কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য ট্রাম পরিষেবা ৷ শহর তিলোত্তমায় এই পরিষেবা চালু হয়েছিল 1873 সালের 24 ফেব্রুয়ারি ৷ এই বছর 150তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। আর তার আগেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপোর ট্রাম ওয়ার্ল্ড ক্যাফে উদ্বোধন করা হল ৷ যদিও পুজোর সময় থেকেই চালু হয়েছে এই ট্রাম ওয়ার্ল্ড ক্যাফে ৷ তবে এদিন এই ক্যাফে রেস্তোরাঁর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty)।
এখানে চা, কফি স্ন্যাকসের পাশাপাশি পাওয়া যাবে আরও অন্যান্য স্বাদের খাবার-দাবারও। ফোম, সোফা, টেবল, চেয়ার ও নানা রংয়ের টুনি লাইট দিয়ে এক মনোরম পরিবেশে সেজে উঠেছে এই ট্রাম ওয়ার্ল্ড ক্যাফেটি। বালিগঞ্জ ফাঁড়ির এই ট্রাম ডিপোর একাংশকে এভাবেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ বালিগঞ্জের ট্রামের হোল্ডিং চত্বরটি ট্রাম ডিপোতে রূপান্তরিত করা হয়। তারপর আরও এক ধাপ এগিয়ে ডিপোর একাংশকে ট্রাম মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। আর বর্তমানে সেই ট্রাম মিউজিয়ামের একাংশকে ট্রাম ক্যাফেতে রূপান্তরিত করা হয়েছে ৷
গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই চালু হয়েছিল এই ট্রাম ওয়ার্ল্ড। আর বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই আবার সংযোজন করা হল এই ট্রাম ক্যাফেকে। আগে ট্রাম মিউজিয়ামের প্রবেশ করতে গেলে টিকিট কাটতে হত, তবে ক্যাফেটেরিয়া হওয়ার পর থেকে আর টিকিট কেটে ঢুকতে হয় না। এদিন পরিবহণ মন্ত্রী জানান, গোড়ার দিকে এই ট্রাম মিউজিয়াম নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও পরে এই মিউজিয়াম নিয়ে উৎসাহ হারান শহরবাসী। তাই মিউজিয়ামের সঙ্গে একটি বসে খাওয়ার জায়গা থাকলে অনেক মানুষজনের ভিড় হবে। মূলত এই ভাবনা থেকেই খোলা হয়েছে রেস্তোরাঁটি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অনেকগুলি ডিপো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এই গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপো।
আরও পড়ুন: অব্যবহৃত ট্রাম লাইনে বাড়ছে দুর্ঘটনা, পদক্ষেপের দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরেরও
তিনি আরও জানান, এখানে বহুদিন জায়গাটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল আগাছা এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। এখানে অন্য অংশে ট্রাম যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হলেও অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত হয়েই পড়েছিল। তাই সেই জায়গাকে ব্যবহার করে ট্রাম ওয়ার্ল্ড এবং তারপর ট্রাম ক্যাফে করা হয়েছে। পুজোর আগেই এই রেস্তোরাঁটিকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। যেহেতু শহরের ট্রাম ডিপোগুলিতে অনেক জমি অব্যবহৃত হয়ে পরে রয়েছে তাই তাকে লাভজনক করে তোলার উদেশ্যেরই ট্রাম মিউজিয়ামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে এই ক্যাফেও।" তিনি আর বলেন, "পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ট্রামের আয় বারবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।"