মালদা, 25 জানুয়ারি : মালদা জেলার বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) ৷ নিজ়ামের শহরের এই দল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী শিবিরে ৷ এরই মধ্যে আজ রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের সামসী চুড়িপট্টিতে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দলের কর্মীসভা হয়ে গেল ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মিম যে এই জেলার কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে যাচ্ছে, তা এই সভা থেকে জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক, হায়দরাবাদের প্রাক্তন মেয়র মাজিদ হোসেন ৷ দলের মালদা জেলা আহ্বায়ক মতিউর রহমানের ডাকে এই সভায় অংশ নেয় অনেকে ৷
আরও পড়ুন : মিম প্রধানের পর এবার ফুরফুরা শরিফে আবু হোসেন খান চৌধুরি
বক্তব্যে বিজেপি-তৃণমূলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসকেও এদিন তুলোধনা করেন মাজিদ সাহেব ৷ তিনি বলেন, “বিজেপি অবশ্যই সাম্প্রদায়িক দল ৷ কিন্তু তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের মতো অসম্প্রদায়িক দলগুলিও মুসলমানদের বোকা বানাচ্ছে ৷ ভোটের পর এই দলগুলি থেকে জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ৷ শুক্রা মুণ্ডা থেকে শুরু করে দীপালি বিশ্বাস, একাধিক উদাহরণ রয়েছে ৷ কিন্তু আমাদের দলের কোনও জনপ্রতিনিধি কখনও বিক্রি হয় না ৷ আসলে তৃণমূল হল বিজেপির বি টিম ৷ এনআরসি ও সিএএ বিল পাসের সময় তৃণমূলের সাংসদরা অনুপস্থিত থেকে বিজেপিকে সুবিধে করে দিয়েছিলেন ৷ কংগ্রেস ও বাম দল থেকেও এখন অনেকে বিজেপিতে ভিড়ছে ৷ এখন এই রাজ্যে আমাদের সভা কিংবা কোনও কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ একটা কথা বলে দিতে চাই, আমাদের কর্মী-সমর্থকদের গায়ে আঁচড় পড়লে যা হবে, তা কিন্তু তোমরা সহ্য করতে পারবে না ৷ আমরা মালদা জেলা সম্পর্কে অনেক খোঁজখবর নিয়েছি ৷ এই জেলায় আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী ৷ তাই আমরা এখানে ভোটে লড়ব ৷”
আজ মিমের এই কর্মীসভায় সভার আহ্বায়ক মতিউর রহমান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুব নেতা আমির হোসেন, সাইদুর রহমান মাদানি, হাজি এনায়েতুল্লা প্রমুখ ৷ সভাকে কেন্দ্র করে এদিন পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল যথেষ্ট ৷