ETV Bharat / state

২৫০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব, জামতারা গ্যাঙের প্রতারণায় তাজ্জব লালবাজার

কয়েকদিন আগেই দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জামতারা গ্যাঙের বিনোদ কুমার পান্ডাকে । তাকে জেরা করে প্রতারণা সংক্রান্ত একের পর এক তথ্য উঠে আসছে ।

bank-account-frauds
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রতারণা
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 2:08 PM IST

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: প্রায় ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে লাখ লাখ টাকা । পুরো পরিকল্পনা ছিল জামতারা গ্যাঙের বিনোদ কুমার পণ্ডিতের। তাকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । তার দলের অন্য সদস্যদের খোঁজ চলছে ।

22 বছরের বিনোদকে গভীর জলের মাছ বলেই মনে করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । তারা জানতে পেরেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার পরই ব্যাঙ্ক প্রতারণায় হাতে খড়ি হয় তার । নানাভাবে প্রতারণা করতে থাকে সে । শেষ কয়েক বছরে বহু মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে তার দল৷ যার শেষ সংযোজন PAYTM KYC করানোর নামে প্রতারণা । পুলিশ জেনেছে প্রায় ২৫০ জনকে ঠকিয়েছে তারা ৷

15 জানুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, PAYTM এ KYC করার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে 6.5 লাখ টাকা । তাঁকে বলা হয়, তাঁর PAYTM অ্যাকাউন্টের জন্য KYC করাতে হবে । না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । মেসেজে একটি ফোন নম্বর দেওয়া ছিল । সেই নম্বরে ফোন করেন সমীরবাবু । আর তারপরই 6.5 লাখ টাকা খোয়ান তিনি । বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখা ।

জানা যায় , প্রতারকরা KYC সংক্রান্ত মেসেজ করছে । কখনও বলা হচ্ছে KYC সাসপেন্ড করা হয়েছে কখনও আবার বলা হচ্ছে নতুন করে KYC করাতে হবে । ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নম্বর । যাতে ফোন করলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাতে ক্লিক করলেই সর্বনাশ । মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে । ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরই আবার একটি ফোন আসছে । যাতে বলা হচ্ছে 10 টাকার একটি বিনিময় করতে । মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনও ট্রানজ়াকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর । তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে । সেই সূত্র ধরে 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিত। আর তাকে জেরা করেই পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক তথ্য ।

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: প্রায় ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে লাখ লাখ টাকা । পুরো পরিকল্পনা ছিল জামতারা গ্যাঙের বিনোদ কুমার পণ্ডিতের। তাকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । তার দলের অন্য সদস্যদের খোঁজ চলছে ।

22 বছরের বিনোদকে গভীর জলের মাছ বলেই মনে করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । তারা জানতে পেরেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার পরই ব্যাঙ্ক প্রতারণায় হাতে খড়ি হয় তার । নানাভাবে প্রতারণা করতে থাকে সে । শেষ কয়েক বছরে বহু মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে তার দল৷ যার শেষ সংযোজন PAYTM KYC করানোর নামে প্রতারণা । পুলিশ জেনেছে প্রায় ২৫০ জনকে ঠকিয়েছে তারা ৷

15 জানুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, PAYTM এ KYC করার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে 6.5 লাখ টাকা । তাঁকে বলা হয়, তাঁর PAYTM অ্যাকাউন্টের জন্য KYC করাতে হবে । না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । মেসেজে একটি ফোন নম্বর দেওয়া ছিল । সেই নম্বরে ফোন করেন সমীরবাবু । আর তারপরই 6.5 লাখ টাকা খোয়ান তিনি । বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখা ।

জানা যায় , প্রতারকরা KYC সংক্রান্ত মেসেজ করছে । কখনও বলা হচ্ছে KYC সাসপেন্ড করা হয়েছে কখনও আবার বলা হচ্ছে নতুন করে KYC করাতে হবে । ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নম্বর । যাতে ফোন করলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাতে ক্লিক করলেই সর্বনাশ । মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে । ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরই আবার একটি ফোন আসছে । যাতে বলা হচ্ছে 10 টাকার একটি বিনিময় করতে । মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনও ট্রানজ়াকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর । তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে । সেই সূত্র ধরে 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিত। আর তাকে জেরা করেই পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক তথ্য ।

Intro:কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: প্রায় দেড়শটি একাউন্ট থেকে প্রতারণা। সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। পুরো পরিকল্পনা ছিল বিনোদ কুমার পণ্ডিতের। পুলিশি জেরায় পাওয়া গেছে এমনই তথ্য। তবে তার দলে ছিল আরো কয়েকজন সদস্য। তাদের খোঁজ চলছে।


Body:
22 বছরের বিনোদ অনেক গভীর জলের মাছ বলেই মনে করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ জেনেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করে ওই যুবক। আর তারপরেই ব্যাঙ্ক প্রতারণায় হাতে খড়ি। জামতারা গ‍্যাংয়ের সদস‍্য হয়ে বহু রকম ভাবেই প্রতারণা করেছে ওই যুবক। তার দলবল শেষ কয়েক বছরে বহু মানুষকে করেছে সর্বস্বান্ত। যার শেষ তম সংস্করণ পেটিএমে কেওয়াইসি করানোর নামে প্রতারণা। পুলিশ জেনেছে প্রায় আড়াইশো জন ভারতীয়কে ঠকিয়েছে তার দলবল।


Conclusion:গত 15 জানুয়ারি শেক্সপিয়ার সরণি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, পেটিএম এ কেওয়াইসি করার নামে তার অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে 6.5 লাখ টাকা। তাঁকে বলা হয়, তার পেটিএম অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি করাতে হবে। না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। মেসেজে একটি ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল ফোন করেন সমির বাবু। আর তাতেই সর্বনাশ হয়ে যায়। লাখ 6.5 টাকার খোয়ান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আন্টি ব্যাংক ফ্রড শাখা।

জানা যায়, প্রতারকরা কেওয়াইসি সংক্রান্ত মেসেজ করছে। কখনো বলা হচ্ছে কেওয়াইসি সাসপেন্ড করা হয়েছে। কখনো আবার বলা হচ্ছে নতুন করে করাতে হবে KYC। ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নাম্বার। যাতে ফোন করলে একটি লিংক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই লিংকে ক্লিক করলেই সর্বনাশ। মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। দেখা যাচ্ছে, ওই লিংকে ক্লিক করার পরেই আবার একটি ফোন আসছে। যাতে বলা হচ্ছে, একটা টাকা 10 টাকার একটি বিনিময় করতে। মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনো ট্রানজাকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে গত 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিতকে। তার বাড়ি আদতে দেওঘরের সারওয়ান থানা এলাকায়। কলকাতার অন্যান্য থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর সঙ্গে বিনোদের যোগসূত্র আছে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা। তাই তাকে জেরা করা প্রয়োজন। গোয়েন্দাদের ধারণা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে আরো অনেকে। বিনোদকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে 10 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.