কলকাতা, 28 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'মন কি বাত'-এর 101তম দিনে তৃণমূল নিয়ে এল নবজোয়ার রেডিয়ো ৷ রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের কাছে যতটা সম্ভব পৌঁছনই লক্ষ্য ৷ আর সেই উদ্দেশেই তৈরি হচ্ছে এই নবজোয়ার রেডিয়ো ৷ পডকাস্টের মারফৎ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য পৌঁছে যাবে মানুষের কাছে এমনটাই দাবি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ৷
রাজ্যে রাজনৈতিক প্রচারের মাধ্যম হিসাবে এমন ভাবনা অতীতে কখনও দেখা গিয়েছে কি না সন্দেহ। জনসংযোগের হাতিয়ার এবার রেডিও। আর এই ব্যবস্থা নিয়ে আসছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমান সময়ে যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টেলিভিশন তথা সোশাল মিডিয়ার বিপ্লব ঘটে গিয়েছে, তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত রেডিয়োই গ্রামে বা প্রান্তিক এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এবার এই রেডিয়োকেই প্রচারের হাতিয়ার করছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে রেডিয়োতেও নবজোয়ারের প্রচার শোনা যাবে।
প্রসঙ্গত গত 25 এপ্রিল কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর জেলায় জেলায় ঘুরে দলের জনসংযোগ কর্মসূচি সারছেন অভিষেক। নিরবিচ্ছিন্ন জনসংযোগ বাড়ি থেকে দূরে থেকে টানা চলছে তাঁর এই কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচিতে 30 দিন অতিবাহিত হয়েছে। মাঝে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের মুখোমুখি হতে গিয়ে দু'দিনের বিরতি থাকলেও, আবার পুরো দমে ময়দানে অভিষেক। আর সেই জায়গা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ অর্থাৎ রবিবার চালু হল নবজোয়ার পডকাস্ট।
আরও পড়ুন: 12 জুন মোদি বিরোধী জোটের বৈঠক পটনায়, সম্ভবত যাচ্ছেন মমতাও
প্রসঙ্গত, এই দিনটি আরও একটা কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এদিনই দেশের প্রধানমন্ত্রী 101তম 'মন কি বাত' নিয়ে দেশবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। একই দিনে দল, সরকারি প্রকল্প, গ্রাম বাংলার মানুষের কথা সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৃণমূল এদিনই নিয়ে এল নবজোয়ার রেডিয়ে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানান, দলনেত্রী বারবার একটা কথা বলে দিয়েছেন, রাজ্যের গণমাধ্যমগুলির একাংশ সরকারের ভালো কাজের প্রচার করে না। বরং সরকারের সমালোচনাই তাদের প্রচারের একমাত্র লক্ষ্য। সেই জায়গা থেকে এই নবজোয়ার রেডিও সরকারের ভালো কাজ ও দলের রাজনৈতিক প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সূত্রে, এই নবজোয়ার রেডিয়োতে একদিকে যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় যে বক্তব্য রাখবেন তা তুলে ধরা হবে, একইসঙ্গে শোনা যাবে দলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের দলীয় প্রচার তথা বক্তব্যও । মূলত এই রেডিয়োর মাধ্যমে রাজ্যের শাসক দল যে নিবিড় জনসংযোগ প্রকল্প নিয়েছিল তাকেই আরও জোরদার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।