ETV Bharat / state

তোলাবাজির শাস্তি কী ? কী বলছেন আইনজীবীরা... - MAMATA

তোলাবাজির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপরই তোলাবাজির অভিযোগে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী । তোলাবাজির শাস্তি কী রয়েছে ভারতীয় আইনে, জেনে নিন ।

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jun 22, 2019, 2:52 AM IST

Updated : Jun 22, 2019, 3:00 AM IST

কলকাতা, 22 জুন : সম্প্রতি দলীয় নেতা-কর্মীদের তোলাবাজির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি । তোলাবাজির অভিযোগে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী । যা সমস্যায় ফেলেছে রাজ্যের শাসকদলকে । তবে, যদি কেউ তোলাবাজি বা কাটমানি নিয়ে থাকে, তার কি আদৌ শাস্তি রয়েছে ? শাস্তি হলেও তা কী হতে পারে ? এবিষয়ে কী বলছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা ?

আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, "আইনি পরিভাষায় কাটমানি বলে কিছু হয় না । এটা এক ধরনের তোলাবাজি । কাউকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পয়সা নেওয়া । এক্ষেত্রে তিনবছর পর্যন্ত জেল হতে পারে । যারা এই ধরনের কাজে লিপ্ত তাদের সরকারি অর্থ অপব্যবহার করার দায়ে 420 ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা যেতে পারে । এটা একই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য করা হয় । এক্ষেত্রে 121-A ধারায় শাস্তি হতে পারে । তবে তার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ থাকতে হবে । যেমন কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ, পারস্পরিক কথাবার্তা, যা থেকে বোঝা যাবে অভিযুক্ত টাকা নিয়েছে কি না । তবে আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একথা বলেননি । উনি একটা দলের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মীদের আত্মশুদ্ধির জন্য এই কথা বলেছেন । উনি কিন্তু কোনও শাস্তির কথা বলেননি । কিন্তু, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।"

শুনুন আইনজীবীদের বক্তব্য

এবিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "তোলাবাজি করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া যায় । রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতারা তোলাবাজি করেছিলেন । এবং তা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে । নির্বাচনে জিতে গেলে এসব কথা উঠত না । হেরেছেন বলে এখন বলছেন । নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য এসব কথা বলছেন । এটা বলার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় তাঁর দলের লোকজনই কাটমানি নিয়েছেন, এবং তিনি তা জানতেন । প্রশাসনের উচিত ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া । একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সাংবিধানিক পদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । দিনের পর দিন ধরে জুলুম চলেছে । নিজের বাড়িতে থাকতে গেলে 40-50 হাজার টাকা দিতে হবে । চাষ করে ফসল তুললে টাকা দিতে হবে । শতাব্দী রায় বলেছেন যে এটার একটা চেন আছে । এই চেন শতাব্দী থেকে মমতা পর্যন্ত পৌঁছেছে । টাকা যদি ফেরত দেয় তাহলে নিচের তলার বহু CPI(M) কর্মী উপকৃত হবেন ।" তোলাবাজির কী শাস্তি হতে পারে ? বিকাশবাবু বলেন, "আমাদের যা ফৌজদারি আইন রয়েছে, সেই অনুযায়ী শাস্তি হবে । জেল হতে পারে । জরিমানাও হতে পারে ।"

এই সংক্রান্ত খবর : কাটমানি খেলেই গ্রেপ্তার, নেতাদের হুঁশিয়ারি মমতার

আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, "মমতা যা বলেছে আমি সমর্থন করি । যে ভাই টাকা চুরি করে বাড়ি-গাড়ি করেছ, এবার সেই টাকা ফেরত দাও । এলাকার লোকজন লাঠি নিয়ে গিয়ে বলুক, টাকা ফেরত দাও । আইনে সংস্থান আছে কিন্তু, সেটা সময়সাপেক্ষ । দলের লোকগুলো যারা বলছে মুখ্যমন্ত্রী আগে বলল না কেন, তারা আরও বেশি চোর । একতলা বাড়ি ছিল, চারতলা হয়েছে । এর সঙ্গে মন্ত্রী থেকে সবাই যুক্ত । আমার কাছে নাম চাইলে আমি দিতে পারি । মুখ্যমন্ত্রী ভালোই করেছেন ।"

এই সংক্রান্ত খবর :তোলাবাজির টাকা ফেরত দিন, কর্মীদের নির্দেশ মমতার

কলকাতা, 22 জুন : সম্প্রতি দলীয় নেতা-কর্মীদের তোলাবাজির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি । তোলাবাজির অভিযোগে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী । যা সমস্যায় ফেলেছে রাজ্যের শাসকদলকে । তবে, যদি কেউ তোলাবাজি বা কাটমানি নিয়ে থাকে, তার কি আদৌ শাস্তি রয়েছে ? শাস্তি হলেও তা কী হতে পারে ? এবিষয়ে কী বলছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা ?

আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, "আইনি পরিভাষায় কাটমানি বলে কিছু হয় না । এটা এক ধরনের তোলাবাজি । কাউকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পয়সা নেওয়া । এক্ষেত্রে তিনবছর পর্যন্ত জেল হতে পারে । যারা এই ধরনের কাজে লিপ্ত তাদের সরকারি অর্থ অপব্যবহার করার দায়ে 420 ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা যেতে পারে । এটা একই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য করা হয় । এক্ষেত্রে 121-A ধারায় শাস্তি হতে পারে । তবে তার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ থাকতে হবে । যেমন কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ, পারস্পরিক কথাবার্তা, যা থেকে বোঝা যাবে অভিযুক্ত টাকা নিয়েছে কি না । তবে আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একথা বলেননি । উনি একটা দলের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মীদের আত্মশুদ্ধির জন্য এই কথা বলেছেন । উনি কিন্তু কোনও শাস্তির কথা বলেননি । কিন্তু, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।"

শুনুন আইনজীবীদের বক্তব্য

এবিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "তোলাবাজি করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া যায় । রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতারা তোলাবাজি করেছিলেন । এবং তা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে । নির্বাচনে জিতে গেলে এসব কথা উঠত না । হেরেছেন বলে এখন বলছেন । নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য এসব কথা বলছেন । এটা বলার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় তাঁর দলের লোকজনই কাটমানি নিয়েছেন, এবং তিনি তা জানতেন । প্রশাসনের উচিত ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া । একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সাংবিধানিক পদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । দিনের পর দিন ধরে জুলুম চলেছে । নিজের বাড়িতে থাকতে গেলে 40-50 হাজার টাকা দিতে হবে । চাষ করে ফসল তুললে টাকা দিতে হবে । শতাব্দী রায় বলেছেন যে এটার একটা চেন আছে । এই চেন শতাব্দী থেকে মমতা পর্যন্ত পৌঁছেছে । টাকা যদি ফেরত দেয় তাহলে নিচের তলার বহু CPI(M) কর্মী উপকৃত হবেন ।" তোলাবাজির কী শাস্তি হতে পারে ? বিকাশবাবু বলেন, "আমাদের যা ফৌজদারি আইন রয়েছে, সেই অনুযায়ী শাস্তি হবে । জেল হতে পারে । জরিমানাও হতে পারে ।"

এই সংক্রান্ত খবর : কাটমানি খেলেই গ্রেপ্তার, নেতাদের হুঁশিয়ারি মমতার

আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, "মমতা যা বলেছে আমি সমর্থন করি । যে ভাই টাকা চুরি করে বাড়ি-গাড়ি করেছ, এবার সেই টাকা ফেরত দাও । এলাকার লোকজন লাঠি নিয়ে গিয়ে বলুক, টাকা ফেরত দাও । আইনে সংস্থান আছে কিন্তু, সেটা সময়সাপেক্ষ । দলের লোকগুলো যারা বলছে মুখ্যমন্ত্রী আগে বলল না কেন, তারা আরও বেশি চোর । একতলা বাড়ি ছিল, চারতলা হয়েছে । এর সঙ্গে মন্ত্রী থেকে সবাই যুক্ত । আমার কাছে নাম চাইলে আমি দিতে পারি । মুখ্যমন্ত্রী ভালোই করেছেন ।"

এই সংক্রান্ত খবর :তোলাবাজির টাকা ফেরত দিন, কর্মীদের নির্দেশ মমতার

sample description
Last Updated : Jun 22, 2019, 3:00 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.