কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: শীতের দুরন্ত ইনিংস শুরুর সম্ভাবনায় হঠাৎ বাধা। নেপথ্যে খলনায়ক বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ ৷ যা রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। রাজ্যের ওপর ঘনীভূত নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সেভাবে প্রভাব ফেলবে না। তবে গত কয়েকদিন ধরেই ঠান্ডার শিরশিরানি যে কম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রোদের তাপ নরম নয় যথেষ্ট কড়া। সূর্য ডোবার পরে ঠান্ডা বোধ হলেও তা গত কয়েকদিনের মতো শিরশিরানি অনুভূতি জাগাচ্ছে না।
হাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর যে নিম্নচাপটি রয়েছে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ রবিবার, 3 ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। পরবর্তীতে এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ দিকে চলে যাবে। 4 ও 5 ডিসেম্বর অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশের নেল্লোর ও মাছলি পাটনামে আছড়ে পড়বে। এই সময় 80-85 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকবে। ফলস্বরূপ তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশার কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বঙ্গে তেমন কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। 5 ডিসেম্বর, মঙ্গলবারের পর দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলার আকাশে মেঘ দেখা যেতে পারে। 6 এবং 7 ডিসেম্বর নাগাদ দুই 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। মৎস্যজীবীদের জন্যও কোনওরকম সতর্কবার্তা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নীচে নামার যে ধারা দেখা যাচ্ছিল আপাতত তা সেভাবে হবে না।
এক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন 20 থেকে 21 ডিগ্রির মাঝামাঝি পারদ ওঠা, নামা করার সম্ভাবনা রয়েছে। 7 তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা ফের কমার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার কলকাতা এবং তৎপার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 30 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2 ডিগ্রি বেশি। ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 30 ডিগ্রিতে যা সত্যিই চমকে দেওয়ার মত। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 21.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে 5 ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল 90 শতাংশ। আজ দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 29 এবং 21 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: