কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: যে কোন রাজ্যের পর্যটন শিল্প, সেখানকার অর্থনৈতিক ভীতকে মজবুত করতে সাহায্য করে ৷ করোনার পর বিভিন্ন দেশ তথা রাজ্যে সেই শিল্প অনেকটাই ঠেকেছিল তলানিতে ৷ সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কেরলের পর্যটন। 2022-এ দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এসেছেন কেরলে। এবার বাংলার ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের টানতে চাইছে কেরল পর্যটন দফতর ৷ মঙ্গলবার বাংলার পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানালেন কেরলের পর্যটন মন্ত্রী পিএ মহম্মদ রিয়াজ।
এদিন কলকাতার একটি পাঁচ তারা হোটেলে কেরল ট্যুরিজমের তরফ থেকে একটি পার্টনারশিপ মিটের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেরলের পর্যটন মন্ত্রী বলেন, "কেরলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের আগমনে অতিমারি পরবর্তী উত্থানকে আরও গতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে কেরলে যাওয়ার জন্য মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।"
রাজ্যের পর্যটন দফতরের আধিকারিক সুরজ পিকে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ কেরলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। প্রত্যেক বছর এই রাজ্য থেকে বহু পর্যটক কেরলে ঘুরতে যান। সামনেই ওনাম আসছে। তার আগে কেরলের পর্যটনকে গতি দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।" তিনি আরও বলেন, "কেরলকে বলা হয়, ভগবানের আপন দেশ। আপনারাও সপরিবারে একবার এই রাজ্যে আসুন। রাজ্য সরকার আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। অতীতের প্রথাগত দর্শনীয় স্থান নয়, এই সরকারের শাসনে বেশ কিছু নতুন দর্শনীয় স্থান তৈরি হয়েছে কেরলে। বর্তমান সরকার ক্যারাভ্যান এবং হোম-স্টের জন্যও উৎসাহিত করছে সাধারণ মানুষকে ৷ ফলে পর্যটকদের জন্য শুধুমাত্র সে রাজ্যে হোটেলের উপর ভরসা করে থাকতে হবে এমন নয়।"
আরও পড়ুন: এই পুজোয় ডেস্টিনেশন হোক ইতিহাস বিজরিত বড়দিঘি চা বাগানের হেরিটেজ বড় বাংলো
এদিন কেরল সরকারের তরফ থেকে পর্যটকদের যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা হল, গত বছর কেরলে 1.87 লক্ষ বাঙালি পর্যটক বেড়াতে গিয়েছেন কেরলে ৷ এবার সরকার চাইছে সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হোক। পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে কেরলের প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান ও চিরপরিচিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নানা তথ্য ৷