কলকাতা, 18 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি প্রত্যেক ব্লকে-ব্লকে দলীয় নেতৃত্বকে সংহতি মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চিঠি দিয়ে দলকে ওই মিছিলে সমস্ত ধর্মের ধর্ম গুরুদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যও নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এক্ষেত্রে ব্লকের নেতাদের এই সংহতি মিছিলে ধর্ম গুরুদের হাজির করতেও স্পষ্ট বলা হয়েছে।
দলের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগামী 22 তারিখের মিছিলের সামনের সারিতে থাকবেন ধর্মগুরুরা আর পিছনের সারিতে থাকবেন তৃণমূল নেতারা। যেখানে মিছিল শেষ হবে সেখানে একটি ছোট সভার আয়োজন করার কথাও বলা হয়েছে। এই সভার মঞ্চ থেকে সংহতির বার্তা দেবেন ধর্ম গুরুরা। আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছিলেন 22 তারিখে হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিল কোনও কিছুর প্রতিবাদ বা পালটা হিসাবে করা হচ্ছে না। বরং তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে সমস্ত ধর্মকে নিয়ে চলে এবং সমস্ত ধর্মের স্থান যে বাংলা সেটাই তুলে ধরার জন্য এই মিছিল বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, "দলনেত্রী স্পষ্ট করেছেন মিছিলের সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। মূলত এই বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি, সংহতির মাটি। সেই বার্তাই তুলে ধরতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সে কারণেই দলের তরফ থেকে এই সংহতি মিছিলের সামনের সারিতে রাখা হচ্ছে সমস্ত ধর্মের ধর্মগুরুদের। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এ কথা বলেন, ধর্ম যার যার নিজের উৎসব সবার। তৃণমূল কংগ্রেস সেই ভাবনায় বিশ্বাস করে। অন্যের ধর্মকে আঘাত না করে সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষে তৃণমূল। মূলত সেই বার তাকেই স্পষ্ট করতে কর্মসূচি দিয়েছেন দলনেত্রী। কলকাতায় ধর্ম গুরুদের সঙ্গে নিয়ে নিজে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক যেভাবে কলকাতায় মিছিল হবে, একইভাবে সমস্ত ধর্মকে সম্মান জানিয়ে মিছিল হবে জেলাতেও। রাজ্য সভাপতির বার্তায় মূলত সেই পাওয়া গিয়েছে।"
আরও পড়ুন