কলকাতা, 25 এপ্রিল: স্কুলে ছাত্র আছে, নেই শিক্ষক । অথচ সামনেই পরীক্ষা ৷ শিক্ষকের অভাবে বিপাকে আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীরা। অবশেষে হস্তক্ষেপ করল হাইকোর্ট ৷ সোমবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে দু'সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বুনিয়াবসন গ্রাম মূলত আদিবাসী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। হাজারখানেক মানুষের বাস এই এলাকায়। কিন্তু গ্রামে কোনও স্কুল ছিল না ৷ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার কথা ভেবে, শিক্ষা দফতরের যুগ্ন-সচিব 2014 সালে এক মেমোরাণ্ডাম দিয়ে গ্রামের নামেই একটি স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিলেন। স্কুলের নাম রাখা হয়েছিল, বুনিয়াবসন জুনিয়র হাইস্কুল। স্থানীয় বাসিন্দারা সুশীল কুমার মুর্মু নামে এক ব্যাক্তির নেতৃত্বে গ্রামে 'শিক্ষা সমিতি' নামে কমিটি গঠন করেন। তাঁরাই স্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসাবে 2017 সালে স্বপন কুমার দাসকে নিযুক্ত করেন। 2023 সালের 31 মার্চ স্বপন কুমার দাসের পদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে বর্তমানে শিক্ষকহীন বুনিয়াবসন জুনিয়র হাইস্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই, বাধ্য হয়ে 22 জন গ্রামবাসী মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে সরকারি স্কুল, স্বল্প বেতনে পাঠ দিচ্ছেন গ্রামেরই যুবক-যুবতি
উল্লেখ্য, আদিবাসী জনসমাজের প্রয়োজনীয়তা ও সেখানকার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এলাকায় একটি জুনিয়র হাইস্কুলের অনুমোদন দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। 2014 সালে শিক্ষা দফতর সেই অনুমোদন দিলেও এখনও সেখানে নিয়োগ করা হয়নি কোনও শিক্ষক।
এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কিন্তু বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলায়, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।
এরপরেই সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ অবিলম্বে রাজ্যকে একজন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "যতদিন না শিক্ষা দফতর বুনিয়াবসন জুনিয়র হাইস্কুলে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করছে, ততদিন অস্থায়ী কোনও শিক্ষককে দিয়ে কাজ চালাতে হবে। দু'সপ্তাহের মধ্যে ঐ স্কুলে আপাতত অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।"