কলকাতা, 17 মার্চ: 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2023) লড়াইয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) রোডম্যাপে যে কংগ্রেস (Congress) নেই, শুক্রবার তা একপ্রকার নিশ্চিত করে দিল ঘাসফুল শিবির ৷ একধাপ এগিয়ে কংগ্রেসের জন্য বাংলার শাসক দল হুঁশিয়ারিও দিল যে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে কীভাবে হটাতে হয়, তা তারা দেখিয়ে দেবে ৷
এদিন কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে শাসক দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক ছিল ৷ সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandopadhyay) ও রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষপট নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন উত্তর কলকাতার সাংসদ ৷
তাঁর সরাসরি অভিযোগ যে কংগ্রেস বিগবসের মতো আচরণ করছে ৷ আঞ্চলিক দলগুলিকে প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছে না ৷ অথচ আঞ্চলিক দলগুলিকে কংগ্রেসের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত ৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুদীপের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, এই ধরনের বিগবসের মতো আচরণ তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নেবে না ৷
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ভাগ শুরু হয়েছে ৷ সেদিনই সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করতে কংগ্রেসের ডাকে বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিনি ছিলেন বলে জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সেখানে তিনি বিজেপি বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াইয়ের যথাযথ রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন বলেও জানিয়েছেন ৷
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস আগামিদিনে আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরাবে ৷ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে তাঁর বার্তা, কীভাবে সেটা সরানো যায়, তা দেখিয়ে দেবে তৃণমূল ৷ প্রসঙ্গত, এদিনই কালীঘাটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ৷ সুদীপ জানান, আগামী 23 মার্চ ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে ৷ এছাড়া শীঘ্রই দিল্লিতেও যাবেন তৃণমূল নেত্রী ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাহুল গান্ধির একটি মন্তব্য নিয়ে এখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ বিজেপি রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব ৷ সুদীপের মতে, এটা আসলে বিজেপির কৌশল ৷ বিজেপি চায় রাহুল গান্ধিকে প্রচারে রাখতে ৷ রাহুলকেই বিরোধীদের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিজেপি ৷ কিন্তু তৃণমূল ভোটের পর বিরোধীমুখ স্থির করার পক্ষপাতী বলে তিনি জানিয়েছেন ৷
পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে বিজেপির বন্ধুর সংখ্যা কমছে ৷ 2019 সালের ভোটের আগে এনডিএ-তে বিজেপির সঙ্গে 18টি দল ছিল ৷ তার মধ্যে 15টি দল এনডিএ ছেড়েছে ৷ তাই তাঁর বার্তা, আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কীভাবে বিজেপিকে আটকায়, তা দেশের মানুষের কাছে নজির হয়ে থাকবে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে কর্মীদের চাঙ্গা করতে বঙ্গজুড়ে 60 সভা অভিষেকের