কলকাতা, 14 জানুয়ারি: বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে রাজপথে তৃণমূল ৷ গত এক বছরের বেশি সময় ধরে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ ৷ টাকা দেওয়া হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেও ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজপথে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ৷
রবিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, মূল্যবৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার-সহ একগুচ্ছ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল ৷ এই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ বিকেল পাঁচটায় যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে এই মিছিল শুরু হবে ৷ শেষ হবে গড়িয়াহাটে ৷
গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কখনও দিল্লিতে, কখনও কলকাতায়, কখনও রাজ্যে রাজভবনের পাশে প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরবর্তী সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের একটি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ৷ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কাছে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাই হল সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এবং সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু ৷ নির্বাচনের আগে সেই হাতিয়ারে শান দিতে চাইছে তৃণমূল ৷
এদিকে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজ্যে ততই বাড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূলের নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে ৷ আর সবটাই হচ্ছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে ৷ তৃণমূলের এই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে সরাসরি মানুষের দরজায় নিয়ে যেতে চায় ৷ তাই এই মিছিলের মাধ্যমে সেই বিষয়গুলিকে তুলে ধরার চিন্তা করছে নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল ৷
সবচেয়ে বড় কথা সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষকে সব থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ৷ যেভাবে প্রতিদিন নিয়ম করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের ৷ নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের সেই অসুবিধের বিষয়টি নিয়েও প্রতিবাদ জানাতে চায় তৃণমূল ৷ তাই এদিনের এই মিছিল থেকে তৃণমূল কী বার্তা দেয়, সেটাই দেখার ৷
আরও পড়ুন: