মালদা, 10 জুন : বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক যুবতি ৷ শ্লীলতাহানির শিকার তাঁর নাবালিকা বোনও ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রামপঞ্চায়েতের নিরলই গ্রামে ৷ ঘটনার পরই গ্রামবাসীদের হাতে ধরে পড়ে যায় এক অভিযুক্ত ৷ পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় মোট পাঁচজন জড়িত রয়েছে বলে আপাতত জানা গিয়েছে ৷ বাকিদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে ৷ এদিকে ঘটনার আকস্মিকতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার মা ৷ মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর ওই দুই নির্যাতিতা আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল নিরলই গ্রামে এক আদিবাসী পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ৷ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান দুই বোন ৷ রাত 11টা নাগাদ তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ অভিযোগ সেই সময় রাস্তায় তাঁদের পথ আটকায় বেশ কয়েকজন যুবক ৷ প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল ৷ অভিযোগ, তারা দুই বোনকে সেখান থেকে তুলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় ৷ সেখানে ওই যুবতিকে অন্তত দু’জন অভিযুক্ত ধর্ষণ করে ৷ সেই সময় বাকিরা ছোট বোনকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন : মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, পথ অবরোধ খেজুরিতে
এমনকি অভিযুক্তরা বড় বোনকে ছেড়ে দিলেও তাঁর ছোট বোনকে আটকে রেখেছিল ৷ বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা পরিবারের সদস্যদের জানালে, তাঁরা ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ৷ সেখানে এক অভিযুক্তের সঙ্গে নাবালিকাকে দেখতে পান পরিবারের লোকজন ৷ তাঁরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন ৷ খবর দেওয়া হয় হবিবপুর থানায় ৷ পুলিশ ওই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷ ঘটনায় মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে ৷
অন্যদিকে, ধর্ষণের খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা যুবতির মা ৷ তাঁকে তৎক্ষণাৎ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মর্মান্তিক এই খবর শুনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৷ তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৷ দুই নির্যাতিতার আজ শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷
