ETV Bharat / state

অপ্রশিক্ষিতদের সঙ্গে প্রশিক্ষিতদেরও ডাকতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারির ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য অপ্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরও ডাকতে হবে । নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ।

কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Apr 24, 2019, 11:53 PM IST

কলকাতা, 24 এপ্রিল : অপ্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারির ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকতে হবে । 27 মে পর চার সপ্তাহের মধ্যে এই ভেরিফিকেশন করতে হবে। আজ এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ।

2015 সালের 16 অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারি পরীক্ষা হয় । 2016 সালে রেজ়াল্ট প্রকাশিত হয় । এর মধ্যে 1 লাখ 20 হাজার প্রশিক্ষিত ও এক লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থীরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন । গত বছর থেকে ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন শুরু হয় । চলতি বছরের 6 থেকে 11 মার্চ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন চলে । প্রায় 6 হাজার চাকরিপ্রার্থী সেখানে ডাক পান । অভিযোগ, সেখানে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডাকা হলেও প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে । তা নিয়ে অনেকে চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ।

আজ সেই মামলার শুনানি হয় । কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, সব নিয়ম মেনে ক্যাটেগরি ওয়াইজ় প্রার্থীদের ডাকা হবে। তারপর বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, অপ্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরও ডাকতে হবে ।

কলকাতা, 24 এপ্রিল : অপ্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারির ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকতে হবে । 27 মে পর চার সপ্তাহের মধ্যে এই ভেরিফিকেশন করতে হবে। আজ এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ।

2015 সালের 16 অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারি পরীক্ষা হয় । 2016 সালে রেজ়াল্ট প্রকাশিত হয় । এর মধ্যে 1 লাখ 20 হাজার প্রশিক্ষিত ও এক লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থীরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন । গত বছর থেকে ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন শুরু হয় । চলতি বছরের 6 থেকে 11 মার্চ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন চলে । প্রায় 6 হাজার চাকরিপ্রার্থী সেখানে ডাক পান । অভিযোগ, সেখানে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডাকা হলেও প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে । তা নিয়ে অনেকে চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ।

আজ সেই মামলার শুনানি হয় । কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, সব নিয়ম মেনে ক্যাটেগরি ওয়াইজ় প্রার্থীদের ডাকা হবে। তারপর বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, অপ্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরও ডাকতে হবে ।

Intro:১২ সপ্তাহের মধ্যে বদলির আবেদনে সন্মতি দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকো। Body:
মানস নস্কর --

স্বামী অসুস্থ, শিক্ষাকার বদলির আবেদনে সন্মতি হাইকোর্টের

কলকাতা ২২ এপ্রিলঃ
ঘরে অসুস্থ স্বামী।একটি বছর আটের বাচ্চাকে সামলানোর পর প্রতিদিন ৩০০ কিলোমিটার যাতায়াত করে আর পারছিলেন না ভুগোলের শিক্ষিকা সুমিতা মেইকাপ।আবেদন জানিয়েছিলেন কাছাকাছি কোন স্কুলে যাতে বদলির ব্যাবস্থা করে সরকার। কিন্ত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি শিক্ষাদপ্তর। অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।আজ হাইকোর্টের নির্দেশ আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে স্পেশাল গ্রাউন্ডে এই বদলির ব্যাবস্থা করতে হবে।

সুমিতা মেইকাপের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরীর সুত্রে জানা যাচ্ছে, সুমিতা মেইকাপ (৪৭),স্বামী জগদীশ হালদার, থাকেন উত্তর ২৪ পরগনার ইটালগাছায়।চাকরি পেয়েছেন ২০০৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে। তেতুলমোরী রামকৃষ্ণ শিক্ষানিকেতন, পশ্চিম মেদিনীপুর স্কুলের ভুগোলের শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলির আবেদন জানান ২০১৬ সালে প্রথমে। পরে আবার ২০১৭ সালেও আবেদন জানান। স্কুল ওনার বদলিতে আবেদনে সন্মতি ও দিয়ে দেয় গত ১৫/৯/১৬ তারিখে। তা সত্তেও ওনার বদলির আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না শিক্ষা দপ্তর। ওনার স্বামী জটিল কিডনির অসুখে ভুগছেন।পাশাপাশি তার ৮ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এই দুজনকে দেখার পর স্কুলের চাকরি সামলাতে পারছিলেন না। সেই জন্যই বদলির আবেদন জানান। প্রতিদিন তাকে যাতায়াতে মিলিয়ে ৩০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়।কিন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও ডি আই তার বদলির আবেদনে সাড়া দেয়নি।এরপর ২০১৮ সালে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি শিনকান্ত প্রসাদের কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেখান থেকে মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে আসে।

আজ মামলাটি উঠলে মামলাকারীর।তরফে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান,"স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলি সংক্রান্ত আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী কোন শিক্ষিকার স্বামী গুরুতর অসুস্থ থাকলে তিনি বদলির আবেদন জানাতে পারেন।এবং শিক্ষাদপ্তর তাকে সেই বিষয়ে তার বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি করতে আইনগত ভাবে বাধ্য। "অন্যদিকে শিক্ষাদপ্তরের তরফে আইনজীবী জানান," সংশ্লিষ্ট স্কুলে ওনার কাগজপত্র পাঠাতে দেরি করার জন্যই কাজটি হয়নি।স্কুল কাগজপত্র পাঠালেই বদলি হয়ে যাবে।"

শেষে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তার নির্দেশে জানান,ঐ শিক্ষিকার বদলির আবেদন সংক্রান্ত সমস্ত নথি স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে পাঠাতে হবে অতি সত্তর। এবং পাঠানোর ১২ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষিকার বদলির আবেদন অনুযায়ী বদলির ব্যাবস্থা করতে হবে।

Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.