কলকাতা, 15 জানুয়ারি: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের সেই প্রতিবাদী গলার মেয়ে রাজন্যা হালদার আজ কোথায় ? সিনেমার দুনিয়ার পা রাখায় তবে কি রাজনীতি ছাড়তে চললেন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন এই মুখ ? রাজন্যার কথায়, "একেবারেই না, বরং এটা ধরে খেলার সময় ।"
তবে রাজনীতি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশে বিরত থাকছেন না তিনি ৷ তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসে এখন যে নবীন-প্রবীণ বিতর্ক চলছে, তা নিয়ে রাজন্যার বক্তব্য, "নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নয়, বরং বলা ভালো মতপার্থক্য হচ্ছে । সেটা আমাদের নিজেদের পরিবারেও হয় । তৃণমূল কংগ্রেস বৃহৎ পরিবার । সেখানেও একটা এরকম মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে । আর এটা বিরোধী দল দ্বন্দ্ব হিসাবে মানুষের কাছে তুলে ধরছে । আমি সাধারণ মানুষকে বলব, এই বিষয়টায় আপনারা কান দেবেন না ।"
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনতে ভালোবাসেন রাজন্যা ৷ তবে বিরোধী শিবিরে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে ভালো লাগে বলে অকপটে জানালেন তিনি ৷ বললেন, "বক্তব্য রাখা একটা আর্ট । কতগুলো মানুষের মাঝে সে আর্টটাকে ফুটিয়ে তোলা একটা পারদর্শিতার বিষয় । মীনাক্ষীর বক্তৃতায় অনেক তথ্য থাকে । শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তো আমরা কখনও কাউকে মাপতে পারি না । কিন্তু আমার মনে হয় মীনাক্ষীর বক্তব্যে মার্জিত শিক্ষা থাকে ।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী রাজন্যা । এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে একাধিক সমস্যা । নেই কোনও স্থায়ী উপাচার্য । তবে এই নিয়ে সম্পূর্ণ দোষটাই রাজন্যা দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে । তাঁর কথায়, "বর্তমান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা যা ঘটনা ঘটছে, তার জন্য আমি দায়ী করব আচার্যকেই । আমি আচার্যকে সম্মানের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনি মাঝেমধ্যেই এভাবে মতের বদল করবেন না ।"
এদিকে তাঁর সিনেমায় কাজের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে । সেই নিয়ে রাজন্যার মত, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শিল্পীদের কদর দেন ৷ আগে যে সম্মান দেওয়া হত না, এখন সেই সম্মান দেন মুখ্যমন্ত্রী ।" কিন্তু তৃণমূলের জন্যই বহু জনপ্রিয় শিল্পী কাজ পান না বলে অভিযোগ ওঠে । এই বিষয়ে অভিনেত্রী রাজন্যা বলেন, "আমার এটা মনে হয় না ৷ তবে যাঁরা অভিযোগ তোলেন, এটা তাঁদের বিষয় ।"
আরও পড়ুন: