কলকাতা, 6 মে: অস্বস্তিকর গরম থেকে দিনকয়েকের রেহাই পেয়েছেন বঙ্গবাসী ৷ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কয়েকদিন তাপপ্রবাহের রাশ টেনে রাখার পর এবার বঙ্গে দুর্যোগ ৷ আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো শনিবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ৷ তবে তার প্রভাব এখনও পর্যন্ত না-মিললেও সে যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে তা জানাল হাওয়া অফিস ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গণেশ চন্দ্র দাস শনিবার জানিয়েছেন, আজ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন জায়গায়। এর প্রভাবে আগামী 48 ঘণ্টায় একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ৷ আগামী 9 তারিখ নাগাদ তা আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 9 তারিখের পর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে এগোবে। তারপর মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে 10 তারিখ নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোকায় পরিণত হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এর প্রভাবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী 8, 9 এবং 10 তারিখ মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৷ তাই লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে । আগামী 8 তারিখ ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় 50-60 কিলোমিটার ৷ 9 তারিখ সেই গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াবে 80 থেকে 90 কিলোমিটার ৷ অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে পার্বত্য জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে দু'একটি জেলায় কালবৈশাখী হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য আপাতত 10 মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব আন্দামান-নিকোবরে, দক্ষিণবঙ্গে এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
গণেশ চন্দ্র দাসের কথায়, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব কোনপথে তার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফে। বাকি জেলায় বৃষ্টি সেভাবে হবে না। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়বে। পশিমের জেলায় 40 ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে তাপমাত্রা।" শনিবার দুপুর আড়াইটের সময় নেওয়া পরিসংখ্যানে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 34.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস।