ETV Bharat / state

"রাজনীতির ফাঁস শিক্ষাব্যবস্থায় চেপে বসছে", রাজ্যকে আক্রমণ রাজ্যপালের

আজ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । বললেন, রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ।

Jagdeep Dhankhar
Jagdeep Dhankhar
author img

By

Published : Jul 16, 2020, 11:31 AM IST

Updated : Jul 16, 2020, 1:17 PM IST

কলকাতা, 16 জুলাই : বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন । কিন্তু অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন না । তা নিয়ে ফের আজ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । বললেন, শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত । রাজনীতির ফাঁস ক্রমেই শিক্ষাব্যবস্থার উপর চেপে বসছে ।

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এই প্রথমবার নয়, আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল । কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী পরিকাঠামো নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন । আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি । তিনি বলেন, "রাজ্যের শিক্ষায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি । শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত । কলেজের ভরতির ক্ষেত্রে চলে আর্থিক দুর্নীতি । শিক্ষায় আর্থিক শোষণ অপরাধের সমান ।"

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগদীপ ধনকড় । রাজ্যের শিক্ষার মান পড়েছে বলে অভিযোগ করেন । এমনকী প্রাক্তন উপাচার্যরাও তাঁর সঙ্গে একমত বলে তিনি জানান । বলেন, "সঠিক শিক্ষা পেলে দেশ এগোবে । শিক্ষায় অবহেলা আঘাত করে পরবর্তী প্রজন্মকে । রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার মান নামছে । গত দুই বছর ধরে বাংলায় এই পরিস্থিতি চলছে । রাজ্য শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে না । "

কোরোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করতে পারত সেই উল্লেখও করেন রাজ্যপাল । কিন্তু রাজ্য সেই সব কিছুই করেনি বলে তাঁর অভিযোগ । এই লকডাউনে অনলাইন লাইব্রেরির মতো সুবিধা শুরু করা যেত বলে মনে করেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, "রাজ্যপালের সঙ্গে লড়াই করছে এই রাজ্য। শিক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না । আপনারা তো ভারতকে পালটে দিচ্ছেন । "

ভার্চুয়াল বৈঠকে অধিকাংশ উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি । একের পর এক টুইটও করেছিলেন । রাজ্যপালের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে অধিকাংশ উপাচার্যের অনুপস্থিতিকে "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন,"ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল । দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য উপাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেন না । তাঁরা বৈঠকে থাকেননি ।"

এর আগে কোরোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল বৈঠকের নিয়ম নেই জানিয়ে রাজ্যপালের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয় । এই পদক্ষেপের উত্তর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন । কিন্তু এখনও না কি চিঠির উত্তর পাননি তিনি । এমনকী উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও শোনেনি রাজ্য । রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, "কেন আমার ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত ? তার উত্তর রাজ্য নিজেও জানে না । দেশের কোনও রাজ্যে এরকম পরিস্থিতি না ।"

এদিকে আজ সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে মাধ্যমিক ও CBSE দশম শ্রেণির সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান । এমনকী যাদের ফল আশানরূপ হয়নি, তাদের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি । বলেন, "অনেকের ফল আশানরূপ হয়নি । যাঁদের ফল আশানরূপ হয়নি, তাঁরাও হতাশ হবেন না । "

কলকাতা, 16 জুলাই : বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন । কিন্তু অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন না । তা নিয়ে ফের আজ রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । বললেন, শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত । রাজনীতির ফাঁস ক্রমেই শিক্ষাব্যবস্থার উপর চেপে বসছে ।

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এই প্রথমবার নয়, আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল । কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী পরিকাঠামো নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন । আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি । তিনি বলেন, "রাজ্যের শিক্ষায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি । শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত । কলেজের ভরতির ক্ষেত্রে চলে আর্থিক দুর্নীতি । শিক্ষায় আর্থিক শোষণ অপরাধের সমান ।"

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগদীপ ধনকড় । রাজ্যের শিক্ষার মান পড়েছে বলে অভিযোগ করেন । এমনকী প্রাক্তন উপাচার্যরাও তাঁর সঙ্গে একমত বলে তিনি জানান । বলেন, "সঠিক শিক্ষা পেলে দেশ এগোবে । শিক্ষায় অবহেলা আঘাত করে পরবর্তী প্রজন্মকে । রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার মান নামছে । গত দুই বছর ধরে বাংলায় এই পরিস্থিতি চলছে । রাজ্য শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে না । "

কোরোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করতে পারত সেই উল্লেখও করেন রাজ্যপাল । কিন্তু রাজ্য সেই সব কিছুই করেনি বলে তাঁর অভিযোগ । এই লকডাউনে অনলাইন লাইব্রেরির মতো সুবিধা শুরু করা যেত বলে মনে করেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, "রাজ্যপালের সঙ্গে লড়াই করছে এই রাজ্য। শিক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না । আপনারা তো ভারতকে পালটে দিচ্ছেন । "

ভার্চুয়াল বৈঠকে অধিকাংশ উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি । একের পর এক টুইটও করেছিলেন । রাজ্যপালের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে অধিকাংশ উপাচার্যের অনুপস্থিতিকে "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন,"ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল । দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্য উপাচার্যরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেন না । তাঁরা বৈঠকে থাকেননি ।"

এর আগে কোরোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল বৈঠকের নিয়ম নেই জানিয়ে রাজ্যপালের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয় । এই পদক্ষেপের উত্তর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন । কিন্তু এখনও না কি চিঠির উত্তর পাননি তিনি । এমনকী উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও শোনেনি রাজ্য । রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, "কেন আমার ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত ? তার উত্তর রাজ্য নিজেও জানে না । দেশের কোনও রাজ্যে এরকম পরিস্থিতি না ।"

এদিকে আজ সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে মাধ্যমিক ও CBSE দশম শ্রেণির সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান । এমনকী যাদের ফল আশানরূপ হয়নি, তাদের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি । বলেন, "অনেকের ফল আশানরূপ হয়নি । যাঁদের ফল আশানরূপ হয়নি, তাঁরাও হতাশ হবেন না । "

Last Updated : Jul 16, 2020, 1:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.