কলকাতা, 28 এপ্রিল: টাউন ভেন্ডিং কমিটির কার্যকলাপ নিয়ে এবার মাসিক অধিবেশনে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সমর্থন জানালেন বিজেপি কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার মাসিক পৌর অধিবেশনে কলকাতার 48 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে একটি প্রস্তাব আনেন। তাতে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, কলকাতা কর্পোরেশনের টাউন ভেন্ডিং কমিটি রিপোর্ট বা সার্ভে সম্পর্কে কিছুই কাউন্সিলরদের জানানো হচ্ছে না। যার ফলে হকার সংক্রান্ত সমস্যা হলে তার সম্মুখীন হতে হলেও সঠিক ভাবে সমাধান করতে পারছেন না।
যেভাবে ফুটপাত হকাররা দখল করেছেন যত্রতত্র, স্টল নির্মাণ করেছেন, আবর্জনা স্তুপ তৈরি করেছেন, তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে টাউন ভেন্ডিং কমিটির রিপোর্ট কাউন্সিলরদের অবগত করা হোক, এই নিয়ে সোচ্চার হন তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ৷ এরপরেই মহানাগরিকসহ পৌরসভার উচ্চ আধিকারিকদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা।
বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, "এটা প্রতি ওয়ার্ডের সমস্যা। কাউন্সিলরদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া উচিত কর্পোরেশনের। বেআইনি হকার বসলে অভিযোগ করলেও সেই সমস্যার সমাধান হতে 7 দিন লেগে যায়। এমনকি হকার সমস্যার কারণে পথ চলতি মানুষের হাঁটার রাস্তা থাকে না ৷ বাইক চলাচল করতে পারে না। এই প্রস্তাব সর্বতোভাবে সমর্থন করছি।"
আরও পড়ুন: কালীঘাট মন্দির চত্বরে সর্বক্ষণ পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগী কলকাতা পৌরনিগম
অধিবেশনে এই প্রস্তাবের উত্তর দিয়েছেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও হকার পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশীষ কুমার। তিনি বলেন, "টাউন ভেন্ডিং কমিটির সমস্ত বিষয়ে এবার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোথাও কোনও জায়গা বেআইনিভাবে হকাররা দখল করেছে দেখলে কাউন্সিলররা জানান। আমাদের হাতে রয়েছে 2011 এবং 2015 সালের সার্ভে রিপোর্ট ৷ সেগুলো খতিয়ে দেখে টাউন ভেন্ডিং কমিটি বলতে পারবে যে হকার বেআইনিভাবে বসছে কিনা। সে ক্ষেত্রে পৌরসভা পুলিশকে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।"
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, শহর কলকাতায় নতুন হকার আর বসতে দেওয়া হবে না। তাদের টিভিসিতে আবেদন করতে হবে। তারাই ঠিক করবে কে বসবে। গড়িয়াহাটে হকার সমস্যার সমাধান হয়েছে ৷ ধীরে ধীরে বাকি মার্কেট এলাকাগুলিতেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার।