কলকাতা, 27 নভেম্বর : প্রতিদিনের মতো আজও তৃণমূলের তরফে দলীয় সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় । কিন্তু এই বৈঠকে গুরুত্বই পেল না আজকের সবথেকে বড় রাজনৈতিক প্রসঙ্গ । দলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুলতে চাইল না তৃণমূল । এমনকী , আজকের দিনে কোনও হেভিওয়েট নেতাকে বৈঠকে রাখেনি তৃণমূল । যেখানে এতদিন সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেছে ব্রাত্য বসু , কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় , রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের । কিন্তু সেখানে আজ বৈঠকে ছিলেন প্রতিমা মণ্ডল । শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের তরফে সরকারিভাবে কী বলা হয় তা নিয়ে সকলের কৌতূহল ছিল । কিন্তু রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত গুরুত্বই পেল না । আজকের বৈঠকে তপশিলি জাতি, উপজাতি ভুক্ত সম্প্রদায় তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় অর্থাৎ এককথায় নির্বাচনের আগে সরকারি কাজের প্রচার চালানো হয় ।
কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে সম্পর্কের তাল কেটেছিল শুভেন্দু অধিকারীর । নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেছিলেন, “দেখা হবে রাজনীতির ময়দানে । শহিদ মঞ্চ রাজনীতির জায়গা নয় । তাই এখানে রাজনীতির কথা বলব না ।" বস্তুত সেদিনই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন , অন্য ভাবনা ভাবছেন । উলটোদিকে সেই দিনেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা । পরে অবশ্য তৃণমূলের তরফে পরিবহন এবং সেচ মন্ত্রীকে বারবার বোঝানো হয় । এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাংসদ সৌগত রায়কে । বৈঠক হয় দু'পক্ষের । কিন্তু সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর দাবির সবটা মানা হয়নি বলেই সূত্রের খবর । সূত্র জানাচ্ছে, বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের তিক্ততা চরমে উঠেছিল । এরই মাঝে বাঁকুড়া দাঁড়িয়ে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “ সব জেলায় আমি পর্যবেক্ষক ।" সূত্র জানাচ্ছে , তারপর এই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নেন শুভেন্দু অধিকারী । তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে একটা আন্দাজ ছিলই । কিন্তু আজই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি দল ।
তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে গুরুত্বই পেল না শুভেন্দু-র প্রসঙ্গ
আজ তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে কার্যত মুখে কুলুর এঁটেছিলেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল । শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , “ আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না । যা বলার দল বলবে । আমাকে যতবার খুশি এই প্রশ্ন করতে পারেন । উত্তর একটাই আসবে । এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য নয়।"
কলকাতা, 27 নভেম্বর : প্রতিদিনের মতো আজও তৃণমূলের তরফে দলীয় সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় । কিন্তু এই বৈঠকে গুরুত্বই পেল না আজকের সবথেকে বড় রাজনৈতিক প্রসঙ্গ । দলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুলতে চাইল না তৃণমূল । এমনকী , আজকের দিনে কোনও হেভিওয়েট নেতাকে বৈঠকে রাখেনি তৃণমূল । যেখানে এতদিন সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেছে ব্রাত্য বসু , কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় , রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের । কিন্তু সেখানে আজ বৈঠকে ছিলেন প্রতিমা মণ্ডল । শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের তরফে সরকারিভাবে কী বলা হয় তা নিয়ে সকলের কৌতূহল ছিল । কিন্তু রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত গুরুত্বই পেল না । আজকের বৈঠকে তপশিলি জাতি, উপজাতি ভুক্ত সম্প্রদায় তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় অর্থাৎ এককথায় নির্বাচনের আগে সরকারি কাজের প্রচার চালানো হয় ।
কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে সম্পর্কের তাল কেটেছিল শুভেন্দু অধিকারীর । নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেছিলেন, “দেখা হবে রাজনীতির ময়দানে । শহিদ মঞ্চ রাজনীতির জায়গা নয় । তাই এখানে রাজনীতির কথা বলব না ।" বস্তুত সেদিনই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন , অন্য ভাবনা ভাবছেন । উলটোদিকে সেই দিনেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা । পরে অবশ্য তৃণমূলের তরফে পরিবহন এবং সেচ মন্ত্রীকে বারবার বোঝানো হয় । এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাংসদ সৌগত রায়কে । বৈঠক হয় দু'পক্ষের । কিন্তু সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর দাবির সবটা মানা হয়নি বলেই সূত্রের খবর । সূত্র জানাচ্ছে, বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের তিক্ততা চরমে উঠেছিল । এরই মাঝে বাঁকুড়া দাঁড়িয়ে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “ সব জেলায় আমি পর্যবেক্ষক ।" সূত্র জানাচ্ছে , তারপর এই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নেন শুভেন্দু অধিকারী । তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে একটা আন্দাজ ছিলই । কিন্তু আজই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি দল ।