কলকাতা, 16 নভেম্বর: কলকাতা পুলিশ (Kolakata Police) সারাক্ষণ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে ট্রাফিকের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। তবে রাস্তায় যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে বা কেউ অসুস্থ হলে সেই 'গোল্ডেন পিরিয়ডে'-এ পুলিশ যাতে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে, তারজন্য দেওয়া হচ্ছে এই ট্রেনিং। অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগে পর্যন্ত যাতে ওই ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেই শিক্ষাই দেওয়া হচ্ছে এই ট্রেনিং (BLS) এর মারফত।
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ মিত্র জানান, রাস্তায় সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারেন ট্রাফিক পুলিশ, যাতে ব্যক্তিটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে নিয়ে আসা যায়, সেই প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে। এর নাম বেসিক লাইফ সাপোর্ট। হাসপাতাল সূত্রে খবর, 25টি ট্রাফিক গার্ডে এই ট্রেনিং দেওয়া হবে। প্রায় 2 হাজার 500 থেকে 3 হাজার জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে দেওয়া হবে ট্রেনিং।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথম, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের টেক্কা দিতে বিশেষ কৌশল শিখছে কলকাতা পুলিশ
ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police) কর্মীদেরও নিজেদের চেক আপ করানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল। শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডে এই প্রশিক্ষণ শুরু হল। একটি পুতুলের সাহায্যে কীভাবে সিপিআর, পালস চেক করা হয় তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কীভাবে বুকে প্রেসার দিলে শ্বাস-প্রশ্বাস সচল থাকবে তাও দেখানো হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে।
তিনি আরও জানান, এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ। ট্রাফিক সব সময় চেষ্টা করে প্রাণ বাঁচানোর। তবে (বিএলএস) BLS ট্রেনিং নেওয়া থাকলে আরও সুবিধা হবে কাজ করতে। বেসরকারি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, কলকাতার প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বিএলএস ট্রেনিং-এর অর্থ, মানুষকে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স না আসা পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা যায়। রাস্তায় অনেকের সুগার কমে যায়, নানারকম শরীর খারাপ হয় রাস্তায়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ কী হবে, তাই শেখানো হবে।
আরও পড়ুন: পান্ডে ব্রাদার্সের অতিরিক্ত 130 কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পেল লালবাজার
এই ট্রেনিং দিচ্ছেন ডঃ বিশ্বজিৎ মিত্র। তিনি এ বিষয়ে বলেন, "রাস্তায় কোনও অঘটন ঘটলে কীভাবে প্রাথমিক মোকাবিলা করা যবে, তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।" ট্রেনিং নেওয়ার পর শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের মুর্শিদুল ইসলামের বক্তব্য, "এই ট্রেনিং নেওয়া থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে কাজের।"