ETV Bharat / state

কলাইকুন্ডা বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পাল্টা অভিযোগ নিয়ে চুপ তৃণমূল - TMC

কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে 28 মের বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা বিভিন্ন অভিযোগকে খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা 9-দফা অভিযোগ এনেছে মঙ্গলবারই। কিন্তু এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

কলাইকুণ্ডা বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পাল্টা ৯-দফা অভিযোগ নিয়ে নিশ্চুপ তৃণমূল নেতৃত্ব
কলাইকুণ্ডা বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পাল্টা ৯-দফা অভিযোগ নিয়ে নিশ্চুপ তৃণমূল নেতৃত্ব
author img

By

Published : Jun 1, 2021, 8:46 PM IST

কলকাতা, 1 জুন : পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের মধ্যে দ্বৈরথ তুঙ্গে উঠেছে। এর আগে আলাপনবাবুকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে ডেকে নেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, গত 28 মে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থেকে উদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব। গতকালই কেন্দ্রে যোগ না দিয়ে অবসর নেন আলাপনবাবু এবং তৎক্ষণাৎ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করেন মমতা।

কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই আরও জলঘোলা হতে শুরু । কেন আলাপনবাবু 28 মে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান সেই ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে 28 মের বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা বিভিন্ন অভিযোগকে খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা 9-দফা অভিযোগ এনেছে মঙ্গলবারই। কিন্তু এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

কেন্দ্রের এই পাল্টা অভিযোগ নিয়ে ইটিভি ভারত যোগাযোগ করে দুই তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়ের সঙ্গে। তাপসবাবু এবং কুণালবাবু দু‘জনেই বলেন যে, ‘‘যেহেতু এটা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ ৷ তাই এই ব্যাপারে যা বলার রাজ্য সরকারের পক্ষে বলবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং তা বলবেন ঠিক সময়মতো ।’’

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড় যশ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে মোদিজির অনুমুতি নিয়েই তিনি মিটিংয় ত্যাগ করেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কখনোই কোনও অনুমতি দেন নি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময়সূচি তাঁকে শেষ মুহূর্তে জানানো হয় ৷ যখন যশ সংক্রান্ত অন্যান্য বৈঠক এবং সফরসূচির নির্ঘণ্ট ঠিক হয়ে গিয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, যেমন সাইক্লোন আসার আগে তার ক্ষয়ক্ষতি অনুধাবন করা যায় না, তেমনি এমন বৈঠক খুব বেশি আগে থেকে ঠিক করে রাখা সম্ভব নয় ।

আরও পড়ুন : করোনার টিকা ছাড়া স্কুলে প্রবেশ নয়, শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশ ডিআইদের

কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, প্রোটোকল অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের প্রধানমন্ত্রীর চপার বিমানবন্দরে অবতরণ করার আগেই সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর চপার অবতরণ করে দুপুর 1টা 59 মিনিটে এবং অপরদিকে কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর চপার অবতরণ করে দুপুর 2টো 10 মিনিটে ।

কলকাতা, 1 জুন : পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের মধ্যে দ্বৈরথ তুঙ্গে উঠেছে। এর আগে আলাপনবাবুকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে ডেকে নেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, গত 28 মে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থেকে উদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব। গতকালই কেন্দ্রে যোগ না দিয়ে অবসর নেন আলাপনবাবু এবং তৎক্ষণাৎ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করেন মমতা।

কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই আরও জলঘোলা হতে শুরু । কেন আলাপনবাবু 28 মে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান সেই ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে 28 মের বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা বিভিন্ন অভিযোগকে খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা 9-দফা অভিযোগ এনেছে মঙ্গলবারই। কিন্তু এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

কেন্দ্রের এই পাল্টা অভিযোগ নিয়ে ইটিভি ভারত যোগাযোগ করে দুই তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়ের সঙ্গে। তাপসবাবু এবং কুণালবাবু দু‘জনেই বলেন যে, ‘‘যেহেতু এটা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ ৷ তাই এই ব্যাপারে যা বলার রাজ্য সরকারের পক্ষে বলবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং তা বলবেন ঠিক সময়মতো ।’’

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড় যশ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে মোদিজির অনুমুতি নিয়েই তিনি মিটিংয় ত্যাগ করেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কখনোই কোনও অনুমতি দেন নি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময়সূচি তাঁকে শেষ মুহূর্তে জানানো হয় ৷ যখন যশ সংক্রান্ত অন্যান্য বৈঠক এবং সফরসূচির নির্ঘণ্ট ঠিক হয়ে গিয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, যেমন সাইক্লোন আসার আগে তার ক্ষয়ক্ষতি অনুধাবন করা যায় না, তেমনি এমন বৈঠক খুব বেশি আগে থেকে ঠিক করে রাখা সম্ভব নয় ।

আরও পড়ুন : করোনার টিকা ছাড়া স্কুলে প্রবেশ নয়, শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশ ডিআইদের

কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, প্রোটোকল অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের প্রধানমন্ত্রীর চপার বিমানবন্দরে অবতরণ করার আগেই সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর চপার অবতরণ করে দুপুর 1টা 59 মিনিটে এবং অপরদিকে কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর চপার অবতরণ করে দুপুর 2টো 10 মিনিটে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.