কলকাতা, 2 মার্চ : পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে । এমনটাই মনে করছে চিকিৎসকদের পাঁচটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস । সতর্ক না থাকলে এই সময় করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে । একইসঙ্গে এই মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও ক্লিনিকাল ট্রায়ালের থার্ড ফেজ় চলছে । তাই বাধ্যতামূলক করা যাবে না করোনা টিকাকরণ ।
রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের পাঁচটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ এবং চিকিৎসক হীরালাল কোঙার বলেছেন, "করোনার গ্রাস থেকে আমরা এখনও মুক্ত হতে পারিনি । এই সময় দেশের পাঁচটি রাজ্যে প্যানডেমিকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে । আমেরিকা, ব্রিটেন সহ বহু দেশেই করোনা সেকেন্ড ওয়েভ ভয়ংকর হয়েছে । আমাদের রাজ্যেও গত দুই সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আমাদের রাজ্যেও আছড়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। "
চিকিৎসকদের এই মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র এক তৃতীয়াংশ থেকে এক চতুর্থাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে । বাকি মানুষরা এখনও করোনা থেকে নিরাপদ নন । 10 কোটি রাজ্যবাসীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন মাত্র 10 লাখের কম । আর, টেস্ট হয়েছে 85 লাখের কম মানুষের । ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দাবি অনুযায়ী কোভিশিল্ড বা কো-ভ্যাক্সিন যেটাই দেওয়া হোক, একমাস অন্তর দুটি ডোজ় নেওয়ার পর আরও মাসখানেক বাদে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে । ভোটকর্মীদের প্রথম ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে । তাই তাঁদের প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠার আগেই কাজ করতে হবে ।
আরও পড়ুন, রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি আজ
এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকদের মঞ্চের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির মিছিলে, জমায়েতে ভোটের এই দুই মাস স্বাস্থ্যবিধি পালনের কথা ভুলে গেলে চলবে না । মিছিল লম্বা হোক, যাতে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অন্তত তিন ফুট ব্যবধানে থাকবেন । বৈঠক হোক বড় বড় মাঠে, দূরত্ববিধি মেনে চলা হোক । বড় মাঠ না পেলে খোলা জায়গায় হোক । নির্বাচনী জমায়েতে এবং পোলিং বুথে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হোক । একটির বদলে দুটি মাস্ক পরে থাকুন । থুতনিতে নামিয়ে বা কানে ঝুলিয়ে নয় । রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ভোট চাওয়ার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধের বিষয়েও প্রচার করুন । সরকারি উদ্যোগে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে ।