কলকাতা, 7 জানুয়ারি: কে ভারতীয়, আর কে ভারতীয় নয়; তা জানতে বলে এনআরসি করতেই হবে ৷ তা না-হলে বাংলা বাঁচাবে না ৷ সন্দেশখালির ঘটনায় রোহিঙ্গা ও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ পাশাপাশি, শেখ শাহজাহানের বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়া তত্ত্বে সুকান্ত দাবি করেছেন, রাজ্য পুলিশের কাছে সব খবর আছে ৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে সার্টিফিকেট দিয়ে রেখেছেন ৷ ফলে তাঁর নির্দেশ ছাড়া রাজ্য পুলিশের কিছু করার নেই বলে জানান সুকান্ত ৷
রবিবার সকালেই রাজভবনে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি ৷ সন্দেশখালিকে ইডি ও সিআরপিএফ-এর উপর হওয়া প্রাণঘাতী হামলা এবং সমগ্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ একটি স্মারকলিপি জমা দেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যপাল যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ৷ তিনি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন, কনস্টিটিউশনের মকারি হতে দেওয়া যাবে না ৷"
রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান ৷ যিনি উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও বটে ৷ এই দাপুটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে প্রাণঘাতি হামলার শিকার হন ইডি এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা ৷ কিন্তু, পুরো ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহজাহান ৷ যা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, বিজেপির কাছে খবর রয়েছে, বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত ৷ কিন্তু, সফল হতে পারেননি ৷
আর এ প্রসঙ্গেই ফের একবার রোহিঙ্গা এবং এনআরসি পক্ষে সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি বলেন, "সে বাংলাদেশি জামাতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে ৷ এরা বাংলাদেশ ও ভারত দু’জায়গাতেই থাকে ৷ বলা যায় না, বাংলাদেশের ভোটার কার্ডও থাকতে পারে ৷ এখন যা পরিস্থিতি দেখলাম, এখন মনে হচ্ছে বাংলার জন্য এনআরসি অসমের থেকে বেশি প্রয়োজন ৷ কে ভারতীয়, আর কে ভারতীয় নয়, কারা রোহিঙ্গা এখানে এসে বসে গেছে ? যা পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে, তাতে বাংলাকে বাঁচাতে এনআরসি করতে হবে ৷"
কিন্তু, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে ? এ নিয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে সব তথ্য রয়েছে বলে জানান সুকান্ত ৷ কিন্তু তাঁদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে ৷ নির্দেশ না-এলে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে 'জনপ্রিয় নেতা'র সার্কিটিফিকেট দিয়ে রেখেছেন ৷ ফলে পুলিশ সব জেনেও কিছু করতে পারছে না ৷
আরও পড়ুন: