কলকাতা, 4 নভেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা পড়ার পর বাতিল হয়ে গেল 94 জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ৷ সকলেরই নিয়োগ হয়েছিল 2016 থেকে 2017 সালের মধ্যে ৷ তাঁরা 2014 সালের টেট পরীক্ষার্থী । টেট ফেল করেও সাত বছর ধরে চাকরি করছিলেন তাঁরা ৷ সকলেরই নিয়োগপত্র বাতিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ করল পর্ষদ। তাঁদের কাছে টেট পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার কোনও নথি ছিল না। তাই এই সিদ্ধান্ত ।
সূত্রের খবর, এই 94 জন শিক্ষক পরীক্ষায় পাস না করেই সাত বছর চাকরি কর ছিলেন ৷ বেতনও পাচ্ছিলেন । এই তথ্য প্রথম আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই ৷ সেই তথ্য জমা পড়ার পর, তাঁদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রাখে । অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও 94 জন অনুত্তীর্ণ শিক্ষকদের ডেকে শুনানি হয় আদালতে। সেই শুনানিতে নিয়োগপত্র পেশ করলেও, টেট পাশের শংসাপত্র পেশ করতে পারেননি । তারপর পর্ষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে, রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষা সংসদগুলির চেয়ারম্যানদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। 2016 সালে নিয়োগপত্র পাওয়া 94 জন শিক্ষক, যাঁরা গত সাত বছর ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের নিয়োগপত্র বাতিল করতে হবে । সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে ডিপিএসসি'র চেয়ারম্যানদের কাছে ।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আজই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, ওএমআর শিট কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাবকচ পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার । মামলার পরবর্তী শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল, শুক্রবার তাঁদের রক্ষাকবচ দেয় সর্বোচ্চ আদালত ।