ETV Bharat / state

9 মিনিটের অন্ধকারে নামবে না তো 'আঁধার' ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

"আলো তো না হয় বন্ধ করলাম, কিন্তু আলো আর ফিরবে তো ?" আপাতত এই চিন্তাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 5, 2020, 5:56 PM IST

Updated : Apr 5, 2020, 6:25 PM IST

কলকাতা, 5 এপ্রিল : কোরোনার বিরুদ্ধে একজোট হতে, লড়াইয়ের শপথ নিতে আজ রাত 9টায় 9 মিনিটের জন্য ঘরের আলো বন্ধ রাখার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । আর এরপর থেকেই ঘোরাফেরা করছে একটাই প্রশ্ন- "আলো তো না হয় বন্ধ করলাম, কিন্তু আলো আর ফিরবে তো ?" আপাতত কোরোনা-আতঙ্কের থেকে আজ এই আশঙ্কাই বেশি করে তাড়া করছে অনেককে ।

প্রথম যে চিন্তাটা আসছে তা হল, হঠাৎ করে সারা দেশে আলো বন্ধ করে আবার 9 মিনিট পর একসঙ্গে আলো জ্বালালে পাওয়ার গ্রিডগুলিতে চাপ পড়বে না তো । চিন্তাটা একেবারে অমূলক নয় । প্রথমে আমাদের জানতে হবে এই পাওয়ার গ্রিড আসলে কী ? এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, "পাওয়ার গ্রিড হল একটি মাধ্যম যা বিদ্যুৎ বণ্টনের কাজ করে । বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার পর তা প্রথমে ট্রান্সমিশন গ্রিড ও পরে ডিস্ট্রিবিউশন গ্রিড হয়ে আমাদের বাড়ি এসে পৌঁছায় । কোন এলাকার জন্য কতটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দরকার তার একটি আপাত ধারণা সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলির কাছে থাকে । এখন হঠাৎ করে সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে গেলে, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, সেই পরিমাণে সরবরাহ হবে না । ফলে চাপ বাড়বে গ্রিডগুলিতে । সেক্ষেত্রে গ্রিড বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।"

CESC-র প্রাক্তন জেনেরাল ম্যানেজার সুজিত পোদ্দারের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল । তাঁর কথায়, আপাতভাবে এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা থেকেই যায় । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধুমাত্র ঘরের আলো বন্ধ রাখতে । অর্থাৎ তখন AC, ফ্রিজ, TV সবই চালু রাখা যাবে । ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমলেও গ্রিড বিকল হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই মনে হচ্ছে । তিনি আরও বলছেন, এখানে চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, আজকাল TV, AC প্রতিটিতেই ভোল্টেজ ভ্যারিয়েশনের বিরুদ্ধে সেফ গার্ড দেওয়া থাকে।

তবে পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না বলেও জানিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ । দেশজুড়ে যে লকডাউন চলছে, তাতে একাংশ যেমন ঘরে বসে থাকছে , আবার অন্য একটি অংশকে রাস্তায় বেরোতেও দেখা যাচ্ছে । এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা সেইরকমই । প্রধানমন্ত্রীর ডাকে মানুষ কতটা সাড়া দেবে, তার উপরেও নির্ভর করছে অনেকটাই । এই যেমন ধরুন, কেউ ঘরের আলো বন্ধ করে রাখলেন । কেউ আবার, আলো, ফ্রিজ, AC সবই বন্ধ করে রাখলেন । আবার কেউ কিছুই করলেন না । তাই কী হতে পারে তা আগে থেকে নিশ্চিতভাবে বলাটা খুবই কঠিন ।

বিদ্যুৎ মন্ত্রীর OSD রূপঙ্কর সোমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল । তাঁর মতে, বর্তমানে লকডাউনের কারণে একাধিক জায়গায় প্রচুর জেনারেটর বন্ধ রয়েছে । যখনই কোনও রকমের ধাক্কা আসবে তখনই লোড টেনে নেবে। কোনও ক্ষতি হবে না। কোনওরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এই পরিস্থিতিতে বাড়ির AC, ফ্রিজ, TV ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী বন্ধ করে রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ । সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরগুলি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে বলেও আশ্বাস দিয়েছে তারা ।

কলকাতা, 5 এপ্রিল : কোরোনার বিরুদ্ধে একজোট হতে, লড়াইয়ের শপথ নিতে আজ রাত 9টায় 9 মিনিটের জন্য ঘরের আলো বন্ধ রাখার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । আর এরপর থেকেই ঘোরাফেরা করছে একটাই প্রশ্ন- "আলো তো না হয় বন্ধ করলাম, কিন্তু আলো আর ফিরবে তো ?" আপাতত কোরোনা-আতঙ্কের থেকে আজ এই আশঙ্কাই বেশি করে তাড়া করছে অনেককে ।

প্রথম যে চিন্তাটা আসছে তা হল, হঠাৎ করে সারা দেশে আলো বন্ধ করে আবার 9 মিনিট পর একসঙ্গে আলো জ্বালালে পাওয়ার গ্রিডগুলিতে চাপ পড়বে না তো । চিন্তাটা একেবারে অমূলক নয় । প্রথমে আমাদের জানতে হবে এই পাওয়ার গ্রিড আসলে কী ? এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, "পাওয়ার গ্রিড হল একটি মাধ্যম যা বিদ্যুৎ বণ্টনের কাজ করে । বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার পর তা প্রথমে ট্রান্সমিশন গ্রিড ও পরে ডিস্ট্রিবিউশন গ্রিড হয়ে আমাদের বাড়ি এসে পৌঁছায় । কোন এলাকার জন্য কতটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দরকার তার একটি আপাত ধারণা সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলির কাছে থাকে । এখন হঠাৎ করে সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে গেলে, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, সেই পরিমাণে সরবরাহ হবে না । ফলে চাপ বাড়বে গ্রিডগুলিতে । সেক্ষেত্রে গ্রিড বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।"

CESC-র প্রাক্তন জেনেরাল ম্যানেজার সুজিত পোদ্দারের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল । তাঁর কথায়, আপাতভাবে এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা থেকেই যায় । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধুমাত্র ঘরের আলো বন্ধ রাখতে । অর্থাৎ তখন AC, ফ্রিজ, TV সবই চালু রাখা যাবে । ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমলেও গ্রিড বিকল হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই মনে হচ্ছে । তিনি আরও বলছেন, এখানে চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, আজকাল TV, AC প্রতিটিতেই ভোল্টেজ ভ্যারিয়েশনের বিরুদ্ধে সেফ গার্ড দেওয়া থাকে।

তবে পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না বলেও জানিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ । দেশজুড়ে যে লকডাউন চলছে, তাতে একাংশ যেমন ঘরে বসে থাকছে , আবার অন্য একটি অংশকে রাস্তায় বেরোতেও দেখা যাচ্ছে । এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা সেইরকমই । প্রধানমন্ত্রীর ডাকে মানুষ কতটা সাড়া দেবে, তার উপরেও নির্ভর করছে অনেকটাই । এই যেমন ধরুন, কেউ ঘরের আলো বন্ধ করে রাখলেন । কেউ আবার, আলো, ফ্রিজ, AC সবই বন্ধ করে রাখলেন । আবার কেউ কিছুই করলেন না । তাই কী হতে পারে তা আগে থেকে নিশ্চিতভাবে বলাটা খুবই কঠিন ।

বিদ্যুৎ মন্ত্রীর OSD রূপঙ্কর সোমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল । তাঁর মতে, বর্তমানে লকডাউনের কারণে একাধিক জায়গায় প্রচুর জেনারেটর বন্ধ রয়েছে । যখনই কোনও রকমের ধাক্কা আসবে তখনই লোড টেনে নেবে। কোনও ক্ষতি হবে না। কোনওরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এই পরিস্থিতিতে বাড়ির AC, ফ্রিজ, TV ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী বন্ধ করে রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ । সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরগুলি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে বলেও আশ্বাস দিয়েছে তারা ।

Last Updated : Apr 5, 2020, 6:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.