷ 10 বছরের মেয়ে বায়না ধরেছিল একটি সুন্দর পোশাক কিনে দেওয়ার ৷ গতবার হয়নি, তাই এবারের ইদে নতুন জামা লাগবেই বলে বাবাকে জানিয়েছিল সে ৷ বাবাও আশা দিয়েছিলেন মেয়েকে ৷ ইদের দিন তাকে নতুন জামা কিনে দেবেন ৷ তবে সকালে না হলেও বিকালে কিনে দেবেন ৷ সকালে পোশাক কিনতে পারেননি বাবা আলিম ৷ তাই বাবার দেওয়া আশ্বাসে আর বিশ্বাস রাখতে পারেনি মেয়ে ৷ দুপুরে সবার অলক্ষ্যে ছাদের চালার বাঁশে ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে ৷ মুহূর্তের মধ্যে ইদের আনন্দ বিষাদের ছায়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকায় ৷

ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাগ গ্রামে ৷ আলিম সাহেব ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ৷ করোনার প্রথম ধাক্কায় তিনি ঘরে ফিরে আসেন ৷ প্রাণভয়ে আর ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে পারেননি ৷ এলাকাতেই কাজ করেন ৷ প্রতিদিন কাজ জোটে না ৷ যেদিন জোটে, পাঁচ সদস্যের সংসারে সেদিন সবার পেট ভরে ৷ নয়তো আধপেটা খেয়েই থাকতে হয় ৷ করোনা ও লকডাউনে গতবারও তিনি স্ত্রী কিংবা ছেলেমেয়ের জন্য ইদের বাজার করতে পারেননি ৷ ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে এবার ছেলেমেয়েকে দু’টো করে পোশাক কিনে দেবেন ৷ কিন্তু বিধি বাম ৷ মারণ ভাইরাস ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় হানা দিয়েছে দেশে ৷ ফের কাজ হারিয়েছেন আলিমবাবু ৷ তাই অভাবের সংসারে এবারও ইদের বাজার করা হয়নি আলিম সাহেবের ৷ কিন্তু ঘরের খুদেরা তো অত কিছু বোঝে না ৷ ইদে সবার নতুন পোশাক হলেও, তাদের কেন হচ্ছে না ? বাবাকে এই প্রশ্নটাই করেছিল আলিম সাহেবের 10 বছরের মেয়ে ইসমাতুন ৷

আরও পড়ুন : করোনা কাড়ল প্রখ্যাত প্যাথলোজিস্ট সুবীর দত্তকে

আলিম সাহেব বলেন, “গতকাল সকালে মেয়েকে নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা দিয়ে আমি কাজে চলে যাই ৷ স্ত্রীর হাতে টাকাও দিয়ে গিয়েছিলাম ৷ স্ত্রী জানিয়েছিল, বিকেলে মেয়ের জামা কিনে আনবে ৷ কিন্তু জামা কেনায় দেরি সহ্য করতে পারেনি মেয়ে ৷ দুপুরে সবার অলক্ষ্যে ঘরে গিয়ে ছাদের বাঁশে ওড়না লাগিয়ে সে ঝুলে পড়ে ৷ ইদে নতুন জামা না পেয়েই মেয়েটা আত্মঘাতী হল ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.