কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: সংসদে অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক । যাঁর কাছ থেকে চিরকুট নিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভেতরে ঢুকল, তাঁর সাংসদ পদ কেন খারিজ করা হবে না মঙ্গলবারের ঘটনার পর, এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ।
তিনি বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করেছে এই সংসদ । বলা হয়েছিল তিনি লগ-ইন আইডি শেয়ার করেছেন ৷ জাতীয় নিরাপত্তা লংঘন করা হয়েছে তাতে । সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাব গ্রহণ করে আধঘণ্টা আলোচনার মাধ্যমে তাঁর সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে । আজ এই সংসদে জনৈকের অনুপ্রবেশের পর কী বলবে ভারতীয় জনতা পার্টি ও কেন্দ্রীয় সরকার ?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা আজ সংসদের কক্ষে ঢুকে পড়লেন, তাঁরা বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিম্বার থেকে পাস নিয়েছেন । আজ ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলতে হবে তাঁদের সাংসদকে তাঁরা বহিষ্কার করবেন কি না ! আজ জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে সরাসরি এরা সংসদের ভেতরে ঢুকে গিয়েছেন, এর পরেও কেন এই বিজেপি সংসদের সাংসদ পদ খারিজ করা হবে না ? লোকসভার অধ্যক্ষকেও (ওম বিড়লা) বলতে হবে, সংসদ কক্ষ যেখানে আইন প্রণয়নকারীরা থাকেন, এবার কি প্রস্তাব এনে আধ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি সাংসদদের সাংসদ পদ খারিজ হবে !’’
এ দিন শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার কারণে মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদ খারিজে এত তাড়াহুড়ো করা হল, বিজেপি সাংসদের বেলায় একই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে তো ? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেখানে গোটা সংসদ দেখল কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তা-সহ সংসদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি সাংসদ, তারপরেও কেন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন অধ্যক্ষ ? জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে শুধু চিন্তিতই নই আমরা, জাতীয় নিরাপত্তা আজ বিঘ্নিত। কী ব্যবস্থা নেবেন তিনি !’’
আরও পড়ুন: