ETV Bharat / state

"রাজ্যপালের মতো কাজ করছেন না ধনকড়", সরব কংগ্রেস-তৃণমূল-CPI(M)

author img

By

Published : Oct 29, 2020, 7:11 PM IST

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চলছে । অধিকাংশ আমলা রাজনীতি করেন । মুখ্যমন্ত্রীর কোনও হেলদোল নেই । রাজ্যে আল-কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ছে । বোমা তৈরির কারখানা হয়েছে । বিধানসভা ভোট নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন । গণতন্ত্র নিয়ে কোনও রকম সমঝোতায় যাব না ।’’

রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া
রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া

কলকাতা, 29 অক্টোবর : রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ সেখানে তিনি রাজ্য নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন ৷ এমনকী সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল ৷ তবে তাঁর এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ৷

আজ রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘ রাজ্যপালের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, অমূলক ও অবাস্তব ৷ রাজ্যের আইন শঙ্খলা যথেষ্ট ভালো ৷ উত্তরপ্রদেশের মতো এখানে গণহত্যা বা গণধর্ষণ হয় না ৷’’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল ৷ সেবিষয়ে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বারবার যে কথা বলছেন তার জায়গা থেকে তা বলা উচিত নয় । উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিছু জানাতেই পারেন ৷ কিন্তু সেটা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন কেন ? বিধানসভা নির্বাচন এখানে ভালো ভাবেই হবে । এনিয়ে রাজ্যপালের চিন্তা করার দরকার নেই । নির্বাচন কমিশন আছে, তারা দেখবে । উনি কে ? "

প্রসঙ্গত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চলছে । অধিকাংশ আমলা রাজনীতি করেন । মুখ্যমন্ত্রীর কোনও হেলদোল নেই । রাজ্যে আল-কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ছে । বোমা তৈরির কারখানা হয়েছে । বিধানসভা ভোট নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন । গণতন্ত্র নিয়ে কোনও রকম সমঝোতায় যাব না ।’’

রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, " রাজ্যের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নই । মনে রাখতে হবে, আমি এবং রাজ্যপাল এক নই । আমি রাজনৈতিক দলের কর্মী । রাজ্যপাল রাজনৈতিক দলের কর্মী নন । একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান । অর্থাৎ রাজ্যপালের রিপোর্ট এমনভাবে তৈরি হওয়া উচিত, যেখানে তিনি রাজ্য সরকারের কথা এবং জনগণের কথা শুনে তার ভিত্তিতে দুটো মতামত নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে দিল্লিতে দেবেন ৷ আমরা সেটা আশা করি । সেই জায়গা থেকে যদি সরে আসেন সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে মনে করি । এরাজ্যের কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধির সঙ্গে মহামান্য রাজ্যপাল যুক্ত থাকুন এটা আমরা চাই না । এই কাজটা যদি কখনও হয়ে থাকে সেটাকে আমরা গ্রহণ করব না । রাজ্যের কল্যাণ চাই আমরা । এমন কিছু চাই না যাতে কেন্দ্রীয় সরকার এখানে হস্তক্ষেপ করে ।"

CPI(M) নেতা রবীন দেব বলেন, " রাজ্যপালকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন না । তিনি কাজ করছেন BJP নেতা হিসেবে । এটা সংসদীয় গণতন্ত্র ও আমাদের রাজনীতির পক্ষে খুবই দুঃখজনক । এরাজ্যের নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের বামপন্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের । তৃণমূল ও BJP-র মধ্যে কোনও ফারাক আছে বলে আমি মনে করি না । রাজ্যপাল যদি সত্যি সত্যি অবাধ নির্বাচন চাইতেন তাহলে নির্বাচন কমিশনের কাছে বলতেন । আমরা ভাবতাম আন্তরিক । আসলে তিনি তাঁর দলের হয়ে কাজ করছেন । BJP যা বলছে তাই তিনি করছেন । রাজ্যের সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেই বক্তব্য যদি তুলে ধরতেন সেটা অন্য কথা হত । আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক । কিন্তু রাজ্যপাল যার কাছে যাচ্ছেন সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেকের অধিকার লঙ্ঘন করেছেন । এর কোনও যুক্তি আছে বলে মনে করি না ।"

CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ তবে একই জিনিস হচ্ছে BJP শাসিত রাজ্যেও ৷ গুজরাত, ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশেও এই একই জিনিস হচ্ছে ৷ কিন্তু রাজ্যপালের পদটি তো সাংবিধানিক ৷ তিনি সাংবাদিক বৈঠক করছেন কেনও ৷ তাঁর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তিনি দিল্লিতে তা রিপোর্ট করবেন ৷ সাংবাদিক বৈঠক করতেন না ৷ রাজ্যপালের পদে বসে তিনি রাজনীতি করছেন ৷ তিনি যা করছেন এটা BJP-র কাজ হতে পারে ৷ রাজ্যপালের এটা কাজ নয় ৷"

কলকাতা, 29 অক্টোবর : রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ সেখানে তিনি রাজ্য নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন ৷ এমনকী সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল ৷ তবে তাঁর এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ৷

আজ রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘ রাজ্যপালের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, অমূলক ও অবাস্তব ৷ রাজ্যের আইন শঙ্খলা যথেষ্ট ভালো ৷ উত্তরপ্রদেশের মতো এখানে গণহত্যা বা গণধর্ষণ হয় না ৷’’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল ৷ সেবিষয়ে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বারবার যে কথা বলছেন তার জায়গা থেকে তা বলা উচিত নয় । উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিছু জানাতেই পারেন ৷ কিন্তু সেটা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন কেন ? বিধানসভা নির্বাচন এখানে ভালো ভাবেই হবে । এনিয়ে রাজ্যপালের চিন্তা করার দরকার নেই । নির্বাচন কমিশন আছে, তারা দেখবে । উনি কে ? "

প্রসঙ্গত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চলছে । অধিকাংশ আমলা রাজনীতি করেন । মুখ্যমন্ত্রীর কোনও হেলদোল নেই । রাজ্যে আল-কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ছে । বোমা তৈরির কারখানা হয়েছে । বিধানসভা ভোট নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন । গণতন্ত্র নিয়ে কোনও রকম সমঝোতায় যাব না ।’’

রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, " রাজ্যের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নই । মনে রাখতে হবে, আমি এবং রাজ্যপাল এক নই । আমি রাজনৈতিক দলের কর্মী । রাজ্যপাল রাজনৈতিক দলের কর্মী নন । একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান । অর্থাৎ রাজ্যপালের রিপোর্ট এমনভাবে তৈরি হওয়া উচিত, যেখানে তিনি রাজ্য সরকারের কথা এবং জনগণের কথা শুনে তার ভিত্তিতে দুটো মতামত নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে দিল্লিতে দেবেন ৷ আমরা সেটা আশা করি । সেই জায়গা থেকে যদি সরে আসেন সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে মনে করি । এরাজ্যের কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধির সঙ্গে মহামান্য রাজ্যপাল যুক্ত থাকুন এটা আমরা চাই না । এই কাজটা যদি কখনও হয়ে থাকে সেটাকে আমরা গ্রহণ করব না । রাজ্যের কল্যাণ চাই আমরা । এমন কিছু চাই না যাতে কেন্দ্রীয় সরকার এখানে হস্তক্ষেপ করে ।"

CPI(M) নেতা রবীন দেব বলেন, " রাজ্যপালকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন না । তিনি কাজ করছেন BJP নেতা হিসেবে । এটা সংসদীয় গণতন্ত্র ও আমাদের রাজনীতির পক্ষে খুবই দুঃখজনক । এরাজ্যের নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের বামপন্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের । তৃণমূল ও BJP-র মধ্যে কোনও ফারাক আছে বলে আমি মনে করি না । রাজ্যপাল যদি সত্যি সত্যি অবাধ নির্বাচন চাইতেন তাহলে নির্বাচন কমিশনের কাছে বলতেন । আমরা ভাবতাম আন্তরিক । আসলে তিনি তাঁর দলের হয়ে কাজ করছেন । BJP যা বলছে তাই তিনি করছেন । রাজ্যের সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেই বক্তব্য যদি তুলে ধরতেন সেটা অন্য কথা হত । আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক । কিন্তু রাজ্যপাল যার কাছে যাচ্ছেন সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেকের অধিকার লঙ্ঘন করেছেন । এর কোনও যুক্তি আছে বলে মনে করি না ।"

CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ তবে একই জিনিস হচ্ছে BJP শাসিত রাজ্যেও ৷ গুজরাত, ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশেও এই একই জিনিস হচ্ছে ৷ কিন্তু রাজ্যপালের পদটি তো সাংবিধানিক ৷ তিনি সাংবাদিক বৈঠক করছেন কেনও ৷ তাঁর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তিনি দিল্লিতে তা রিপোর্ট করবেন ৷ সাংবাদিক বৈঠক করতেন না ৷ রাজ্যপালের পদে বসে তিনি রাজনীতি করছেন ৷ তিনি যা করছেন এটা BJP-র কাজ হতে পারে ৷ রাজ্যপালের এটা কাজ নয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.