কলকাতা, 19 অগাস্ট : রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় লকডাউন । যার ফলে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বন্ধ হয় পঠনপাঠন । কবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তা আপাতত অনিশ্চিত । তাই পড়ুয়াদের কথা ভেবে প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই চালু করেছে অনলাইন ক্লাস । একই পথে হেঁটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক পড়ুয়া আছেন, যাঁদের কাছে নেই স্মার্ট ফোন বা আর্থিক সমস্যার জন্য পাচ্ছেন না হাই- স্পিড ইন্টারনেট । যার ফলে অনলাইবন ক্লাস করতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা । কিন্তু পরীক্ষা আসন্ন । সিলেবাস শেষ করতে, নোটস নিতে ক্লাসগুলি অ্যাটেন্ডজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । উপায় বের করে এবার তাই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । ফান্ড জোগার করে স্মার্ট ফোন (যা তাঁরা পরে প্রয়োজন ফুরোলে ফেরত দিতে পারবেন) বা ইন্টারনেটের খরচ তুলে দেওয়া হবে তাঁদের হাতে ।
চিরকালই উদাহরণ দৃষ্ঠান্ত তৈরি করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । এবারও এর অন্যথা হল না । অনলাইন ক্লাসে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের বা গ্রামাঞ্চলে থাকা পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে কিছুদিন আগেই একটি অনুরোধ পৌঁছেছিল, যেখানে শিক্ষক সংগঠন JUTA ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনেকেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া । সেই কারণে তাঁদের হাতে স্মার্ট ফোন নেই, নেই ইন্টারনেটের কানেকশনও । তাই তাঁরা সিলেবাস থেকে পিছিয়ে পড়ছেন ।
এমন সকল পডু়য়াদের সাহায্য করতে লাগবে 40 লাখ টাকা । যেটা জোগার করতে হবে খুব শিগগির । এর জন্য বিভিন্ন বণিকসভা, প্রাক্তন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে । কিন্তু সেভাবে টাকা জোগার না হওয়ায় এগিয়ে এলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস । এবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে একদিনে বেতন চেয়ে আবেদন জানালেন ।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, এই 40 লাখ টাকা তুলতে যদি আমা সহকর্মীরাও এগিয়ে আসেন তাহলে ভালো হয় । যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি দরকার, তাই এক-দু'দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি অ্যাকাউন্টস বিভাগকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেতন একদিনের কীভাবে কাটা হবে, তার পদ্ধতি জানাতে ।