কলকাতা, 9 নভেম্বর : প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে মা উড়ালপুল ৷ একের পর এক দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ছে শহরবাসীর ৷ কিন্তু কেন এত দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে ? তবে কি পুলিশি নজরদারির অভাব ?
চিনা মাঞ্জা থেকে শুরু করে, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ৷ এমনকি রাত 10টার পর মা উড়ালপুলে বাইক ওঠা নিষিদ্ধ থাকলেও ওই সময়ের পেরিয়ে যাওয়ার পরেও উড়ালপুলে উঠছে বাইক । আর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলেই ঘটছে একাধিক পথ দুর্ঘটনা । এর মধ্যে আবার গাড়ি বা বাইক দাঁড় করিয়ে কেউ কেউ মা উড়ালপুলের উপর থেকে দিচ্ছে মারণ ঝাঁপ । কেন এমন দশা শহরের সঙ্গে শহরতলির একমাত্র সংযোগকারী দীর্ঘ উড়ালসেতুর ?
আরও পড়ুন : উড়ালপুলে দুর্ঘটনা রুখতে কাঁটাতারে মুড়তে চলছে মা
মা উড়ালপুলের নিচে রয়েছে কলকাতা পুলিশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ থানা । প্রগতি ময়দান, তিলজলা, কড়েয়া ও তপসিয়া । লালবাজার সূত্রের খবর, অফিস টাইমে সারজেন্ট পদাধিকারী আটজন পুলিশ গোটা উড়ালপুল জুড়ে নজরদারির কাজে নিয়োজিত থাকেন । তাহলে তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগ চিন্তিত । যদিও এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কোনও আধিকারিকই কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যেই মা উড়ালপুলে বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর জন্য পাঁচ পুলিশ কর্মীর একটি দল গঠন করা হয়েছে । তা কাজেও লাগানো হচ্ছে । তাছাড়াও উড়ালপুলে পুলিশের দুটি কিয়স্কও তৈরি করা হয়েছে । এই কিয়স্কের মাধ্যমে উড়ালপুলের যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঘুড়ির উপরও নজর রাখা হবে ।
আরও পড়ুন : Maa Flyover : দুর্ঘটনা এড়াতে বসছে ফেন্সিং, দুই সপ্তাহের জন্য রাতে বন্ধ থাকবে মা উড়ালপুল
তবে লালবাজারের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন মাসে মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা সুতো থেকে দুর্ঘটনায় 12 জন বাইক আরোহী জখম হয়েছেন ।
তাছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একইদিনে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে মা উড়ালপুলে ৷ দুপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় 35 বছরের এক তরুণের । ফোন আসায় স্কুটার দাঁড় করিয়ে মোবাইলে কথা বলার সময় পিছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারলে উড়ালপুলের বাইরে ছিটকে গিয়ে নিচে আছড়ে পড়েন সল্টলেকের বাসিন্দা অরিজিৎ মৈত্র । এইদিন রাতেই একটি পণ্যবাহী গাড়ি উল্টে বিপত্তি ঘটে মা উড়ালপুলে ।
আরও পড়ুন : ফের মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা, উলটে গেল গাড়ি
গত 18 অক্টোবর রাতে আচমকাই আইটিসি হোটেলের ঠিক সামনে মা উড়ালপুলে চিংড়িঘাটা র্যাম্পে দুর্ঘটনা ঘটে । পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার শিকার হন এক সেনাকর্মী । ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় মদের বোতল । রাত 1টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাকর্মীকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ ।
আর গত রবিবার অর্থাৎ 7 নভেম্বর রাতে মা উড়ালপুলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মারণ ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি । ফলে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে মা উড়ালপুলের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ।
আরও পড়ুন : গাড়ির ধাক্কায় মা উড়ালপুল থেকে নিচে পড়ে মৃত 1