কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: অতি গভীর নিম্নচাপে দিনভর বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে (South Bengal Rain) ৷ তবে এখনও সেই বৃষ্টি থেকে রেহাই মেলার কোনও সুখবর দিতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal weather)৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী 24 ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও দুই 24 পরগনায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা । এ ছাড়াও হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ৷ যার ফলে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে প্রবল বর্ষণ চলছে । আগামী 24 ঘণ্টায় এই অতি গভীর নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে । আর আগামী 48 ঘণ্টায় শক্তিশালী নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে ।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের 4 জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থান করছে এবং এটি ক্রমশ মধ্যপ্রদেশের দিকে অগ্রসর করছে । নিম্নচাপটি আমাদের রাজ্য থেকে অনেক দূরে থাকলেও এই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে বাংলায় ৷ যার ফলে আগামিকাল দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে । গত 24 ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে 100 মিলিমিটারে বেশি বৃষ্টি হয়েছে । পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় 100 মিলিমিটার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা ও ঝাড়গ্রামে 90 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : মমতার বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্যগোপনের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামিকাল বিকেলের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে । নিম্নচাপ যত বাংলা থেকে দূরে সরে যাবে এবং নিম্নচাপের শক্তি দুর্বল হবে, ততই বৃষ্টির দাপট কমবে । আগামিকাল দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে । তবে উত্তরবঙ্গে আগামী 24 ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই । স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । আজ সন্ধ্যা 6.57-তে গঙ্গার জলস্তর হবে 4.59 মিটার (15.06 ft) ৷ লকগেট বন্ধ থাকবে বিকেল 4.30টে থেকে রাত 9টা পর্যন্ত ।
বৃষ্টির কারণে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ গঙ্গার পাশের লকগেটগুলি যখন বন্ধ থাকবে, তখন শহরে আরও জল জমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । লকগেট খোলার পর জল দ্রুত নেমে যাওয়ার কথা ।