কলকাতা, 24 মার্চ: কলকাতায় দলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আগামী 29 মার্চ রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র-যুব সংগঠনের সমাবেশ হওয়ার কথা ৷ প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল শহিদ মিনার চত্বরে এই সমাবেশ হবে ৷ কিন্তু সেখানে সভার জন্য এখনও সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে তৃণমূলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি ৷ তাই বিকল্প সমাবেশস্থলের খোঁজ শুরু হয়েছে (TMC student and youth wings meeting) ৷
29 তারিখের সমাবেশের আগে হাতে আর বেশি সময় নেই ৷ ফলে এখনও সমাবেশের জায়গা চূড়ান্ত না হওয়ায় যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল । হাতে সময় কম । তাই বিকল্প জায়গার সন্ধান করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব । রাজ্যের শাসক দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর তরফে আদৌ এই সভার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সবটাই নির্ভর করছে ডিএ ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে আদালতে সিদ্ধান্তের উপর ।
এই মুহূর্তে শহিদ মিনার চত্বরেই অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা (Kolkata Shahid Minar) । অনন্তকাল এই আন্দোলন চলতে পারে না বলে ইতিমধ্যেই সেনার তরফ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে । শহিদ মিনারের দেখভালের দায়িত্ব যেহেতু সেনার হাতে রয়েছে, তাই তারা আদালতের কাছে জানতে চেয়েছে এই আন্দোলন নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত কী ! যেহেতু এই আন্দোলন আদালতের অনুমতি নিয়ে হচ্ছে, তাই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালতের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে ।
তৃণমূলও বুঝতে পারছে এই অবস্থায় শহিদ মিনারে তারা সভা করতে পারবেন কিনা, সবটাই নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের উপরে । আদালতের রায় যদি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যায় সে ক্ষেত্রে সেনা কর্তৃপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে শহিদ মিনার চত্বরে সভার জন্য অনুমতি দিতে পারে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি আদালত আন্দোলনকারীদের পক্ষে রায় দেয়, সেক্ষেত্রে শাসকদলকে আলাদা জায়গা খুঁজতে হতে ওই সভার জন্য ।
আরও পড়ুন: মোদির 'নতুন ভারতে' গণতন্ত্রের নয়া অবনমন, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজে বার্তা মমতার
আর সে কারণেই আগেভাগেই বিকল্প জায়গা খুঁজে রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির । কারণ তাদের হাতে সময় কম । যতদূর জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে দুটি বিকল্প জায়গাকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে । একটি হল গান্ধি মূর্তির পাদদেশ অর্থাৎ মেয়ো রোড, অন্যটি ময়দানের বঙ্গবাসী মাঠ । তবে এখনও তৃণমূল কংগ্রেস সেনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । এদিন রাত পর্যন্ত তাদের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা হবে । এরপরেও যদি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তবে বিকল্প জায়গায় সভা সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে রাজ্যের শাসক দল, দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ।