কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : পরীক্ষায় বসতে চলেছেন পুলিশ কর্তারা! না, মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিং নয়। আক্ষরিক অর্থে পরীক্ষা দিতে হবে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের। করতে হবে মন দিয়ে পড়াশোনা। নিতে হবে ট্রেনিং। অবাক হচ্ছেন ? ভাবছেন, IPS-দের আবার পরীক্ষা! হ্যাঁ, বাস্তবেই এটা হতে চলেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা নেবে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে কতখানি দক্ষতা অর্জন করলেন জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনাররা সেটা বুঝে নিতেই ওই পরীক্ষার আয়োজন। পরীক্ষা শেষে মিলবে সার্টিফিকেটও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
মনোনয়নপত্রে কোন জিনিসগুলো খুঁটিয়ে দেখা সব থেকে বেশি জরুরি ? প্রার্থীরা হলফনামায় যা জমা দেবেন সেগুলো কি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন? এমন অনেক প্রশ্ন উঠে আসবে ট্রেনিংয়ের মাঝে। প্রশ্নকর্তা জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকের মত উচ্চপদস্থ কর্তারা। সম্প্রতি বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কনফারেন্স হলে সে সব প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক, যুগ্ম মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকরা। সঙ্গে দেওয়া হয় পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার ট্রেনিং। ট্রেনিংয়ের উপর ভিত্তি করে হয় পরীক্ষা। কথা ছিল ওই সময়, রাজ্যে সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপাররা আসবেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে ট্রেনিং নিতে। তাঁদেরও দেওয়া হবে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কিছু ট্রেনিং। সেটা বাতিল করা হয়। তার বদলে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স হয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কর্তাদের।

কিন্তু তাতে নির্বাচন পরিচালনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে সবটা জানা হয়নি অফিসারদের। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট ঘোষণা হলেই রাজ্যে আসবেন পুলিশ অবজ়ারভার। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন। সেটি নিশ্চিত করতেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দেওয়া হবে ট্রেনিং। ট্রেনিং শেষে নেওয়া হবে পরীক্ষা।