ETV Bharat / state

Bengal By-election : দুর্গাপুজোর আগেই উপনির্বাচন ? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগেই রাজ্যে হতে পারে উপনির্বাচন (West Bengal Assembly By-election)৷ এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা ৷ 2 নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিততে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)৷

west-bengal-assembly-by-elections-may-be-held-before-durga-puja
দুর্গাপুজোর আগেই উপনির্বাচন ? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা
author img

By

Published : Aug 25, 2021, 7:30 PM IST

কলকাতা, 25 অগস্ট : দুর্গোৎসবের (Durga Puja) আগেই কি হতে চলেছে রাজ্যের উপনির্বাচন (West Bengal Assembly By-elections)? সেই জল্পনাই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)৷ সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে ভোটপ্রক্রিয়া ৷ তবে করোনার কারণে কমিশন তা পিছিয়ে দেয় কি না, সেই চিন্তাতেই রয়েছে শাসক দল ৷

প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন ঠিক করে দেয় রাষ্ট্রনেতা । কাজেই নির্বাচন এখানে গণতন্ত্রের উৎসব । এ বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে । কারণ এই মুহূর্তে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে এই উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে । কাজেই গোটা রাজ্যের চোখ এখন সেই উপনির্বাচনের দিকে । একে করোনার মরসুম । নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা না করলেও, হাত গুনছে শাসক দল । কারণ 2 নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে না এলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাই তারা চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ভোট করিয়ে নিতে । বুধবার দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তাড়াতাড়ি নির্বাচন শেষ করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ঠিক করেছে এই মাসেই দলের পক্ষ থেকে 5 সাংসদ আবার নির্বাচন কমিশনে যাবে দ্রুত নির্বাচিনের দাবি নিয়ে ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : তফশিলিদের উন্নয়নের আর কিছু বাকি নেই, বৈঠকে বললেন মমতা

কিন্তু ভোট করানোর মালিক নির্বাচন কমিশন । করোনার দোহাই দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বলছে, সকলের টিকাকরণ না হলে নির্বাচন নয় । এই অবস্থায় কবে হতে পারে উপনির্বাচন ! নির্বাচন কমিশনের একটা সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন ৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে ।

যতদূর খবর, বাংলার সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গা পুজোর আগেই ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে কমিশন । কারণ দুর্গা পুজোর মধ্যে ভোট হলে সরকারি আধিকারিকদের পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে । কাজেই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভোট শেষ করে ফেলতে হবে তাদের । যেহেতু অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজো রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ভোট করিয়ে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন । কাজেই রাজ্যে অকাল বোধনের আগেই অকাল ভোটের ঘণ্টা বেজে যাওয়ার সম্ভাবনা ।

আরও পড়ুন : Sukhendu Sekhar Roy : চার বছর পরের কথা ভেবে বেসরকারিকরণের মানে কী, কেন্দ্রকে তোপ সুখেন্দুর

নির্বাচন কমিশনের সাধারণত যে নিয়ম রয়েছে তাতে, 2মে ভোটের ফল ঘোষণা হয় রাজ্যে । কাজেই সে দিন থেকে 6 মাস অর্থাৎ 2 নভেম্বরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে । এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ওই নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই ভবানীপুর-সহ সাত আসনে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে । কিন্তু সেই ভোট কবে হতে পারে সেই জল্পনার মধ্যেই যা খবর, যেহেতু অক্টোবর পুজোর মাস, তাই সে মাসে ভোট হওয়ার কথা নয় । সেই দিক থেকে বিচার করলে সেপ্টেম্বরেই হতে পারে রাজ্যের উপনির্বাচন ।

আরও পড়ুন: East Bengal-Shree Cement : দিদির ম্যাজিকে ফুটবল ফিরল ইস্টবেঙ্গলে, বললেন নীতু ; চুক্তিপত্র নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত

কিন্তু কবে সেই ভোটগ্রহণ হতে পারে ? নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার 24 দিনের মাথায় হতে পারে ভোটগ্রহণ । সাধারণত ভোটের নানা কাজের জন্য কমিশন দশ দিন হাতে রাখে । সে ক্ষেত্রে 14 দিন দেওয়া হয় প্রার্থীকে প্রচারের জন্য । এই নিয়ম মেনে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে । সে ক্ষেত্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হতে হতেই সেপ্টেম্বর শেষ । কাজেই অকাল বোধন হওয়ার আগেই সম্পন্ন হতে পারে অকাল ভোটের কর্মসূচি ।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : 'ভিখারি নই', দিলীপের কুশপুতুল দাহ নারায়ণগড়ে

এ দিন এই অকাল ভোট নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাজাগোপাল ধরচক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে নভেম্বর মাসের আগেই নির্বাচন করাতে হবে । এ ক্ষেত্রে যেহেতু পুজোর মাস অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের ছুটি থাকার বিষয় রয়েছে । তাই নির্বাচন কমিশন হয়তো ঝুঁকি নেবে না । সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচন করানোর সম্ভাবনা । তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বিধানসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা । সে ক্ষেত্রে তারা যদি করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজ্য সরকারের কিছু করার থাকবে না । কিন্তু এখন যেহেতু রাজ্যে করোনার প্রকোপ কিছুটা কম, তাই আশা করা যায় সেপ্টেম্বরেই সম্ভবত হতে পারে রাজ্যের 7 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ।

কলকাতা, 25 অগস্ট : দুর্গোৎসবের (Durga Puja) আগেই কি হতে চলেছে রাজ্যের উপনির্বাচন (West Bengal Assembly By-elections)? সেই জল্পনাই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)৷ সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে ভোটপ্রক্রিয়া ৷ তবে করোনার কারণে কমিশন তা পিছিয়ে দেয় কি না, সেই চিন্তাতেই রয়েছে শাসক দল ৷

প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন ঠিক করে দেয় রাষ্ট্রনেতা । কাজেই নির্বাচন এখানে গণতন্ত্রের উৎসব । এ বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে । কারণ এই মুহূর্তে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে এই উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে । কাজেই গোটা রাজ্যের চোখ এখন সেই উপনির্বাচনের দিকে । একে করোনার মরসুম । নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা না করলেও, হাত গুনছে শাসক দল । কারণ 2 নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে না এলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাই তারা চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ভোট করিয়ে নিতে । বুধবার দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তাড়াতাড়ি নির্বাচন শেষ করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ঠিক করেছে এই মাসেই দলের পক্ষ থেকে 5 সাংসদ আবার নির্বাচন কমিশনে যাবে দ্রুত নির্বাচিনের দাবি নিয়ে ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : তফশিলিদের উন্নয়নের আর কিছু বাকি নেই, বৈঠকে বললেন মমতা

কিন্তু ভোট করানোর মালিক নির্বাচন কমিশন । করোনার দোহাই দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বলছে, সকলের টিকাকরণ না হলে নির্বাচন নয় । এই অবস্থায় কবে হতে পারে উপনির্বাচন ! নির্বাচন কমিশনের একটা সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন ৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে ।

যতদূর খবর, বাংলার সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গা পুজোর আগেই ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে কমিশন । কারণ দুর্গা পুজোর মধ্যে ভোট হলে সরকারি আধিকারিকদের পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে । কাজেই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভোট শেষ করে ফেলতে হবে তাদের । যেহেতু অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজো রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ভোট করিয়ে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন । কাজেই রাজ্যে অকাল বোধনের আগেই অকাল ভোটের ঘণ্টা বেজে যাওয়ার সম্ভাবনা ।

আরও পড়ুন : Sukhendu Sekhar Roy : চার বছর পরের কথা ভেবে বেসরকারিকরণের মানে কী, কেন্দ্রকে তোপ সুখেন্দুর

নির্বাচন কমিশনের সাধারণত যে নিয়ম রয়েছে তাতে, 2মে ভোটের ফল ঘোষণা হয় রাজ্যে । কাজেই সে দিন থেকে 6 মাস অর্থাৎ 2 নভেম্বরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে । এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ওই নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই ভবানীপুর-সহ সাত আসনে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে । কিন্তু সেই ভোট কবে হতে পারে সেই জল্পনার মধ্যেই যা খবর, যেহেতু অক্টোবর পুজোর মাস, তাই সে মাসে ভোট হওয়ার কথা নয় । সেই দিক থেকে বিচার করলে সেপ্টেম্বরেই হতে পারে রাজ্যের উপনির্বাচন ।

আরও পড়ুন: East Bengal-Shree Cement : দিদির ম্যাজিকে ফুটবল ফিরল ইস্টবেঙ্গলে, বললেন নীতু ; চুক্তিপত্র নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত

কিন্তু কবে সেই ভোটগ্রহণ হতে পারে ? নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার 24 দিনের মাথায় হতে পারে ভোটগ্রহণ । সাধারণত ভোটের নানা কাজের জন্য কমিশন দশ দিন হাতে রাখে । সে ক্ষেত্রে 14 দিন দেওয়া হয় প্রার্থীকে প্রচারের জন্য । এই নিয়ম মেনে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে । সে ক্ষেত্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হতে হতেই সেপ্টেম্বর শেষ । কাজেই অকাল বোধন হওয়ার আগেই সম্পন্ন হতে পারে অকাল ভোটের কর্মসূচি ।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : 'ভিখারি নই', দিলীপের কুশপুতুল দাহ নারায়ণগড়ে

এ দিন এই অকাল ভোট নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাজাগোপাল ধরচক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে নভেম্বর মাসের আগেই নির্বাচন করাতে হবে । এ ক্ষেত্রে যেহেতু পুজোর মাস অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের ছুটি থাকার বিষয় রয়েছে । তাই নির্বাচন কমিশন হয়তো ঝুঁকি নেবে না । সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচন করানোর সম্ভাবনা । তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বিধানসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা । সে ক্ষেত্রে তারা যদি করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজ্য সরকারের কিছু করার থাকবে না । কিন্তু এখন যেহেতু রাজ্যে করোনার প্রকোপ কিছুটা কম, তাই আশা করা যায় সেপ্টেম্বরেই সম্ভবত হতে পারে রাজ্যের 7 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.