কলকাতা, 22 এপ্রিল : বিশ্ব বসুন্ধরা দিবসেও শহরের বায়ু দূষিত রইল। প্রায় একমাস হয়ে গেল লকডাউন । বন্ধ যানবাহন, কল-কারখানা। তারপরও কলকাতার বাতাসে কমেনি দূষণের মাত্রা । প্রতিদিন প্রতি ঘনমিটারে 25 মাইক্রোগ্রামের নিচে দূষণের মাত্রা থাকলে সেটাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূচক অনুযায়ী দূষণহীন বায়ু বলা হয়। আজ শহরের বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল 40 মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। যা মোটেই স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ।
শহরে অনেকটাই কমেছে শব্দদূষণ। শহরের অভ্যন্তরের নদী এবং লেকে জলের দূষণের মাত্রাও কম । কিন্তু বায়ুদূষণ নিয়ে এখনও চিন্তিত পরিবেশ কর্মীরা। এবিষয়ে, পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, "লকডাউনের এই বসুন্ধরা দিবসে শব্দ দূষণ কমেছে প্রায় 70 শতাংশ। বায়ুদূষণও 70 শতাংশ কমেছে। কিন্তু পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি শহরের বাতাস। এখন শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা 40 মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার । যা থাকার কথা ২৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। স্বাভাবিকের থেকে 15 মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে রয়েছে বাতাসের দূষণের পরিমাণ।"
সোমেন্দ্রঘোষ আরও জানান, শহরে একাধিকবার কালবৈশাখির ঝড়ো-হাওয়া বয়ে গিয়েছে। এর ফলে নদ-নদী খাল-বিল পুকুর এবং লেকের জলের গুণগত মান বেড়েছে। আগের দূষণ অনেকটাই কমেছে। প্রায় 50 শতাংশ কমেছে সামগ্ৰিক দূষণ। সুস্থ বাতাস, বিশুদ্ধ জল, সুস্থ পরিবেশ, পাখির কোলাহল, শহরে ফিরে এসেছে। তাই শহরের নাগরিক থেকে পরিবেশ কর্মীরা সবাই চাইছেন, এখন এমনই পরিবেশ থাকুক বারোমাস।
পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষের কথায়, পরিবেশকে বিশুদ্ধ এবং সুস্থ রাখতে গেলে, সচেতন থাকতে হবে শহরের বাসিন্দাদের। সতর্ক হতে হবে প্রত্যেককে। প্লাস্টিক বর্জন করে পৃথিবীকে আরও ভালো রাখতে হবে। দূষণ যত কমবে ততই পরাজিত হবে সমস্ত মারণ ব্যাধি। নির্মূল হবে অন্যান্য রোগ।