ETV Bharat / state

ধুঁকছে অর্থনীতি, চলছে ছাঁটাই, কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের কর্মসংস্থান

লকডাউনের জেরে কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ একাধিক ক্ষেত্রে বহু মানুষ কর্মহীন । সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার 6.5 শতাংশ ।

কর্মসংস্থান
কর্মসংস্থান
author img

By

Published : Jul 27, 2020, 3:07 AM IST

Updated : Jul 27, 2020, 6:02 AM IST

কলকাতা, 26 জুলাই : ক্রমবর্ধমান কোরোনা সংক্রমণ ও দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে । একাধিক ক্ষেত্রে ছাঁটাইও হয়েছে । শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয়, সংগঠিত, অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বহু মানুষের চাকরি গেছে । শ্রমিক সংগঠন ও IT ফোরামের নেতাদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কোনও বিকল্প কর্মসংস্থান নিয়েও পদক্ষেপ করছে না সরকার । আবেদন জানালেও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না প্রশাসন । যদিও অন্য কথা বলছে রাজ্য সরকার । দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থানের গড় সন্তোষজনক । তাঁর সংযোজন দেশে যেখানে বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে রাজ্যে 40 শতাংশ বেকারত্ব কমেছে ।

কর্মসংস্থানের খতিয়ানে কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্য

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষাপত্র প্রকাশ পেয়েছে । তথ্য বলছে, এই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার 6.5 শতাংশ । দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বেকারের সংখ্যা হরিয়ানায় । সেখানে বেকারত্বের হার 33.6 শতাংশ । সবচেয়ে কম বেকারত্বের হার অসমে । 0.6 শতাংশ । বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোট বাতিলের পর থেকেই দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা শহরগুলির থেকে ভালো । শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্ব । লকডাউনের আগে পর্যন্ত বেকারত্বের হার ছিল 8 শতাংশ । কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 11 শতাংশ । দেশজুড়ে মনরেগা এবং খরিফ শস্য উৎপাদনে বহু মানুষ কাজের সন্ধান পেয়েছেন । দিনকয়েক আগে অর্থমন্ত্রক তার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনেও একথা জানিয়েছিল ।

image
কাজ হারিয়ে অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকরা, অসংগঠিত ক্ষেত্রেও বহু মানুষ কর্মহীন

বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী । সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার পর এপ্রিল ও মে মাসে রাজ্যে 46 শতাংশ মানুষ বেকার হয়েছেন । অন্যান্য রাজ্যের মতো আমাদের রাজ্যেও শ্রমিক-কর্মচারীদের অবস্থা খুব খারাপ । সবচেয়ে বড় সংখ্যায় শ্রমিক যুক্ত আছে মেটিয়াব্রুজ়ের রেডিমেড গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে । আমরা দেখছি, সেখানে প্রায় 4-5 লাখ শ্রমিকের কোনও কাজ নেই । আড়াই-তিনমাস ধরে সম্পূর্ণ বেকার তাঁরা । পয়লা বৈশাখের বাজার গেছে, ইদের বাজার গেছে । পুজো আসছে কিন্ত কোনও অর্ডার নেই । আমরা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও সরকারই পদক্ষেপ করেনি ।"

ফোরাম ফর IT অ্যান্ড IT এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কিংশুক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের চাকরি গেছে । ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে কলকাতায় । ছোটো, বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মিলিয়ে প্রায় 3200 জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে । পুরো বিষয়টি নিয়ে লেবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । পুরো বিষয়টি মেইল করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে । আশা করি তিনি কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন । যদি এই ছাঁটাই বন্ধ না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমার বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ।"

কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের কর্মসংস্থান

এবিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি শাহু জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা । কর্মসংস্থান না থাকায় কলকাতা সহ রাজ্যের অন্য জেলাগুলি থেকে প্রায় 3 লাখ 42 হাজার শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন । এখন তাঁরা রাজ্যে ফিরে এসেছেন । কিন্তু এখনও বেকার । অনেক শ্রমিক পেশা বদল করেছেন । শুধু কলকাতাতে 12 হাজার সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষ পেশা বদল করেছেন । মাছ বিক্রি থেকে শুরু করে রাস্তা পরিষ্কার সব ধরনের কাজ করছেন তাঁরা । রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা বা কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি ।

কোনপথে কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

আপাতত অনিশ্চয়তায় পুরো বিষয়টি । বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আসতে পারে, এই মুহূর্তেই তা বলে দেওয়া সম্ভব নয় । আরও কতদিন এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে হবে তাও অজানা । তবে এর মাঝেই পেশা বদল, বিকল্প কর্ম সন্ধানের কথা বলছেন অনেকে । এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, "গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা বিকল্র সন্ধান পাচ্ছেন মানুষজন । পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাড়ি ফিরে চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন । অনেকে সবজি চাষ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন । শ্রমিক সংগঠনের কাছে এবং প্রাদেশিক কৃষকসভার কাছে এরাজ্যে স্বীকৃত চাষির সংখ্যা 88 লাখ 52 হাজার 756 জন । এই সংকটে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন । অনেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন । যেমন পাট উৎপাদন । পাটজাত সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে এই লকডাউনের মধ্যেও আর্থিকভাবে কিছুটা স্বনির্ভর হতে পেরেছেন এ রাজ্যের বহু কৃষক ।"

কলকাতা, 26 জুলাই : ক্রমবর্ধমান কোরোনা সংক্রমণ ও দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে । একাধিক ক্ষেত্রে ছাঁটাইও হয়েছে । শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয়, সংগঠিত, অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বহু মানুষের চাকরি গেছে । শ্রমিক সংগঠন ও IT ফোরামের নেতাদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কোনও বিকল্প কর্মসংস্থান নিয়েও পদক্ষেপ করছে না সরকার । আবেদন জানালেও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না প্রশাসন । যদিও অন্য কথা বলছে রাজ্য সরকার । দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থানের গড় সন্তোষজনক । তাঁর সংযোজন দেশে যেখানে বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে রাজ্যে 40 শতাংশ বেকারত্ব কমেছে ।

কর্মসংস্থানের খতিয়ানে কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্য

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষাপত্র প্রকাশ পেয়েছে । তথ্য বলছে, এই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার 6.5 শতাংশ । দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বেকারের সংখ্যা হরিয়ানায় । সেখানে বেকারত্বের হার 33.6 শতাংশ । সবচেয়ে কম বেকারত্বের হার অসমে । 0.6 শতাংশ । বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোট বাতিলের পর থেকেই দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা শহরগুলির থেকে ভালো । শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্ব । লকডাউনের আগে পর্যন্ত বেকারত্বের হার ছিল 8 শতাংশ । কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 11 শতাংশ । দেশজুড়ে মনরেগা এবং খরিফ শস্য উৎপাদনে বহু মানুষ কাজের সন্ধান পেয়েছেন । দিনকয়েক আগে অর্থমন্ত্রক তার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনেও একথা জানিয়েছিল ।

image
কাজ হারিয়ে অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকরা, অসংগঠিত ক্ষেত্রেও বহু মানুষ কর্মহীন

বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী । সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার পর এপ্রিল ও মে মাসে রাজ্যে 46 শতাংশ মানুষ বেকার হয়েছেন । অন্যান্য রাজ্যের মতো আমাদের রাজ্যেও শ্রমিক-কর্মচারীদের অবস্থা খুব খারাপ । সবচেয়ে বড় সংখ্যায় শ্রমিক যুক্ত আছে মেটিয়াব্রুজ়ের রেডিমেড গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে । আমরা দেখছি, সেখানে প্রায় 4-5 লাখ শ্রমিকের কোনও কাজ নেই । আড়াই-তিনমাস ধরে সম্পূর্ণ বেকার তাঁরা । পয়লা বৈশাখের বাজার গেছে, ইদের বাজার গেছে । পুজো আসছে কিন্ত কোনও অর্ডার নেই । আমরা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও সরকারই পদক্ষেপ করেনি ।"

ফোরাম ফর IT অ্যান্ড IT এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কিংশুক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের চাকরি গেছে । ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে কলকাতায় । ছোটো, বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মিলিয়ে প্রায় 3200 জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে । পুরো বিষয়টি নিয়ে লেবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । পুরো বিষয়টি মেইল করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে । আশা করি তিনি কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন । যদি এই ছাঁটাই বন্ধ না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমার বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ।"

কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের কর্মসংস্থান

এবিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি শাহু জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা । কর্মসংস্থান না থাকায় কলকাতা সহ রাজ্যের অন্য জেলাগুলি থেকে প্রায় 3 লাখ 42 হাজার শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন । এখন তাঁরা রাজ্যে ফিরে এসেছেন । কিন্তু এখনও বেকার । অনেক শ্রমিক পেশা বদল করেছেন । শুধু কলকাতাতে 12 হাজার সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষ পেশা বদল করেছেন । মাছ বিক্রি থেকে শুরু করে রাস্তা পরিষ্কার সব ধরনের কাজ করছেন তাঁরা । রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা বা কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি ।

কোনপথে কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

আপাতত অনিশ্চয়তায় পুরো বিষয়টি । বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আসতে পারে, এই মুহূর্তেই তা বলে দেওয়া সম্ভব নয় । আরও কতদিন এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে হবে তাও অজানা । তবে এর মাঝেই পেশা বদল, বিকল্প কর্ম সন্ধানের কথা বলছেন অনেকে । এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, "গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা বিকল্র সন্ধান পাচ্ছেন মানুষজন । পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাড়ি ফিরে চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন । অনেকে সবজি চাষ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন । শ্রমিক সংগঠনের কাছে এবং প্রাদেশিক কৃষকসভার কাছে এরাজ্যে স্বীকৃত চাষির সংখ্যা 88 লাখ 52 হাজার 756 জন । এই সংকটে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন । অনেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন । যেমন পাট উৎপাদন । পাটজাত সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে এই লকডাউনের মধ্যেও আর্থিকভাবে কিছুটা স্বনির্ভর হতে পেরেছেন এ রাজ্যের বহু কৃষক ।"

Last Updated : Jul 27, 2020, 6:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.