কলকাতা, 18 এপ্রিল: গরমে কাহিল রাজ্যবাসী। এর থেকে কবে মিলবে রেহাই তা জানতে চান সকলেই। প্রচণ্ড গরমে বৃষ্টির প্রত্যাশী বঙ্গবাসীর অবস্থা অনেকটা চাতক পাখির মতো। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এতদিন তাপপ্রবাহের কথা শুনিয়েছে। সামনে আরও দিন চারেক পরিস্থিতি একইরকম থাকার কথা বলছে। এরই সঙ্গে সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি বদলের কথাও বলছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সময় উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর ও মালদায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি দিনগুলোতে আপাতত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। আগামী 22 এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মূলত, 21 তারিখ শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।
আপাতত যেমন চলছে তেমনই চলবে। গতকাল সকাল থেকে গা জ্বলানো গরম অনুভূত হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে অস্বস্তি বেড়েছে। গরমের সঙ্গে আর্দ্রতা যোগ হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর ৷ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহের এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ফলে যেসমস্ত সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা মানা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: শিল্পাঞ্চলে তীব্র গরম ! স্বস্তি পেতে জলকেলিতে মজে শহরবাসী
সোমবার রাজ্যের উষ্ণতম জেলা ছিল বাঁকুড়া। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 43.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 43.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 43 ডিগ্রি। আলিপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 40 ডিগ্রি। সল্টলেক এবং ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা ছিল 40.5 ডিগ্রি ও 40.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমের তাপমাত্রা ছিল 41.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মঙ্গলবার অস্বস্তিকর এই গরম অব্যাহত থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি এবং 29 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে ৷
গরমের এই দাপট থেকে বাঁচতে যা যা করণীয় তা হল- প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর। বিশেষ করে বেলা এগারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত বাইরে বেরোনোর বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। হালকা বা সুতির জামাকাপড় পড়া, রোদচশমা, ছাতা ও টুপির ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর সবথেকে যেটা জরুরি তা হল বেশি পরিমাণে জল খাওয়া। সামান্য অস্বস্তি অনুভব করলেই অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় বসার কথাও বলা হয়েছে।