ETV Bharat / state

কোরোনার সংক্রমণ এড়াতে মালদায় 23টি হাট বন্ধ করল প্রশাসন

author img

By

Published : Mar 18, 2020, 2:33 PM IST

Updated : Mar 18, 2020, 3:15 PM IST

জানা যাচ্ছে, এরপর বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে জেলার দুটি নিয়ন্ত্রিত বাজারও ৷ এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের দাম কয়েকগুন বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীরা ৷ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার বণিকসভাও ৷

market_closed
কোরোনা মোকাবিলায় জেলার 23টি হাট বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন

মালদা, 18 মার্চ : কোরোনা মোকাবিলায় মালদা জেলার 23টি হাট বন্ধ করল প্রশাসন ৷ বন্ধ হতে পারে দুটি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিও । আনাজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল পড়ার সম্ভাবনা । কোরোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক নির্দেশিকার জেরে পেটে টান পড়তে পারে সাধারণ মানুষের ৷ গতকাল এক প্রশাসনিক নির্দেশিকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলার ২৩টি হাট ৷

জানা যাচ্ছে, এরপর বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে জেলার দুটি নিয়ন্ত্রিত বাজারও ৷ এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার বণিকসভাও ৷ তবে এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি নন ৷ তাঁদের একটাই বক্তব্য, কোরোনা মোকাবিলায় জনসমাগম বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, গতকাল এই রাজ্যেও কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথমে মানুষের জমায়েতে রাশ টানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ তার জেরেই গতকাল থেকে জেলার 23টি হাট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ তবে দৈনিক বাজারগুলির ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা কার্যকর করা হচ্ছে না ৷ কারণ, বাজারের থেকে হাটে অনেক বেশি মানুষের সমাগম হয় ৷ মালদা জেলার প্রচুর মানুষ ভিনরাজ্যে কাজে যান ৷ কোরোনার জেরে তাঁদের অনেকে সম্প্রতি ঘরে ফিরে এসেছেন বলে খবর মিলেছে ৷ এই শ্রমিকদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেই কাজ শুরুও হয়ে গেছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই শ্রমিকদের সবাইকে চিহ্নিত করা যায়নি ৷ তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাট বন্ধ করার সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে ৷

মালদায় 23টি হাট বন্ধ করল প্রশাসন

কিন্তু প্রশাসনের এই নির্দেশিকার জেরে পেটে টান পড়তে চলেছে আমআদমির ৷ ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক নবকুমার সাহা বলেন, " হাট কিংবা নিয়ন্ত্রিত বাজার বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে ৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে ৷ ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন ৷ বিভিন্ন শপিং মল ও বাজার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন সব জায়গায় চিঠি করেছে ৷ যেসব জায়গায় মানুষের বেশি সমাগম হয়, সেই জায়গাগুলি বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে ৷ গতকাল থেকে হাটগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি ৷ আগামীকাল এই জেলার অন্যতম বড় সামসী হাট বন্ধ থাকবে ৷ গতকাল চাঁচল হাট হয়নি ৷ এসব হাট বন্ধ করে দেওয়া হলে মানুষের সমস্যা বাড়বে ৷ মানুষ খাবে কী? ফলে আনাজ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি শুরু হবে ৷ নিশ্চিতভাবেই এসবের দাম বাড়বে ৷ "

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সও ৷ সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, " কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ৷ কিন্তু গতকাল থেকে এই জেলার 23 টি হাট বন্ধ করে দেওয়ায় সিদ্ধান্তে মানুষের সমস্যা বাড়বে ৷ শুধু তাই নয়, ইংরেজবাজার ও সামসী নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিও দু’একদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ৷ হাট ও নিয়ন্ত্রিত বাজার বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ ৷ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও প্রচণ্ড সমস্যায় পড়বেন ৷ আনাজ, মাছ, ডিম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের আকাল দেখা দেবে ৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের একটি আলোচনাসভা ডাকা উচিত ৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়টি প্রশাসনের মোকাবিলা করা প্রয়োজন ৷ "

মালদা, 18 মার্চ : কোরোনা মোকাবিলায় মালদা জেলার 23টি হাট বন্ধ করল প্রশাসন ৷ বন্ধ হতে পারে দুটি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিও । আনাজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল পড়ার সম্ভাবনা । কোরোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক নির্দেশিকার জেরে পেটে টান পড়তে পারে সাধারণ মানুষের ৷ গতকাল এক প্রশাসনিক নির্দেশিকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলার ২৩টি হাট ৷

জানা যাচ্ছে, এরপর বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে জেলার দুটি নিয়ন্ত্রিত বাজারও ৷ এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার বণিকসভাও ৷ তবে এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি নন ৷ তাঁদের একটাই বক্তব্য, কোরোনা মোকাবিলায় জনসমাগম বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, গতকাল এই রাজ্যেও কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথমে মানুষের জমায়েতে রাশ টানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ তার জেরেই গতকাল থেকে জেলার 23টি হাট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ তবে দৈনিক বাজারগুলির ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা কার্যকর করা হচ্ছে না ৷ কারণ, বাজারের থেকে হাটে অনেক বেশি মানুষের সমাগম হয় ৷ মালদা জেলার প্রচুর মানুষ ভিনরাজ্যে কাজে যান ৷ কোরোনার জেরে তাঁদের অনেকে সম্প্রতি ঘরে ফিরে এসেছেন বলে খবর মিলেছে ৷ এই শ্রমিকদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেই কাজ শুরুও হয়ে গেছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই শ্রমিকদের সবাইকে চিহ্নিত করা যায়নি ৷ তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাট বন্ধ করার সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে ৷

মালদায় 23টি হাট বন্ধ করল প্রশাসন

কিন্তু প্রশাসনের এই নির্দেশিকার জেরে পেটে টান পড়তে চলেছে আমআদমির ৷ ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক নবকুমার সাহা বলেন, " হাট কিংবা নিয়ন্ত্রিত বাজার বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে ৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে ৷ ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন ৷ বিভিন্ন শপিং মল ও বাজার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন সব জায়গায় চিঠি করেছে ৷ যেসব জায়গায় মানুষের বেশি সমাগম হয়, সেই জায়গাগুলি বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে ৷ গতকাল থেকে হাটগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি ৷ আগামীকাল এই জেলার অন্যতম বড় সামসী হাট বন্ধ থাকবে ৷ গতকাল চাঁচল হাট হয়নি ৷ এসব হাট বন্ধ করে দেওয়া হলে মানুষের সমস্যা বাড়বে ৷ মানুষ খাবে কী? ফলে আনাজ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি শুরু হবে ৷ নিশ্চিতভাবেই এসবের দাম বাড়বে ৷ "

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সও ৷ সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, " কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ৷ কিন্তু গতকাল থেকে এই জেলার 23 টি হাট বন্ধ করে দেওয়ায় সিদ্ধান্তে মানুষের সমস্যা বাড়বে ৷ শুধু তাই নয়, ইংরেজবাজার ও সামসী নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিও দু’একদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ৷ হাট ও নিয়ন্ত্রিত বাজার বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ ৷ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও প্রচণ্ড সমস্যায় পড়বেন ৷ আনাজ, মাছ, ডিম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের আকাল দেখা দেবে ৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের একটি আলোচনাসভা ডাকা উচিত ৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়টি প্রশাসনের মোকাবিলা করা প্রয়োজন ৷ "

Last Updated : Mar 18, 2020, 3:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.