কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নিজ উদ্য়োগে বার্ধক্য ভাতার টাকা দেওয়া শুরু করেছেন সেখানকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই নিয়ে আয়কর দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের পালটা জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অভিষেকের মানবিক কাজে বিজেপির গাত্রদাহ কেন হচ্ছে, সেই প্রশ্নই তুলেছে বাংলার শাসক দল ৷
উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে সরকারি ভাবে বার্ধক্য ভাতা যাঁরা পাবেন না, তাঁদের তিনি নিজ উদ্যোগে টাকা দেবেন ৷ গত রবিবার থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে ৷ আর এই নিয়েই আয়কর দফতরে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করে এর জবাব দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।
এ দিন মেট্রোপলিটনের তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । তাঁদের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধির 171-এর বি ধারার অপব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার ছক কষা হয়েছে । এক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে মানবিক কাজেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল । একই সঙ্গে তাঁদের ব্যাখ্যা, যেহেতু যাবতীয় সাহায্য চেকের মাধ্যমে করা হয়েছে, তাই যেখানেই অভিযোগ করা হোক না কেন, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ধোপে টিকবে না ।
এ দিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘76 হাজার 120 জন প্রবীণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক । কেন্দ্রের অসহযোগিতার জন্য সাধারণ মানুষ যেখানে অসুবিধায় রয়েছেন, সেখানে অভিষেক ডায়মন্ড হারবার মডেলের মাধ্যমে দেখালেন কিভাবে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া যায় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত ভালো কাজ করছে ৷ প্রত্যেকটা প্রকল্পে প্রথম-দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ্ছে, এই অবস্থায় কেন্দ্র রাজ্যের টাকা ব্লক করে দিয়েছে । আর সেই টাকা আটকে দেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের পেটে হাত পড়ছে । ওরা তো আসলে বাংলার শত্রু ।’’ কুণাল ঘোষের কথায়, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে অভিষেকের এই উদ্যোগ অবশ্যই একটা মডেল । বিজেপি এর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কুৎসা করার চেষ্টা করছে ।
এ দিন কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘‘সিবিআই ও ইডি এখানে-সেখানে না গিয়ে সবার আগে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাক । সিবিআই-এর এফআইআর নেমড কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর দিকে তাকাবে না, আর সে এর তার নাম করে যাবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ ধরনের সামাজিক কর্তব্য পালনের পরও তাঁকে কুৎসা করবে । কোনোভাবেই আমরা এটা বরদাস্ত করছি না । বরং আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি ।’’
অন্যদিকে এ দিন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অথবা বিজেপির আইটি সেলের নেতা হয়তো 171এর বি ধারাটা ঠিকমতো জানেন না । তাই তাঁরা এর অপব্যাখ্যা করছেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিল তিল করে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে তুলছেন । সেটা একটা মডেল লোকসভা । সেখানে একটা মানবিক প্রয়াস ছিল প্রবীণ মানুষদের পাশে থাকা । আমি জানি না একটা ভালো কাজে বিরোধী দলনেতা বা বিজেপির কেন এত জ্বালা ।’’
আরও পড়ুন: