ETV Bharat / state

asia beauty contest : এশিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মালদার মেয়ে - beauty contest

ছোট থেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল মধুপর্ণার । কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে সেই ইচ্ছে, ইচ্ছে হয়েই থেকে গিয়েছিল এতদিন । ধীরে ধীরে স্বপ্নপূরণের শুরুর পর আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চ ৷ কেমন ছিল এই যাত্রাপথ ? সেই গল্পই করলেন ইটিভি ভারতের সঙ্গে ৷

সুন্দরী
সুন্দরী
author img

By

Published : Jul 29, 2021, 5:24 PM IST

Updated : Jul 29, 2021, 8:15 PM IST

মালদা, 29 জুলাই : রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার সৌন্দর্যের আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন মালদার মেয়ে । আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা 'এলিক্সির এশিয়া' নামক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলেছেন তিনি । আজ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি সেই সুন্দরী প্রতিযোগী মধুপর্ণা হোড় । আপাতত বাড়িতেই নিজের গ্রুমিংয়ে ব্যস্ত তিনি ।

মালদা শহরের বাঁশবাড়ি এলাকায় বাড়ি মধুপর্ণার । মা সুমনা হোড় ৷ বাঁশবাড়ি প্রচেষ্টা নামক বাচ্চাদের একটি সংগঠনের দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি সামলান ঘরের কাজও ৷ বাবা দিলীপ হোড় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী । একসময় চুটিয়ে বামপন্থী রাজনীতি করতেন । তখন থেকেই বিভিন্ন সমাজসেবার কাজে যুক্ত হওয়া । অবসরের পর রাজনীতি থেকে সরে এসে পুরোপুরি সমাজসেবায় নিয়োজিত করেছেন নিজেকে ৷ তাঁদেরই মেয়ে মধুপর্ণা । ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর হওয়ার পর পিএইচডি করার অপেক্ষায় ।

মধুপর্ণা
বাবা ও মায়ের সঙ্গে মধুপর্ণা

ছোট থেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল মধুপর্ণার । কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে সেই ইচ্ছে, ইচ্ছে হয়েই থেকে গিয়েছিল এতদিন । দিনবদলের হাওয়ায় একসময় বদল আসে অভিভাবকদের মনেও । বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেতে শুরু করেন মধুপর্ণা । না, আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি । এর মধ্যেই কলকাতা ও দিল্লিতে র্যাম্পে হেঁটে প্রশংসিত হন । খ্যাতনামা বলিউড নায়ক তুষার কাপুরও তাঁর প্রশংসা করেছেন । তবে এখন সেসব অতীত ।

আরও পড়ুন : কেমন আছে মালদার প্রকৃতি ?

এখন মধুপর্ণার কাছে পাখির চোখে শুধুই থাইল্যান্ড । কারণ, সেখানে প্রায় 20টি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় নামবেন তিনি । তাই দেশের পাশাপাশি রাজ্য ও জেলার নামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ।

ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মধুপর্ণা বলেন, "অনেকদিন ধরেই র্যাম্পে হাঁটার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো আমার ক্ষেত্রেও পড়াশোনাটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় । তাই এতদিন ইচ্ছে পূরণ হয়নি । করোনাকালে সবাই যখন বিধ্বস্ত, তখন আমি ভাবতে শুরু করি এই সময়টা কীভাবে কাটাব । এরপর গুগল সার্চ করে নিজেকে নিজে গ্রুম করে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নামার সিদ্ধান্ত নিই । প্রথমে দিল্লিতে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিই । সেখানে অনেক কিছু শিখেছি । পরবর্তীতে রাজ্যস্তরে অংশ নিয়ে প্রথম হই । এরপর ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণ করি । ওড়িশার খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার জিত জগজিতও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন । এবার আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নিতে যাচ্ছি ।"

মধুপর্ণা আরও বলেন, "আমার ব্যক্তিগত কোনও মেকআপ আর্টিস্ট কিংবা গ্রুমার নেই । সব কিছু নিজেই করি । ইউটিউব ও সোশাল মিডিয়া দেখেই সবটা শেখার চেষ্টা করি । এর মধ্যে ইউনিসেফের হয়ে শিশুদের নিয়ে সংবিধান সম্পর্কিত একটি প্রোজেক্টও করেছি । আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পেলে তা আমি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই । আমি কোনও প্ল্যান করে এগোই না । ভবিষ্যতে যা সামনে আসবে, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই ।"

এশিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাচ্ছেন মালদার মধুপর্ণা ৷

মেয়ের এই সাফল্যে খুশি দিলীপবাবুও । তিনি বলেন, "ছোট থেকেই মেয়ে একটু অন্যরকম । আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের চিন্তাধারা থেকে ওর ভাবনাগুলো ছিল আলাদা । আমরা তার ভাবনাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি । নইলে সাফল্যটা আরও আগেই আসত । এখন তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি । আন্তর্জাতিকস্তরে ওর সাফল্য কামনা করি । আমরা চাই, নিজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ও সামনের দিকে এগিয়ে যাক । ও যেন নিজেকে পরিবারের সবার মতো সামাজিক কাজে নিয়োজিত করে । এটাই আমাদের চাওয়া ৷"

আরও পড়ুন : এইমস-এ সপ্তম মালদার ধৌলি

মালদা, 29 জুলাই : রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার সৌন্দর্যের আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন মালদার মেয়ে । আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা 'এলিক্সির এশিয়া' নামক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলেছেন তিনি । আজ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি সেই সুন্দরী প্রতিযোগী মধুপর্ণা হোড় । আপাতত বাড়িতেই নিজের গ্রুমিংয়ে ব্যস্ত তিনি ।

মালদা শহরের বাঁশবাড়ি এলাকায় বাড়ি মধুপর্ণার । মা সুমনা হোড় ৷ বাঁশবাড়ি প্রচেষ্টা নামক বাচ্চাদের একটি সংগঠনের দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি সামলান ঘরের কাজও ৷ বাবা দিলীপ হোড় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী । একসময় চুটিয়ে বামপন্থী রাজনীতি করতেন । তখন থেকেই বিভিন্ন সমাজসেবার কাজে যুক্ত হওয়া । অবসরের পর রাজনীতি থেকে সরে এসে পুরোপুরি সমাজসেবায় নিয়োজিত করেছেন নিজেকে ৷ তাঁদেরই মেয়ে মধুপর্ণা । ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর হওয়ার পর পিএইচডি করার অপেক্ষায় ।

মধুপর্ণা
বাবা ও মায়ের সঙ্গে মধুপর্ণা

ছোট থেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল মধুপর্ণার । কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে সেই ইচ্ছে, ইচ্ছে হয়েই থেকে গিয়েছিল এতদিন । দিনবদলের হাওয়ায় একসময় বদল আসে অভিভাবকদের মনেও । বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেতে শুরু করেন মধুপর্ণা । না, আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি । এর মধ্যেই কলকাতা ও দিল্লিতে র্যাম্পে হেঁটে প্রশংসিত হন । খ্যাতনামা বলিউড নায়ক তুষার কাপুরও তাঁর প্রশংসা করেছেন । তবে এখন সেসব অতীত ।

আরও পড়ুন : কেমন আছে মালদার প্রকৃতি ?

এখন মধুপর্ণার কাছে পাখির চোখে শুধুই থাইল্যান্ড । কারণ, সেখানে প্রায় 20টি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় নামবেন তিনি । তাই দেশের পাশাপাশি রাজ্য ও জেলার নামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ।

ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মধুপর্ণা বলেন, "অনেকদিন ধরেই র্যাম্পে হাঁটার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো আমার ক্ষেত্রেও পড়াশোনাটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় । তাই এতদিন ইচ্ছে পূরণ হয়নি । করোনাকালে সবাই যখন বিধ্বস্ত, তখন আমি ভাবতে শুরু করি এই সময়টা কীভাবে কাটাব । এরপর গুগল সার্চ করে নিজেকে নিজে গ্রুম করে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নামার সিদ্ধান্ত নিই । প্রথমে দিল্লিতে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিই । সেখানে অনেক কিছু শিখেছি । পরবর্তীতে রাজ্যস্তরে অংশ নিয়ে প্রথম হই । এরপর ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণ করি । ওড়িশার খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার জিত জগজিতও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন । এবার আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নিতে যাচ্ছি ।"

মধুপর্ণা আরও বলেন, "আমার ব্যক্তিগত কোনও মেকআপ আর্টিস্ট কিংবা গ্রুমার নেই । সব কিছু নিজেই করি । ইউটিউব ও সোশাল মিডিয়া দেখেই সবটা শেখার চেষ্টা করি । এর মধ্যে ইউনিসেফের হয়ে শিশুদের নিয়ে সংবিধান সম্পর্কিত একটি প্রোজেক্টও করেছি । আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পেলে তা আমি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই । আমি কোনও প্ল্যান করে এগোই না । ভবিষ্যতে যা সামনে আসবে, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই ।"

এশিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাচ্ছেন মালদার মধুপর্ণা ৷

মেয়ের এই সাফল্যে খুশি দিলীপবাবুও । তিনি বলেন, "ছোট থেকেই মেয়ে একটু অন্যরকম । আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের চিন্তাধারা থেকে ওর ভাবনাগুলো ছিল আলাদা । আমরা তার ভাবনাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি । নইলে সাফল্যটা আরও আগেই আসত । এখন তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি । আন্তর্জাতিকস্তরে ওর সাফল্য কামনা করি । আমরা চাই, নিজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ও সামনের দিকে এগিয়ে যাক । ও যেন নিজেকে পরিবারের সবার মতো সামাজিক কাজে নিয়োজিত করে । এটাই আমাদের চাওয়া ৷"

আরও পড়ুন : এইমস-এ সপ্তম মালদার ধৌলি

Last Updated : Jul 29, 2021, 8:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.