ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ? গাড়ির কিছু সমস্যা হয়েছিল, সাফাই রাজীবার - দেখা মিলল না বাহিনীর

ভোটের দিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের একাধিক জেলা । ছাপ্পার সঙ্গেই দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের। তারপরও দেখা মিলল না কেন্দ্রীয় বাহিনীর ।

Etv Bharat
কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
author img

By

Published : Jul 8, 2023, 5:13 PM IST

কলকাতা, 8 জুলাই: সকাল দেখলে বোঝা যায় দিন কেমন যাবে । এই প্রচলিত আপ্ত বাক্য কার্যত হারে-হারে মিলে গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই যেভাবে একের পর এক জেলায় অসান্তি, হিংসা ছড়িয়েছিল, তাতে ওয়াকিবহল মহল দাবি করেছিল বোমা-বারুদের গন্ধ থেকে মুক্ত থাকবে না পঞ্চায়েত ভোটের দিনও । আর তার জেরেই রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখতে পারেননি খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি । এমনকী সুপ্রিম কোর্টও সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছিল । কিন্তু যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি এতটা ভরসা রেখেছিল হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, ভোটকর্মী এবং বিরোধীরাও, সেই বাহিনীকেই কার্যত শনিাবর ভোটের দিন দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হল । আর বাহিনীর অপ্রতুলতা এদিন স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা । বাহিনীকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কিছু সমস্যা ছিল তা মেনে নিয়েছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলার দায় এদিন রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছেন রাজীবা ।

এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাধিক জেলা । ছাপ্পার সঙ্গেই দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের। এমনকী এদিনও ঝড়েছে রক্ত । এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভোটের দিন হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে 15 জন। কোচবিহার, খড়গ্রাম, রেজিনগ, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, লালগোলা, আউশগ্রাম, নওদায় একের পর মৃত্যু মিছিল দেখেছে রাজ্যের মানুষ। তারপরও অবশ্য বিকালে অসহায় দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে । এদিন অবশ্য রাজ্য়ের পুলিশের ঘাড়েই দায় চাাপতে দেখা গেল কমিশনারকে ।

এদিন রাজীবা সিনহা বলেন, "সন্ত্রাস মোকাবিলার দায় রাজ্যের । আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজ পুলিশের । কমিশনের দায়িত্ব ভোটের ব্যবস্থাপনা করা । কমিশন সেই দায়িত্বই পালন করছে ।" এখানেই শেষ নয়, কমিশনার জানান, অভিযোগ এসেছে প্রচুর । এমনকী তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান কমিশনার । তবে এই আশংকা তো ছিলই । আর সে কারণেই তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য তদ্বির করেছিল খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ । যেখানে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের এই পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হবে ধরেই নিয়েছিল, তা বুঝতে তবে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন? কমিশনার অবশ্য এদিন অশান্তির খবর উড়িয়ে দেননি । তিনিও এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রচুর এসেছে কমিশনারের দফতরে । সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কিন্তু যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এত তোড়জোর তাদের কেন এদিন দেখা পাওয়া গেল না ? কমিশনার রাজীবা সিনহা জানান, যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল অর্থাৎ 822, তা এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে ।

আরও পড়ুন: হিংসার সামগ্রিক পরিস্থিতি স্ক্রুটিনির পর পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত: রাজীবা

এদিন রাজীবা সিনহা আরও বলেন, "কিছু জায়গায় বাহিনী পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে । বাহিনীকে পাঠানোর জন্য গাড়িরও সমস্যা হয়েছে । কিন্তু যত বাহিনী এসেছে তা মোতায়েন করা হয়েছে । মোট 650 কোম্পানি বাহিনী এসেছে ।" তবে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলা যাবে কি ? কমিশনারের উত্তর, " যতক্ষণ না ভোট শেষ হচ্ছে, যতক্ষণ না রিপোর্ট হাতে পাচ্ছি ততক্ষণ কিছু বলতে পারব না ৷ ।"

কলকাতা, 8 জুলাই: সকাল দেখলে বোঝা যায় দিন কেমন যাবে । এই প্রচলিত আপ্ত বাক্য কার্যত হারে-হারে মিলে গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই যেভাবে একের পর এক জেলায় অসান্তি, হিংসা ছড়িয়েছিল, তাতে ওয়াকিবহল মহল দাবি করেছিল বোমা-বারুদের গন্ধ থেকে মুক্ত থাকবে না পঞ্চায়েত ভোটের দিনও । আর তার জেরেই রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখতে পারেননি খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি । এমনকী সুপ্রিম কোর্টও সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছিল । কিন্তু যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি এতটা ভরসা রেখেছিল হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, ভোটকর্মী এবং বিরোধীরাও, সেই বাহিনীকেই কার্যত শনিাবর ভোটের দিন দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হল । আর বাহিনীর অপ্রতুলতা এদিন স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা । বাহিনীকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কিছু সমস্যা ছিল তা মেনে নিয়েছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলার দায় এদিন রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছেন রাজীবা ।

এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাধিক জেলা । ছাপ্পার সঙ্গেই দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের। এমনকী এদিনও ঝড়েছে রক্ত । এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভোটের দিন হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে 15 জন। কোচবিহার, খড়গ্রাম, রেজিনগ, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, লালগোলা, আউশগ্রাম, নওদায় একের পর মৃত্যু মিছিল দেখেছে রাজ্যের মানুষ। তারপরও অবশ্য বিকালে অসহায় দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে । এদিন অবশ্য রাজ্য়ের পুলিশের ঘাড়েই দায় চাাপতে দেখা গেল কমিশনারকে ।

এদিন রাজীবা সিনহা বলেন, "সন্ত্রাস মোকাবিলার দায় রাজ্যের । আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজ পুলিশের । কমিশনের দায়িত্ব ভোটের ব্যবস্থাপনা করা । কমিশন সেই দায়িত্বই পালন করছে ।" এখানেই শেষ নয়, কমিশনার জানান, অভিযোগ এসেছে প্রচুর । এমনকী তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান কমিশনার । তবে এই আশংকা তো ছিলই । আর সে কারণেই তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য তদ্বির করেছিল খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ । যেখানে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের এই পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হবে ধরেই নিয়েছিল, তা বুঝতে তবে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন? কমিশনার অবশ্য এদিন অশান্তির খবর উড়িয়ে দেননি । তিনিও এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রচুর এসেছে কমিশনারের দফতরে । সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কিন্তু যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এত তোড়জোর তাদের কেন এদিন দেখা পাওয়া গেল না ? কমিশনার রাজীবা সিনহা জানান, যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল অর্থাৎ 822, তা এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে ।

আরও পড়ুন: হিংসার সামগ্রিক পরিস্থিতি স্ক্রুটিনির পর পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত: রাজীবা

এদিন রাজীবা সিনহা আরও বলেন, "কিছু জায়গায় বাহিনী পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে । বাহিনীকে পাঠানোর জন্য গাড়িরও সমস্যা হয়েছে । কিন্তু যত বাহিনী এসেছে তা মোতায়েন করা হয়েছে । মোট 650 কোম্পানি বাহিনী এসেছে ।" তবে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলা যাবে কি ? কমিশনারের উত্তর, " যতক্ষণ না ভোট শেষ হচ্ছে, যতক্ষণ না রিপোর্ট হাতে পাচ্ছি ততক্ষণ কিছু বলতে পারব না ৷ ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.