কলকাতা, 16 জুলাই : এবার তৃণমূলের "দিদিকে বলো"-র মডেলে বিজেপির "বিধায়ককে বলো" বিশেষ প্রকল্প চালু করছে বিজেপি । বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ ও রাজ্যের সহকারি পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যের মস্তিস্কপ্রসুত এই পরিকল্পনা । বিজেপির 74 জন বিধায়ককেই এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে ।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উপদেশ মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চালু করেছিলেন "দিদিকে বলো" প্রকল্প । রাজ্যের সাধারণ মানুষ ফোন করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারতেন নিজেদের অভাব এবং অভিযোগ । এই "দিদিকে বলো" তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করেছিল জনসংযোগ বাড়াতে । যার সুফল একুশের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই বোঝা গিয়েছে । বঙ্গ বিজেপি এখন অনেকটা একই পথে হাটতে চাইছে । শুধু "দিদিকে বলো"র বদলে "বিধায়ককে বলো"। পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে দলের 74 জন বিধায়ককে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন ।
এই বিষয়ে বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন যে দলের তরফে সব বিধাককেই একটি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নম্বর চালু করার কথা বলা হয়েছে । ইটিভি ভারতকে মনোজ টিগ্গা বলেছেন, "এর জন্য আলাদা একটি নম্বরও চালু করা হচ্ছে । এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে । অভিযোগ জমা পড়ার 48 ঘণ্টার মধ্যেই তার সমাধান করার লক্ষ্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে দলের সব বিধায়ককে । "
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রত্যেক বিধায়ককে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করতে হবে। সেই নম্বর সংশ্লিষ্ট বিধায়ককে তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । যাতে এলাকার বাসিন্দারা যে সমস্যা নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন । যখন কোনও অভিযোগ জমা পড়বে, দ্রুত সেই অভিযোগ এর সমাধান করতে হবে ।
সূত্রের খবর, একুশের বিধানসভা নির্বাচণে " দিদিকে বলো" স্লোগান খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করে । রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একে হাতিয়ার করেই বিধানসভা নির্বাচনে বৈতরণী পার করে তৃণমূল । তাই এবার "বিধায়ককে বলো" কর্মসূচির সূচনা করে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি ।
মূলত, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে জনসংযোগ বাড়াতে বিজেপি বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । প্রতি সপ্তাহে রবিবার বিধায়ক অফিসে বসতে হবে । এলাকার মানুষের অসুবিধা শুনতে হবে । এলাকার সমস্যা নিয়ে বিধানসভায় সরব হতে হবে । প্রয়োজনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।