কলকাতা, 2 অক্টোবর: "প্রতিরোধ যত আসবে সংকল্প তত দৃঢ় হবে । তবুও মাথা নোয়াবে না তৃণমূল । সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের জন্যই আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে হালকাভাবে দেখলে ভুল করবে বিজেপি ।" রবিবার এই কথাগুলিই বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য কোনওভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমকে চমকে তৃণমূলকে রোখার চেষ্টা হলে যে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে সেই ভাবনাও ভুল। তাঁর মন্তব্য, 'আগে আগে দেখো হোতা হ্যায় ক্যায়া !' তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সংসদ ভবন অভিযানের কর্মসূচি নিয়ে ভাবনা-চিন্তার এই বিষয়টি ইতিমধ্য়েই প্রকাশ্যে এসেছে ।
তৃণমূল সূত্র থেকে যতদূর জানা যাচ্ছে তা হল, 3 অক্টোবরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে এমন ভাবলে ভুল হবে । বরং তা বর্ধিত হতে পারে কালীপুজো পর্যন্ত। আসলে দিল্লির বুকে বাংলার শাসকদল নিজেদের দাবি আদায়ে ছাপ ফেলতে বদ্ধপরিকর। সেই জায়গা থেকেই এই কর্মসূচি আরও বর্ধিত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে ধাপে ধাপে কীভাবে কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির ভিত্তিতেই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
এক একটা করে দিন ধরে ধরে এগোতে চাইছে তৃণমূল । সেভাবেই রবিবার রাতে তৃণমূলের শীর্ষনেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা প্রয়োজনে সংসদ অভিযানের পথেও হাঁটতে পারেন। এক্ষেত্রে ছাত্র ও যুব নেতৃত্বদের একাংশ জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে সংসদের দিকে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য এগোতে পারে । আসলে সবটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তার উপর। গতকাল রাত পর্যন্ত তৃণমূল সূত্রে যা খবর, যন্তরমন্তরে মৌখিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে তৃণমূলের কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হলেও সেখানে 144 ধারা জারি করা হয়েছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ।
এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে রুখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য চক্রান্ত চলছে।" এই অবস্থায় মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি কোন পথে যাবে তা ঠিক হবে বিকেলেই ।
আরও পড়ুন : সংসদ ভবন অভিযান করতে পারে তৃণমূল! রবি-রাতের বৈঠকে নয়া কর্মসূচির ইঙ্গিত অভিষেকের