ETV Bharat / state

Vishva Hindu Parishad: রামনবমীর অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ - Vishva Hindu Parishad alleged Mamata

রামনবমীর অশান্তি যেন হনুমান জয়ন্তীতে না হয় ৷ এই বার্তা দিয়ে রামনবমীর ঘটনায় দায় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ঠেললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কলকাতার সম্পাদক অমিয় সরকার ৷

ETV Bharat
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
author img

By

Published : Apr 5, 2023, 10:58 PM IST

কলকাতা, 5 এপ্রিল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে প্ররোচনা পেয়ে একশ্রেণির মানুষজন হিন্দুদের রামনবমীর শোভাযাত্রাকে আক্রমণ করেছে । মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কলকাতার সম্পাদক অমিয় সরকার ।

একদিকে রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ অন্যদিকে, রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী । তাই বুধবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে একরকম হুঁশিয়ারি দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তাঁরা জানান, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুখ্যমন্ত্রীকে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলবেন না । বরং তিনি যতদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পদে রয়েছেন ততদিন যেন তিনি যেন এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য না দেন ।

এই বিষয়ে অমিয়বাবু বলেন, "বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কোথাও অশান্তি সৃষ্টি করেনি । যে এই কথা বলে সে মূর্খ । কারণ এই শোভাযাত্রা আয়োজন নিয়ে দেড় মাস ধরে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করা হয়েছিল । সব রকম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল । সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে । পুলিশ সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল । মিছিল শুরু হওয়ার আগে পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে । কিন্তু যখন সমস্যার সৃষ্টি হল তখন পুলিশরা যেন কোথায় হারিয়ে গেল । 30 মার্চ মিছিলের শেষভাগে জেহাদে বিশ্বাসীরা বাড়ির ছাদ থেকে ইট, পাথর, বোতল, মদের বোতল এমনকি অ্যাসিডও ছুড়েছে মিছিলের দিকে ।"

তিনি আরও বলেন, "শিবপুর-ডালখোলা-শ্রীরামপুর-রিষড়া-সহ আরও অন্যান্য জায়গায় রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটে গেল তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কারণেই । একটি বিশেষ শ্রেণি প্ররোচনা পেয়েছে বলেই এই অশান্তি ৷ মহরমের মিছিল হিন্দু পাড়া দিয়ে যাবে তাতে কারোর কোনও অসুবিধা নেই । কিন্তু যদি হিন্দু কোনও মিছিল কিংবা দুর্গাপুজার মিছিল সংখ্যালঘুপাড়া দিয়ে গেলেই অসুবিধা । এই কথাটা বলা ঠিক নয় । কারণ রাস্তা কারও নিজের নয় । সরকারি রাস্তা । হিন্দু এবং মুসলিম সবাই ট্যাক্স দেয় ।"

অমিয় সরকার দাবি করেন, যে শোভাযাত্রাটা বারবার দেখানো হচ্ছে সেটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রা ছিল না ৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ খুব বড় করেই রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী পালন করে ৷ তবে পরিষদের পক্ষ থেকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু অন্য কেউ যদি অশান্তির সৃষ্টি করে তাহলে বজরং দল চুপ করে বসে থাকবে না ।

অমিয় সরকার বলেন, "1947 সালে দেশ ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল । এখন সংখ্যালঘু মানুষজন ভারতের নাগরিক হিসেবেই পরিচিত । উনি কেন আবার দেশ বা রাজ্যকে ভাগ করতে চাইছেন ধর্মের নিরিখে ? তাই জন্যেই বোধহয় উনি জয় বাংলা স্লোগান দেন । যা ঘটনা ঘটছে তাতে বাংলার তো বটেই সারা দেশের মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নচিহ্নের মুখে । এই সুরক্ষা সম্বন্ধে যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে দেশ কিন্তু আবার ভাগ হবে । আর যদি এটা চলতে থাকে, হিন্দু সমাজ যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে তাহলে তার ফল কিন্তু ভালো হবে না ।"

তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে প্ররোচনা যুগিয়েছেন । কারণ সংখ্যালঘু ভোট তাঁর হাত থেকে চলে যাচ্ছে । আর তা যেভাবেই হোক নিজের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে । তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘটিয়ে তিনি এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপিকে যুক্ত করে দিচ্ছেন । রামনবমীর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই । রামনবমী হিন্দু সমাজের উৎসব । আমাদের ব্যারাকপুরের মিছিলে তৃণমূলের নেতা অর্জুন সিং গিয়েছিলেন তাহলে কি সেটা তৃণমূলের মিছিল হয়ে গেল ? হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা আমরা সমর্থন করি । কারণ এগুলি কোনও রাজনৈতিক সভা নয় এগুলি একেবারে ধার্মিক সভা ।"

কলকাতা, 5 এপ্রিল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে প্ররোচনা পেয়ে একশ্রেণির মানুষজন হিন্দুদের রামনবমীর শোভাযাত্রাকে আক্রমণ করেছে । মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কলকাতার সম্পাদক অমিয় সরকার ।

একদিকে রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ অন্যদিকে, রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী । তাই বুধবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে একরকম হুঁশিয়ারি দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তাঁরা জানান, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুখ্যমন্ত্রীকে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলবেন না । বরং তিনি যতদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পদে রয়েছেন ততদিন যেন তিনি যেন এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য না দেন ।

এই বিষয়ে অমিয়বাবু বলেন, "বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কোথাও অশান্তি সৃষ্টি করেনি । যে এই কথা বলে সে মূর্খ । কারণ এই শোভাযাত্রা আয়োজন নিয়ে দেড় মাস ধরে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করা হয়েছিল । সব রকম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল । সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে । পুলিশ সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল । মিছিল শুরু হওয়ার আগে পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে । কিন্তু যখন সমস্যার সৃষ্টি হল তখন পুলিশরা যেন কোথায় হারিয়ে গেল । 30 মার্চ মিছিলের শেষভাগে জেহাদে বিশ্বাসীরা বাড়ির ছাদ থেকে ইট, পাথর, বোতল, মদের বোতল এমনকি অ্যাসিডও ছুড়েছে মিছিলের দিকে ।"

তিনি আরও বলেন, "শিবপুর-ডালখোলা-শ্রীরামপুর-রিষড়া-সহ আরও অন্যান্য জায়গায় রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটে গেল তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কারণেই । একটি বিশেষ শ্রেণি প্ররোচনা পেয়েছে বলেই এই অশান্তি ৷ মহরমের মিছিল হিন্দু পাড়া দিয়ে যাবে তাতে কারোর কোনও অসুবিধা নেই । কিন্তু যদি হিন্দু কোনও মিছিল কিংবা দুর্গাপুজার মিছিল সংখ্যালঘুপাড়া দিয়ে গেলেই অসুবিধা । এই কথাটা বলা ঠিক নয় । কারণ রাস্তা কারও নিজের নয় । সরকারি রাস্তা । হিন্দু এবং মুসলিম সবাই ট্যাক্স দেয় ।"

অমিয় সরকার দাবি করেন, যে শোভাযাত্রাটা বারবার দেখানো হচ্ছে সেটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রা ছিল না ৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ খুব বড় করেই রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী পালন করে ৷ তবে পরিষদের পক্ষ থেকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু অন্য কেউ যদি অশান্তির সৃষ্টি করে তাহলে বজরং দল চুপ করে বসে থাকবে না ।

অমিয় সরকার বলেন, "1947 সালে দেশ ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল । এখন সংখ্যালঘু মানুষজন ভারতের নাগরিক হিসেবেই পরিচিত । উনি কেন আবার দেশ বা রাজ্যকে ভাগ করতে চাইছেন ধর্মের নিরিখে ? তাই জন্যেই বোধহয় উনি জয় বাংলা স্লোগান দেন । যা ঘটনা ঘটছে তাতে বাংলার তো বটেই সারা দেশের মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নচিহ্নের মুখে । এই সুরক্ষা সম্বন্ধে যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে দেশ কিন্তু আবার ভাগ হবে । আর যদি এটা চলতে থাকে, হিন্দু সমাজ যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে তাহলে তার ফল কিন্তু ভালো হবে না ।"

তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে প্ররোচনা যুগিয়েছেন । কারণ সংখ্যালঘু ভোট তাঁর হাত থেকে চলে যাচ্ছে । আর তা যেভাবেই হোক নিজের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে । তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘটিয়ে তিনি এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপিকে যুক্ত করে দিচ্ছেন । রামনবমীর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই । রামনবমী হিন্দু সমাজের উৎসব । আমাদের ব্যারাকপুরের মিছিলে তৃণমূলের নেতা অর্জুন সিং গিয়েছিলেন তাহলে কি সেটা তৃণমূলের মিছিল হয়ে গেল ? হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা আমরা সমর্থন করি । কারণ এগুলি কোনও রাজনৈতিক সভা নয় এগুলি একেবারে ধার্মিক সভা ।"

আরও পড়ুন : রাজ্যের তিনটি জায়গায় হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.