কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিশেষ আদালতের রায় ৷ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ED) গোয়েন্দারা ৷ এই নির্দেশ সামনে আসের পরই নাটকীয়ভাবে সোমবার রাত দশটা নাগাদ এক তৃণমূল কর্মী পুরনো অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের করেন 'কেষ্ট'-র বিরুদ্ধে ৷ সেই দায়ের করা মামলাতে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনকী দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতেও নিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র কী করণীয় (What ED to do after Anubrata Mondal got seven days police custody)?
এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত ইটিভি ভারত-কে জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার প্রক্রিয়া কোনওভাবেই আটকাতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। তবে হ্যাঁ, কিছুটা কালবিলম্ব অবশ্যই হতে পারে। বর্তমানে সাতদিনের রিম্যান্ডে রয়েছেন অনুব্রত। একজন অভিযুক্তকে 14 দিনের বেশি হেফাজতে রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে দু'সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ইডি গোয়েন্দাদের। এই 14 দিনের পর অনুব্রত মণ্ডলকে ফের হেফাজতের নিতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে হবে রাজ্য পুলিশকে এবং সেটি খুবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ, যে ঘটনায় প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ঘটনাটি অনেক পুরনো।
অন্যদিকে ইডি'র গোয়েন্দারা 14 দিনের পর ফের অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার জন্য উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারে ইডি ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, বর্তমানে এই মামলায় পুলিশকে অতিসক্রিয় হয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও এই ঘটনায় নতুন করে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে হবে ৷ পাশাপাশি সেই ঘটনায় বিভিন্ন যে সকল প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাক্ষী রয়েছে, তাদের সঙ্গেও লাগাতার কথা বলতে হবে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: কেষ্টর রক্ষাকবচ ! 'তৃণমূল' কর্মীকে মারধরে 7 দিনের পুলিশি হেফাজত
রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম ইটিভি ভারত-কে জানান, সাময়িক স্বস্তির আশায় অনুব্রত মণ্ডলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেল। কারণ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হল আর সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর গোয়েন্দারা আদালতে এটিকেই হাতিয়ার করে এগোবেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা আগে থেকেই রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ এবং তার বিরুদ্ধে গরুপাচারের অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এক্ষেত্রে এমন অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে কি রাখা যায় রাজ্যে ?