কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর : অক্টোবরের 12 থেকে 14 তারিখ পর্যন্ত টানা 72 ঘণ্টা ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন ৷ ধর্মঘটের কথা জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষচন্দ্র বসু।
তিনি বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকের উপর পুলিশের অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রতিটি থানায় মাসোহারা দিতে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের। তাঁর অভিযোগ, "পরিবহন মন্ত্রী সহ অনেকেই অসহযোগিতা করেছেন ট্রাক মালিকদের সঙ্গে। এর আগেও 2018 সালের 10 জানুয়ারি ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ধর্মঘট থেকে সরে এসে ছিলেন ফেডারেশনের সদস্যরা। তবে এবার যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী মাসে ট্রাক ধর্মঘট হচ্ছেই। কারণ ট্রাকের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখনও কোনও আলোচনা করেনি বলে অভিযোগ ফেডারেশনের সদস্যদের।
আজ কোর কমিটির বৈঠকে দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গ মিলিতভাবে ভার্চুয়াল বৈঠক করে। ওই বৈঠকেই ট্রাক মালিকদের বাড়তে থাকা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার যদি অবিলম্বে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পুজোর আগে 72 ঘণ্টা ট্রাক ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ৷ তাও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে পুজোর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ারও বার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আজকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের কাছে ধর্মঘটের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন।
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সুভাষচন্দ্র বসু বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকে ওভারলোডিং বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। দেশের কোথাও ওভারলোডিং হয় না ৷ কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ওভারলোডিং হয়। তিনি বলেন, "সরকার পুলিশ দিয়ে পাথর কয়লা এবং বালি খাদান থেকে আয় করছে। লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রোড ট্যাক্স মুকুব করা হয়েছে। এরাজ্যে হয়নি। ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে ডিম, মাছ, ডাল, ওষুধ এবং কাপড় নিয়ে আসা হয়। এরাজ্যে গাড়ি ঢুকলেই 10 থেকে 15 হাজার টাকা দিতে হয় স্থানীয় প্রশাসন থেকে পুলিশ, সকলকে।" তিনি আরও বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশে একটি ডিমের দাম সাড়ে তিন থেকে চার টাকা। সেই ডিম এই রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে এখন সাড়ে ছ'টাকা থেকে থেকে সাত টাকায়। তোলাবাজি বন্ধ না হলে মূল্যবৃদ্ধি হবেই। আগামী মাসেই 72 ঘণ্টা ছোট-বড় ট্রাক মিলিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সব ট্রাকের ধর্মঘট হবে। এর ফলে পণ্যবাহী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি ৷