কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: পড়ুয়ার নথিভুক্তিকরণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য ভুল থাকলে তার জন্য দায়ী থাকবে স্কুল ৷ পরে তা সংশোধনের জন্য বাড়তি খরচ বইতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলটিকেই ৷ এই টাকা কোনও পড়ুয়া বা অভিভাবকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না ৷ বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৷ বোর্ডের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার পরে অনেক স্কুলই ভুল তথ্য দিয়ে পাঠায় এবং তারপর সংশোধনের আর্জি জানায় ৷ এবার তা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাল পর্ষদ ৷
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার সুযোগ আগে থেকেই করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চলতি বছরে 182টি স্কুল অনলাইনে ব্যবস্থা থাকলেও ডেটা খতিয়ে দেখায় সুযোগ নেয়নি ৷ বোর্ডের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার পেরিয়ে যাওয়ার পর সংশোধনের জন্য ফি দিতে হবে স্কুলকে। প্রত্যেকটি ভুল পিছু 1 হাজার টাকা করে সংশোধনের জন্য ফি দিতে হবে স্কুলকেই ৷ এই মর্মে পর্ষদ নোটিশ দিয়েছে স্কুলগুলিকে ৷ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তথ্য পাঠানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া রয়েছে ৷ এমনকী তথ্য সংশোধনের সময়সীমা 30 সেপ্টেম্বর বিকেল 4টে পর্যন্ত বাড়ানোও হয়েছে ৷
সংশোধনের সময় 10 দিন বাড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ ৷ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরেও যদি তথ্যে ভুল থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার 4টি সার্টিফিকেট পরিবর্তন করতে হয় ৷ এই দায় নিতে হবে স্কুলকেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ ৷ এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এটা তৎপরতার সঙ্গে করছি ৷ যাতে পড়ুয়ারা সমস্যায় না পড়ে ৷ এর জন্য যে ফি দিতে হবে, তা পড়ুয়ারা দেবে না ৷"
আরও পড়ুন: স্কুল চলাকালীন মাথায় খুলে পড়ল সিলিং ফ্যান, আহত 2 ছাত্রী
প্রসঙ্গত, 2021 সালে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল৷ সে বার সংশোধনের জন্য 9 হাজার 843 টি আবেদন জমা পড়েছিল ৷ 2022 সালে সেই সংখ্যা কমে 4 হাজার 460 টি হয়েছিল ৷ মানে 54.69 শতাংশ কম সংশোধনের আবেদন জমা পড়ে ৷ 2023 সালে রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছে মাত্র 1 হাজার ৷