কলকাতা, 18 জানুয়ারি: নিয়োগ বিতর্কের মধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এ বছরের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারে আজাদ কাশ্মীর (Azad Kashmir in Test Paper) প্রসঙ্গ নিয়ে এই মুহূর্তে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শিক্ষা দফতর । ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় । রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়াল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (Union Ministry of Education on Azad Kashmir)। সূত্রের খবর, আজাদ কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ।
যতদূর জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে আজাদ কাশ্মীর বিষয়টি যথেষ্ট স্পর্শকাতর বিষয় । এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যোগ রয়েছে । বহুদিন ধরে এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ভাবেই আজাদ কাশ্মীরের বিষয়টিকে মান্যতা দেয় না । তা সত্ত্বেও সরকারি টেস্ট পেপারে কীভাবে এই বিষয়টি স্থান পেল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক । কেন্দ্রের আরও বক্তব্য, এই ধরনের বিচ্যুতি আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে ।
যদিও রাজ্যের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে শুরুতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয় । রাজ্যের শিক্ষা দফতরের থেকে ইতিমধ্যে কীভাবে এই ধরনের ভুল হল, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । মধ্যশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই বিতর্কে মোট 9 জন শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, ওই নয় জনকেই সতর্কতামূলক চিঠিও দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । এই ন'জনের মধ্যে মাধ্যমিকের ইতিহাস শিক্ষকদের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে সেই কমিটির ছয়জন রয়েছেন বলে খবর । একইসঙ্গে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়েছে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষককেও ।
আরও পড়ুন: টেস্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীর' বিতর্কে পদক্ষেপের আশ্বাস পর্ষদ সভাপতির
এই বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এতটাই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে, যে এই সতর্কতার কথা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সার্ভিস বুকেও উল্লেখ করা হবে । তবে এরপরও যে কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি করা থেকে রাজ্য অব্যাহতি পাবে না, তার প্রমাণ এ দিন পাওয়া গেল । রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে কী জবাব দেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার ।
প্রসঙ্গত এ দিন এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানানো হয়নি । রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হলে শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হয়েছে । তারাই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারবেন । তবে তিনি এও জানান যে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যে শিক্ষক এই ত্রুটির জন্য দায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।