কলকাতা, 15 নভেম্বর: আজ ভাইফোঁটা। সকাল থেকেই ফোঁটা উপলক্ষ্যে মিষ্টির দোকানগুলোয় ভিড় ক্রেতাদের। উত্তর কলকাতার হেদুয়া এলাকার শতবর্ষ প্রাচীন দোকান। তার সামনে উপচে পড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ভাইকে ফোঁটা দিয়ে সেরার সেরা মিষ্টি দিয়েই করতে হবে মিষ্টি মুখ। এই দিনটি দিদি বা বোনের কাছে একটা আলাদা গুরুত্ব। মিষ্টি মুখে দিয়ে ধান, দূর্বাঘাস, দই, চন্দনের ফোঁটায় দিন শুরু হয়েছে। দুপুরে নানা পদের খাবারে পেটপুজোও হয়েছে ৷ রাতে আরও রান্নার পদ থাকবে ৷ সারাদিন চলবে ভূরিভোজ আর সঙ্গে উপহার তো থাকছেই।
ভাইফোঁটার উপহার বেশ কয়েকদিন আগেই কেনা হয়েছে। তবে আজকের দিনে সকালে উঠেই প্রথম কাজ টাটকা মিষ্টি নিয়ে ফেলা। সেই উদ্দেশে শতবর্ষ পুরনো দোকানের সামনে উপচে পড়েছে ভিড়। ফিউশন যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমন শতবর্ষ পার হাওয়া এই দোকানে ট্র্যাডিশনাল মিষ্টিও সমান তালে বিক্রি হয়েছে। শুধু আশপাশের এলাকা নয় কলকাতা লাগোয়া বহু এলাকা থেকে মানুষজন এই দোকানে আসেন মিষ্টি নিতে এসেছেন ৷ বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সতীপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, "প্রায় 40 বছর ধরে টানা এই দোকানের মিষ্টি নেন ভাইফোঁটার জন্য। সেই ঐতিহ্য রক্ষা করে যাবেন আগামিদিনেও।"
তিনি আরও বলেন, "এখন অনেক নতুন ধরনের সন্দেশ এসেছে কিন্তু জলভরা, তালশাশ, স্বর্ণফুলি, কড়া পাকের গোল সন্দেশ তাতে ভাইফোঁটা লেখা সেই গুলোই তিনি কিনে নিয়ে যান।" শুধু তিনি নন বহু ক্রেতাই এদিন যেমন নতুন ধরনের সন্দেশ কিনেছেন তেমন পুরনো ট্র্যাডিশন বজায় রেখেই আজ থেকে 40-50 বছর আগের ঘরানার সন্দেশ মিষ্টি কিনছেন।
দোকান মালিক প্রীদিত নন্দী বলেন, "ফিউশন, ট্র্যাডিশনাল দুই মিষ্টিই আছে। দিলখুশ সন্দেশ, পারিজাত সন্দেশ, মালাই রোল, চকলেট সন্দেশ, স্ট্রবেরি, নারকেলের মৌসুমি সন্দেশ, স্বর্ণফুলি, মালাই সিঙারা, ড্রাইফ্রুট সিঙারা আছে। একটা বড় অংশ ফিউশন মিষ্টি নিচ্ছে। একটা বড় অংশ যারা বছরের পর বছর নেন তারা ট্র্যাডিশনাল মিষ্টিগুলো নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: